ক্রীড়া ডেস্ক
একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল ছিলো জিম্বাবুয়ে। দলটির সোনালি সময়ের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এখনও প্রতিনিধিত্ব করছেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা। প্রায় ১৭ বছর আগে ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রানে চাপা পড়েও দুর্দান্ত দাপটে হারারে টেস্ট ড্র করেছিল জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের ঐতিহাসিক সে টেস্টে গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, এলিস্টার ক্যাম্পবেল, হিথ স্ট্রিক, গাই হুইটালদের মতো তারকাদের সঙ্গে ছিলেন তরুণ মাসাকাদজা। অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। আফ্রিকার দেশটির সোনালি প্রজন্মের শেষ সদস্যের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হচ্ছে আজ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি। অথচ তেমন কোনো হেলদোল নেই জিম্বাবুয়ের। গতকাল অনুশীলনও করেননি তারা।
জানা গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মাসাকাদজার কিছু বিদায়ী আনুষ্ঠানিকতা করবে। তার ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ নিয়ে স্মৃতির শেষ নেই। ছয়-সাত বছর নিয়মিত বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন। বিসিবি তাই বিদায় বেলায় স্মারকসহ কিছু উপহার তুলে দেবেন মাসাকাদজার হাতে। তবে মাসাকাদজার সেরা বিদায়ী উপহার হবে একটা জয়।
জিম্বাবুয়ের সামনে একটা সুযোগও চলে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ক’জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে আফগানরা। সুযোগটা কাজে লাগাতে হলে বড় ভূমিকাটা মাসাকাদজাকেই নিতে হবে। দলের মতো এ টুর্নামেন্টে অধিনায়ক মাসাকাদজাও যে ব্যর্থ। তিন ম্যাচে ৬২ রান করেছেন তিনি। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সেরা পারফরমার তিনি। বিদায় বেলায় জ্বলে উঠলে অঘটন ঘটেও যেতে পারে।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড