নজরুল ইসলাম,সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় বেইলী সেতুর পাশে সরকারি খাল ও ফসলি জমি বালু ভরাট করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। খাল ভরাটের ফলে স্থানীয়রা জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় বেইলী সেতুর পাশে মেঘনা নদীর সংযোগ সরকারি খালে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে কয়েকটি ড্রেজারের সাহায্যে বালু ভরাট করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবুল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। খাল ভরাটের ফলে মুখ বন্ধ হলে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। খাল ভরাটের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ দামোদরদী হরিগঞ্জ গ্রামে আনন্দ বাজার স্টিল ব্রিজের মেরামত করার নামে রাতের আধারে প্রবহমান খাল সম্পূর্ণই ড্রেজারে বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার পায়তারা করছেন। শুধু খাল ভরাটই নয় আবুল মেম্বার ও তার সহযোগীরা হামছাদী, মশুরাকান্দা, গোপারবাগ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করে সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছে। দিনের কয়েকটি বাল্কহেড দিয়ে বালু নিয়ে ভরাট করলেও রাতের আধারে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে এ অসাধু চক্রটি।
হরিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, শাহ আলী জানান, স্টিলের ব্রিজ মেরামত কারার জন্য শুধু খালের মুখ মাটি ও বালু দিয়ে বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক আবুল মেম্বার রাতের আধারে প্রবাহমান খাল সম্পূর্ণই ড্রেজারে বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখলে নেয়ার পায়তারা করছেন এবং মেঘনা নদী থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে প্রশাসন ম্যানেজ আছে বলে হামলা মামলার ভয় দেখানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল হোসেন বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু ভরাট করা হচ্ছে। আমি বালু ক্রয় করেই ভরাট করছি এবং খাল ভরাটের সঙ্গে জড়িত নই। সেতু মেরামত হবে তাই সওজ কর্মকর্তাদের কথায় খালের কিছু অংশ বালু ফেলেছি।
আরও পড়ুন : যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকিতে বেড়িবাধ
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাল কাউকে অবৈধভাবে দখল করতে দেয়া হবে না। কেউ অবৈধভাবে বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড