• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

 ৩০ বছর আগের দুঃখ ঘুচল, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৪৮
ইংল্যান্ড

সল্প পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমে ভাল লড়াই করে পাকিস্তান। তবুও পারেনি বাবররা। পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড।

৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পরে এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্ব শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারালেন জস বাটলাররা। প্রথমে বল করে মেলবোর্নের উইকেট কাজে লাগিয়ে ভাল বল করলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। নিয়মিত ব্যবধানে পাকিস্তানের উইকেট পড়ল। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করতে পারলেন বাবর আজ়মরা। রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে গেলেন বাটলাররা। অর্ধশতরান করলেন বেন স্টোকস। ২০১০ সালের পরে আরও এক বার ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। ৩০ বছর আগের দুঃখ ঘুচল ইংরেজদের। ইমরান খান হতে পারলেন না বাবর আজ়ম।

টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার। ১৫ রানের মাথায় মহম্মদ রিজওয়ানকে সাজঘরে পাঠান স্যাম কুরান। ৮ রানেই ফিরে যান ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামা হারিস।

দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে অধিনায়ক বাবর ও শান মাসুদ ভালই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩২ রানের মাথায় আদিল রশিদের ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন পাক অধিনায়ক। পরের ওভারেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান ইফতিকার আহমেদ। ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন শান মাসুদ ও শাদাব। ৩৮ রানে আউট হলেন শান। শাদাব করলেন ২০ রান। বাকিরা কেউ রান পাননি।

২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কারেন ও আদিল রশিদ দারুণ বল করলেন। কারেন ১২ রান দিয়ে ৩ ও রশিদ ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ক্রিস জর্ডনও শেষ দিকে ২ উইকেট তুলে নেন।

জবাবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল হয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেললেও ফাইনালে মাত্র ১ রানে আউট হন অ্যালেক্স হেলস। নিজের প্রথম ওভারে দুর্দান্ত ইয়র্কারে তাকে সাজঘরে ফেরান শাহিন। কিন্তু অপর প্রান্তে বাটলারকে দেখে মনে হচ্ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেখান থেকেই শুরু করেছেন। নাসিম শাহকে এক ওভারে চারটি চার মারেন তিনি। পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান হ্যারিস রউফ। প্রথমে ১০ রানের মাথায় ফিলিপ সল্ট ও তার পরে ২৬ রানের মাথায় বাটলারকে আউট করেন তিনি।

বাটলার আউট হলেও চাপে পড়েনি ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক জুটি বাঁধেন। শাহিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রুক।

শেষ দিকে রানের গতি একেবারে কমে যায় ইংল্যান্ডের। নাসিম, হ্যারিসদের বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারছিলেন না স্টোকস। দেখে বোঝা যাচ্ছিল চাপে পড়ে যাচ্ছেন তিনি। শেষ পাঁচ ওভারে জিততে দরকার ছিল ৪১ রান। বল করতে আসেন শাহিন। কয়েক ওভার আগেই ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে বল করতে যাওয়ার সময় খোঁড়াচ্ছিলেন। এক বল করেই উঠে যান শাহিন। বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শাহিনের ওভার শেষ করেন ইফতিকার। শেষ দু’বলে একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন স্টোকস। ওই দু’বলেই খেলার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।

তার পরে আর আটকানো যায়নি ইংল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত ৬ বল বাকি থাকতে ম্য়াচ জিতে যায় ইংল্য়ান্ড। ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টোকস।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড