সারাদেশ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দিদার হোসেন (২২) ও তার বন্ধু মুন্নাকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দিদার হোসেন চাঁদপুরের হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের ছেলে। আর মুন্না ফতুল্লা থানার কায়েমপুরের মৃত শরীফ সরদারের ছেলে ও আইনজীবীর সহকারী।
মামলার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ফতুল্লার তল্লা বড় মসজিদ এলাকায় বসবাসকারী ওই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে দিদারের বন্ধুত্ব হয়। দিদার ঢাকার নিউ মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করে। ফেসবুকে সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিংসহ মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতো। গত শনিবার (১৫ আগস্ট) দিদার ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসে। দিদার তার বন্ধু আইনজীবীর সহকারী মুন্নার সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে কৌশলে তারা দুজন কথা বলবে বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পেছনে এস এম করিমের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীর কামরায় ডেকে নেয়। ওইদিন আদালত বন্ধ থাকায় আইনজীবীর অফিসও বন্ধ ছিল। পরে আইনজীবীর সহকারী মুন্নার সহযোগিতায় বিয়ের প্রলোভনে দিদার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দিদার এবং আইনজীবীর সহকারী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন : ভালুকায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৬
এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার মুন্না তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো সত্যি। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড