• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফেনীতে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  ফেনী প্রতিনিধি

২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২১:২১
রাজস্ব ফাঁকি
দুদক (ছবি : প্রতীকী)

ফেনী রেজিস্ট্রি অফিসে মিথ্যা তথ্যে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি করার অপরাধে জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৪৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে ফেনী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বারাহীপুর মৌজার ৩৫৪৩ খতিয়ানের ভবনসহ ৭ দশমিক ৭৩ শতক ভূমি রেজিস্ট্রির সময় রাজস্ব ফাঁকি দিতে ২ কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার ৩১৬ টাকা কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই সময় সদরে সাব-রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন মো. মনিরুল ইসলাম।

দলিলে ভূমির মূল্য উল্লেখ করা হয়, এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ও ভবনের মূল্য ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রি অফিসের হিসাব অনুযায়ী ভবনের মূল্য প্রতি বর্গফুট এক হাজার ২শ টাকা করে ২ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৩১৬ টাকা হবে। কিন্তু প্রতারণামূলকভাবে ওই টাকার স্থলে শুধু ১০ লাখ টাকা দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় জমি। এতে সরকারের ৪৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়।

এ নিয়ে ২০১৭ সালে জুন মাসে তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড় শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ফেনী রেজিস্ট্রি অফিসে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি তাদের নজরে আসে। পরে দুদক রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তদন্তের জন্য ফেনী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী এম আর এনায়েত উল্যাকে নির্দেশ দেন। দলিলে পাঁচ তলা ভবন উল্লেখ করা হয়।

তদন্তে ছয় তলা বাড়ি ও ছাদের ওপর টিনশেড ঘর উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এনায়েত উল্যাহ। তিনি ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (প্রশাসন) মশিউর রহমানের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও ফেনী রেজিস্ট্রি অফিস মামলা দায়েরে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশ দেয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন- জমি বিক্রেতা সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাটের মৃত সৈয়দের রহমানের ছেলে মো. শহীদ উল্যা, ক্রেতা সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বগইড় গ্রামের হাজী আবদুল সালামের ছেলে মো. আবুল কালাম, তার ভাই গিয়াস উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম হারুন, মো. সালাহ উদ্দিন, দলিল তৈরিকারী ধর্মপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে মীর হোসেন স্বপন। তবে মামলায় দুর্নীতিবাজ সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে আসামি না করায় অনেক দলিল লেখক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মামলায় ফেনী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী এম আর এনায়েত উল্যাহ, সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের টিসি মোহরার আবুল কালাম ও মমতাজুল হক এবং অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে সাক্ষী করা হয়।

আরও পড়ুন : জাতীয় সংগীত অবমাননার দায়ে দুই শিক্ষকের বেতন স্থগিত

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হবে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড