মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার, সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ
নিজেদের বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে কে না পছন্দ করে। কিন্তু আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কারোরই তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে যেমন ক্ষতি হয় পরিবেশের। তেমনি নিজেদেরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান বাজারে ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণসহ ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগবালাই। বিশেষ করে মশা ও মাছির উপদ্রব বাড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ীদের সবধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মাছ বাজারের পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায়। কাঁচামালের অবশিষ্ট বর্জ্য, মুরগির অবশিষ্ট বর্জ্য ও গরু জবাইয়ের বর্জ্যসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলার কারণে ডোবাটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়লেও দৃষ্টিগোচর হয়নি স্থানীয় প্রশাসনের। এমনকি বাজার কমিটির সদস্যসহ ব্যবসায়ীদেরও কোনো মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে।
তারা বলছেন, বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় তারা এখানে আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া বাজারটির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে বিভিন্ন পয়েন্টের পানি জমাট বেঁধে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ওই ডোবায় গিয়ে জমছে। আর এ থেকে বিভিন্ন ধরনের মশার বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাজার ব্যবসায়ীসহ বাজারে আসা ক্রেতারা। এছাড়া বাজারটির আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়।
এ বিষয়ে বাজারের আশপাশের এলাকাবাসীরা বলেন, ডোবাটিতে বাজারের লোকজন আবর্জনা ফেলার কারণে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। এখান থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করতে কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজার কমিটির সদস্য এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
বাজার ব্যবসায়ী শ্রী কৃষ্ণা দাস বলেন, ডোবাটি মাছ বাজারসহ আমাদের দোকানের কাছাকাছি হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। দোকানে আসা কাস্টমাররা গন্ধের কারণে দাঁড়াতে পারে না এবং মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। তিন বছর আগে সাবেক ইউএনও স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : হবিগঞ্জে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা পোস্ট মাস্টারের
এ বিষয়ে সিরাজদিখান বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, খাল ভরাট করায় পানিটা নামার কোনো রাস্তা নাই। এ বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। সামনের মিটিংয়ে বিষয়টি আমরা তুলে ধরব। যদি সরকারি কোনো অনুদান বা বরাদ্দ পাই তাহলে কাজটি করতে সহজ হতো।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড