ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তারপর ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ভারত সিরিজে দেখা যায়নি তামিম ইকবালকে। রানে ফিরতে লম্বা সময় ধরে নিজেকে ঝালিয়ে ছিলেন দেশ সেরা ওপেনার। সবশেষ গতকাল ঢাকা প্লাটুনের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ছিলেন ব্যর্থ। দীর্ঘ অনুশীলনের যেন কোনো ফলই পেলেন না। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তবে আজ আর ভক্তদের হতাশ করলেন না তামিম।
চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তুলে নিলেন নিজের প্রথম অর্ধশতক। ৪০ বলে অর্ধশতক তোলা তামিম খেলেন ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ব্যাটে চড়েই কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ১৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ঢাকা প্লাটুন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করা ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮০ রান।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা-কুমিল্লা। সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচটি। যা সরাসরি দেখা যাচ্ছে গাজী টিভি ও মাছরাঙতে।
দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাট করতে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলে মুজিব-উর রহমানের এলবির ফাঁদে পড়েন এনামুল হক বিজয়। বিজয়ের বিদায়ের পর মেহেদী হাসানের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি গড়েন তামিম।
ব্যক্তিগত ১২ রানে রনির শিকার হয়ে ফিরেন মেহেদী। ওপর প্রান্তে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তামিম এবার জুটি গড়েন ইভান্সের সঙ্গে। দুইজনের জুটিতে আসে ৭৫ রান। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ইভান্স কুমিল্লার অধিনায়কের শিকার হলেও লড়াই করে যান তামিম।
এবার লঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরার সঙ্গে তোলেন চার ছক্কার ঝড়। তবে তামিমের সে ঝড় থামে দলীয় ১৪৯ রানে। শানাকার বলে বাউন্ডারি লাইনে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় খেলেন ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আফ্রিদি আউট হন ৪ রান করে আর ওয়াহাব রিয়াজ শূন্য রানে।
পাকিস্তানের এ দুই তারকা ব্যর্থ হলেও মাত্র ১৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শ্রীলঙ্কার পেরেরা। তার অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ৭ চার আর ১ ছক্কায়। শেষ বলে রান আউট হওয়ার পূর্বে ঢাকার কাপ্তান বিশাল ছক্কা মেরে খেলেন ৯ রানের ইনিংস।
কুমিল্লার পক্ষে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও সৌম্য সরকার দুইটি করে উইকেট শিকার করেন। আবু হায়দার রনি ও মুজিব-উর রহমান করেন একটি করে।
ঢাকা প্লাটুনের একাদশ : তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), শুভাগত হোম, থিসারা পেরেরা, মেহেদী হাসান, জাকের আলী অনিক, লরি ইভান্স, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান মাহমুদ।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের একাদশ : সৌম্য সরকার, রাজাপাকসে, ইয়াসির আলী চৌধুরী, সাব্বির রহমান, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ডেভিড মালান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আল-আমিন হোসেন, সানজামুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, মুজিব-উর রহমান।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড