• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মির্জাপুরে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ

  মির্জাপুর প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১১:২৫
মির্জাপুর
বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ (ছবি: দৈনিক অধিকার)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মো. আজম খানের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি ডায়রি করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার ১২১ নম্বর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও যাতায়াতের রাস্তা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন আজম খান। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর মৌজার সাবেক দাগ-২৪৩৩, হাল দাগ-২৬৪২ ও খতিয়ান নম্বর ৯০৭ এর মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে বিদ্যালয়ের নামে। এই জমিতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি কোষাগারে খাজনাও নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে। সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে মো. আজম খান (৫৫), জিহক খান (২৩) নিনা আজমসহ (৪৪) কতিপয় লোক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি নিজের দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ করেন। সেই সঙ্গে পাশের রাস্তাও দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী তাকে নিষেধ করার পরও তিনি ভবন নির্মাণ থেকে বিরত হননি। পরে বিদ্যালয়ের জমি রক্ষা ও রাস্তা উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আদিল খান বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মো. আজম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সৈয়দপুর মৌজায় ২৪৩৫ ও ২৪৪৮ নম্বর দাগের মধ্যে আমার পিতা মো. মজিদ খান, কেশব সরকার ও গয়ানাথ সরকার ৫০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেছেন। বিদ্যালয়ের পাশে ২৪৩৩ দাগের মধ্যে আমার স্ত্রী নীনা আজমের নামে ৮৫ শতাংশ জমি রয়েছে। আমি সেই জমির ওপর পাকা ভবন নির্মাণ করতে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী বাধা দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে কোর্টে মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কোনো জমি দখল করিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কিছু লোক আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, এটা বিদ্যালয়ের জমি। মো. আজম খান মিথ্যা, ভুয়া ও জাল দলিল তৈরি করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে যাচ্ছেন। তাদের বাধা দিতে গেলে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন : কালের সাক্ষী ফেনীর চাঁদ গাজী ভূঁইয়া জামে মসজিদ  

এ বিষয়ে দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল হচ্ছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ বিদ্যালয়ের পক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওডি/জেএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড