নিশীতা মিতু
সূর্যের দিকে মুখ তাক করা হলদে ফুল ‘সূর্যমুখী’। এই ফুলটির নামকরণ করা হয় দু’টি গ্রীক শব্দ ‘হেলিওস’ ও ‘অ্যান্থোস’ থেকে। হেলিওস শব্দটির অর্থ সূর্য্য আর অ্যান্থোস শব্দটির অর্থ ফুল। কথা হল ফুলের নাম তবে সূর্যমুখী কেন হল? মূলত এই ফুলকে নিয়ে গ্রীক পুরাণে যে কাহিনী পাওয়া যায় তা ক্লাইটি নামের এক *‘অ্যাপোলোর’ আরাধিত জলদেবীর বিষাদময় গল্প। যে সূর্যদেবতা হেলিওসের প্রেমে প্রায় পাগলপ্রায় হয়েছিলেন।
প্রথম দিকে ক্লাইটির প্রেমে সাড়া দিলেও পরবর্তী সময়ে হেলিওসের ভালোবাসা দখল হয় অন্য কারোর জন্য। আর সে হল ক্লাইটির বোন ‘লিউওকোথি’। হিংসায় ভরে ওঠে ক্লাইটির মন। আর তাই বাবার কাছে গিয়ে জানিয়ে দেয় হেলিওসের সাথে লিউকোথির প্রেমের কথা। প্রেমের শাস্তিস্বরূপ লিউকোথিকে জীবিত মাটিতে পুতে ফেলে হত্যা করে তার পিতা।
সবকিছু জানার পর ক্ষেপে যায় হেলিওস। শুরু করে ক্লাইটিকে প্রহার করা। অনবরত লাথিতে বিবস্ত্র আর ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে তাকে। ভালোবাসার দেবতার থেকে এমন আচরণ মোটেও আশা করেনি ক্লাইটি। ক্ষতবিক্ষত দেহে, প্রচণ্ড হতাশ হয়ে একটি পাথরের ওপর বসে সে আর টানা নয় দিন তাকিয়ে থাকে সূর্যের দিকে। সূর্যদেবতা পথ পরিক্রমের সময় অন্তত একবার দেখুক এমনটাই ছিল তার ইচ্ছা।
নয়দিন কোনো প্রকার খাবার আর পানি গ্রহণ না করায় ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে ক্লাইটি। নবম দিনে দেবতা ‘অ্যাপোলো’ তাকে ফুলে পরিণত করে। আর সেই থেকে আজ অব্দি সূর্যমুখী হয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে ক্লাইটি। একদিন ভালোবাসার দেবতা ক্ষমা করবেন এমন আশায় আছে হয়ত।
(*অ্যাপোলো- সঙ্গীত, কাব্য, মহামারী, ওষুধ, আলো ও জ্ঞানের দেবতা)
তথ্যসূত্র : এফটিডি ডট কম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড