• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘ভ্যালুলেস’ মেহেদী শোনালেন নায়ক হওয়ার গল্প

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫২
মেহেদী
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা প্লাটুনের ক্রিকেটার মেহেদী (ছবি: দৈনিক অধিকার)

শক্তিশালী দল ঢাকা; দলে আছে দেশি-বিদেশি তারকা ব্যাটসম্যানরা। তবুও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তিন নম্বরে নামানো হয় তরুণ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে। কিন্তু হঠাত কেন এমন সিদ্ধান্ত? মূলত কুমিল্লার ভয়ঙ্কর বোলার মুজিব-উর-রহমানকে মোকাবেলা করতেই মেহেদীকে পাঠানো হয়। মেহেদীর ভাষায়, মূল্যহীন উইকেট হওয়ায় মুজিবকে মোকাবেলা করতে পাঠানো হয় আমাকে।

সেই মূল্যহীন মেহেদীই হয়ে উঠলেন জয়ের নায়ক। তিন নম্বরে নেমে তুলে নিয়েছেন ঝড়ো অর্ধশতক। এর আগে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে তুলে নেন দুই উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে নির্বাচিত হন ম্যান অব দ্য ম্যাচও।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেহেদী। তিন নম্বরে নামার কারণ জানতে চাইলে, হেসে উঠে বলেন, ‘মুজিব ছিল তো, মুজিবকে খেলা একটু মুশকিল। আমার উইকেট ছিল ভ্যালুলেস (মূল্যহীন), আমার উইকেট ধরে না, এ জন্য মুজিবকে খেলার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে। আমি অফ স্পিনার পেয়ে গেছি, সুযোগ নিয়েছি আর আমি সফল হয়ে গিয়েছি।’

মেহেদীর সফলতার পেছনের কারণটা ঠিক কি? ‘প্রথমত দেখেন আমি বিপিএল খেলছি চার বছর ধরে। আমার একটু অভিজ্ঞতা আছে। সবসময় একরকম যাবে না এই উইকেটে। এই উইকেট বেশি ভালো ছিল। বোলারদের জন্য এটা খুব চ্যলেঞ্জিং। ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে খুব চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করতে হয়। ভাগ্যবশত আমি দুটো উইকেট পেয়ে গেছি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এক্ষেত্রে আমি হয়তো সফল হয়েছি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।’

২৫ বছর বয়সী এ তরুণ কুমিল্লার বিপক্ষে এ ম্যাচে হাঁকিয়েছেন ৭টি বিশাল ছক্কা। কিন্তু কীভাবে? মেহেদীর ভাষায়, ‌‘এটা আমার জন্মগতই। আমি খেললে এরকমই খেলি। আমার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দেখেন। ঘরোয়া ম্যাচ দেখেন, আমি খুব পিটাতে পারি, বিপিএল একটু ভিন্নরকম জায়গা। এই জায়গায় সুযোগ আমি ওভাবে পাই না সত্যি বলতে। আপনি দেখবেন আমার ইনিংসগুলো, আমি সবসময় একই জায়গায় ব্যাটিং করতে পারি না। কখনো ১০ নম্বর, কখনো ৯ নম্বর, সেক্ষেত্রে শেষের দিকে আমার জন্য খুব কঠিন। যখন স্লগের বোলাররা ইয়র্কার করে, বাউন্সার করে, তো আমার জন্য তখন একটু কঠিন হয়ে যায়। নতুন বলের জন্য আমি ঠিক আছি। পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পারি, কোচেরও সেই পরিকল্পনাটা ছিল আরকি।’

সর্বোচ্চ অর্থব্যয়ে শক্তিশালী দল গড়েও কেন বার বার চাপে পড়ছে ঢাকা প্লাটুন? ইনজুরিকে এর কারণ হিসেবে দেখছেন এ তরুণ তারকা। ‘আমাদের দলের একটা সমস্যা হচ্ছে ইনজুরি সমস্যা। প্রতিদিন কেউ না কেউ ইনজুরিতে পড়ছে। বিদেশি দুইজন ইনজুরিতে। আমাদের কম্বিনেশন তৈরিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আপনি একটি উইনিং কম্বিনেশন যখন খেলাতে চাইবেন, পরিবর্তন আসলে সমস্যা হবেই। নিজের মূল দলটি না পেলে একটু সমস্যা থেকেই যায়।’

২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের পথটা অনেকটা মসৃণ করে দিয়ে যান মেহেদী। তবুও কেন এত কঠিন করে জিততে হলো তাদের? ‌‘দেখেন গোল বল নিয়ে বলা মুশকিল। আপনার একটা সময় ভালো যাবে, একটা সময় খারাপ যাবে। সবসময় চাইবেন দলের ভালো ফেভার আরকি। আমি হয়তো বা তখন বাজে সিদ্ধান্তে আউট হয়ে গেছি। আমার এটা ভুল ছিল। আমার এটা না হলে আরও সহজে আমরা ম্যাচটি জিততে পারতাম। এটা আমাদের একটা পরিকল্পনা। যখন আমি সুযোগ নিচ্ছি, তখন তামিম ভাই স্ট্রাইক রোটেড করবে এটাই পরিকল্পনা। সবাই মারতে গেলে আসলে কঠিন। তখন পাওয়ার প্লেতে মুজিবও বল করছিল। আমি ভাগ্যবান যে আমি আমার জোনের বল গুলো পেয়ে গেছি। তামিম ভাইয়ের হয়তো কষ্ট করা লাগে নাই। আমি নিজে চেয়েছিলাম যে আমি আস্তে আস্তে খেলে শেষ করে আসবো। মাঝের এক ওভারে সম্ভবত ২৮ রান হয়েছে। ওইটা আমাদের অনেক ব্যবধান তৈরি করে দিয়েছে আরকি।’

ওডি/এমএমএ/এসএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড