ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ৮৬ বলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৯ রান জমা করে রাজশাহী রয়্যালস। তবে ইনিংসের শেষ ৩৪ বলে ৭১ রান তুলে লড়াই করার মতো পুঁজি সংগ্রহ করে আন্দ্রে রাসেলের দল। ইরফান শুক্কুরের হাফসেঞ্চুরি এবং রাসেল-নেওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তোলে তারা।
টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হয় ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৪ রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ফেরার আগে তিনি করেন ৮ বলে ১০ রান। খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন কোয়ালিফায়ারে দলটির জয়ের নায়ক মোহাম্মদ আমির।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন লিটন দাস ও ইরফান শুক্কুর। এ জুটিতে আসে ৪৯ রান। তাদের জুটি ভেঙে খুলনাকে আবারও ম্যাচে ফেরান শহিদুল ইসলাম। বিপর্যয় সামাল দিলেও লিটনের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৬৪ রান তুলতেই ৯ ওভারের বেশি খেলতে হয় রাজশাহীকে। ২৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করেন লিটন।
শোয়েব মালিক ক্রিজে এলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন শুক্কুর। মালিক ও শুক্কুরের জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরও ৩১ রান যেখানে মালিকের অবদান ১৩ বলে মাত্র ৯ রান। মালিক আউট হওয়ার পর তার পথ ধরেন শুক্কুরও। তবে আউট হওয়ার আগে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দলীয় ৯৯ রানে ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে ওঠা শুক্কুরকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন আমির। আউট হওয়ার আগে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান করেন ৩৫ বলে ৫২ রান। তিনি হাঁকান ৬ চার ও ২ ছক্কা।
৪ উইকেট হারানোর পরই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করে রাজশাহী। ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলতে থাকেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও আন্দ্রে রাসেল। দুইজনই খুলনার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন। এ জুটিতে ৩৪ বলে আসে ৭১ রান। দুইজন মিলে হাঁকান ৫টি ছয় ও ৬টি চার। নেওয়াজ ২০ বলে ৪১ ও রাসেল ১৬ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড