ক্রীড়া প্রতিবেদক
দেরিতে হলেও নিজ শহরে খেলতে নেমেই জ্বলে উঠেছে সিলেট থান্ডারের বোলাররা। এবাদত ও সোহাগ গাজীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য-সাব্বিররা। ফলে ২০ ওভারে ১৪০ রানের মাঝারি স্কোর গড়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সিলেটের অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তোলেন লঙ্কান ওপেনার উপল থারাঙ্গা। ভ্যান জিলকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৪.১ ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৪১ রান। ১২ বলে ১০ রান করে ভ্যান জিল আউট হলে ভাঙে এ জুটি। জিলকে আউট করেন এবাদত হোসেন। এরপর সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টা চালান থারাঙ্গা। কিন্তু দলকে হতাশ করে মাত্র ৫ রান করেই আউট হন এ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সৌম্য। সোহাগ গাজীর বলে শেরফান রাদারফোর্ডকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সৌম্য।
বেশ কিছুক্ষণ একা লড়াই চালানোর পর দুই সতীর্থের দেখানো পথে হাটেন থারাঙ্গাও। এ লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন সোহাগ গাজী। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩১ বলে ৪৫ রান। ৯.৩ ওভারে ৭৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা।
চতুর্থ উইকেটে ক্রিজে ছিলেন সাব্বির ও ইয়াসির আলী। এ দুই তরুণের দিকে দল তাকিয়ে থাকলেও দুইজনই হতাশ করেন। ৫ রান করে রাদারফোর্ডের প্রথম শিকারে পরিণত হন গত আসরে চমক জাগানো ইয়াসির আলী। সাব্বির বেশ কিছুক্ষন ক্রিজে ছিলেন। তবে ক্রিজে থাকলেও ধীরগতির ইনিংস খেলে দলের বিপদ আরও বাড়ান তিনি। করেন ২৫ বলে ১৭ রান। বাকিদের মধ্য ডেভিড উইজি ১৫ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ১৯ রান। সিলেটের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান তুলতে পারে সিলেট। এবাদত ও রাদারফোর্ড নেন সমান ৩ উইকেট। সোহাগ গাজীর ঝুলিতে যায় ২ উইকেট। টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পেয়েছে সিলেট। ফলে শেষ চারে তাদের যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড