চন্দনাইশ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল নয়াপাড়া এলাকা থেকে তৃষ্ণা রানী দে নামে এক নববধূ পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ করেন স্বামী রতন দাশ।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল নতুন পাড়া এলাকার মৃত সুনেন্দ্র দাশের ছেলে রতন দাশের (২২) সঙ্গে রাঙ্গামাটির কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া গোঁদার পাড় এলাকার কাজল কান্তি দে’র মেয়ে তৃষ্ণা রানী দে’র বিয়ে হয়। গত ১৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রতন দাশ। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৮টায় নববধূ তৃষ্ণা রানী দে তার পেট ব্যথা করছে জানিয়ে স্বামী রতন দাশকে ওষুধ আনতে পাঠায়। পরে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখেন স্ত্রী বাড়িতে নেই। স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পান রতন দাশ। পরে শ্বশুড়বাড়িসহ স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ফোন করে অবহিত করেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় অভিযোগ করেন স্বামী রতন দাশ।
রতন দাশের বড় ভাই রূপন দাশের স্ত্রী শান্তা দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে আমরা সবাই টেলিভিশন দেখছিলাম। এ সময় তৃষ্ণা রানী দে বাড়িতে কথা বলবে জানিয়ে আমার ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে তার রুমে যায়। এরপর এক ঘণ্টা পরেও সে রুম থেকে বের হয়নি। পরে মোবাইল আনতে গিয়ে দেখি সে রুমে নেই, আলমারিগুলো ভাঙা। স্বর্ণালঙ্কারের বক্সগুলো এলোমেলো দেখে আমার ননদকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও আমার দেবরের নববধূকে পাইনি।
এ বিষয়ে স্বামী রতন দাশ বলেন, বিয়ের ডেকোরেশন, মুরগী, মাছসহ অন্যান্য খরচের টাকা পরিশোধের জন্য ঘরে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আমার স্ত্রী উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ বখাটে কারাগারে
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেশব চক্রবর্তী জানান, বিয়ের ৪ দিন পর নববধূ উধাও হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড