• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ

তিন দিনেই দম শেষ

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৩
ইমরুল কায়েস
ভারতীয় বোলারদের কাছে এভাবেই আত্মসমর্পণ করে ব্যাটসম্যানরা(ছবি: সংগৃহীত)

হার দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ১৫০ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মুশফিকুর রহীম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর- বাংলাদেশ- ১৫০ ও ২১৩ ( মুশফিক ৬৪, মিরাজ ৩৮, লিটন ৩৫; শামি ৪/৩১। ৩/৪২) ভারত- ৪৯৩/৬ (ডিক্লেয়ার) (আগারওয়াল ২৪৩; রাহী ৪/১০৮)

তিন দিনেই হারল বাংলাদেশ

ভারতীয় বোলারদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে এক ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুলরা।

মুশফিক ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে টিকতে পারেনি। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেন ৫৪ রান। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ৩৮ ও লিটন দাস ৩৫ রান করেন। ভারতের মোহাম্মদ শামি ৪টি ও উমেশ যাদব ৩টি উইকেট শিকার করেন।

একা ঝুলে মুশফিক

শুরুতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেটের পর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম গড়েছেন ৬৩ রানের জুটি। আশা জুগিয়েও ফিরেন লিটন, তবে দমেননি মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে তার জুটি ৫৯ রানের।

কিন্তু এখানেও সেই একা হয়ে যান মুশফিক। বিরতিতে গিয়ে এসেই আউট হন মিরাজ। উমেশ যাদবের লাফিয়ে ওঠা বলটা ডিফেন্ড করতে গিয়ে সামলাতে পারেননি, কনুইয়ে লেগে সেটি নেমে এসে ভাঙে স্টাম্প। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি থামে ৫৯ রানে। মিরাজ ফিরেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে।

ফিফটি হলো মুশফিকের

উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিলে মুশফিক পান ফিফটির দেখা। ১০১ বলে ফিফটি করেন মুশি। মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাজে শটে আউট লিটন

আসবেন, দেখার মতো কিছু শট খেলবেন, এরপর জঘন্য একটা শট খেলে বিদায় নেবেন- লিটন দাসের জন্য এটা হয়ে গেছে নিয়ম। অশ্বিনের বলটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে সরাসরি ক্যাচ দেন অশ্বিনের কাছেই। দারুণ ক্যাচের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে অশ্বিনকে।

মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে দারুণ খেলছিলেন লিটন। দলীয় ৭২ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর উইকেটে এসে নিজের মতোই খেলছিলেন লিটন। কিন্তু তাতে কি কিছুক্ষণ উড়াধুরা খেলে উইকেট দিয়ে ফিরে যাবেন তা তো আগেই অনেকবার হয়েছে; তাই করলেন লিটন।

৩৯ বলে ৩৫ রান করে ফিরতে হলো লিটনকে। সেই সঙ্গে ভাঙল ৬৩ রানের জুটি!

হঠাৎ তেতে উঠল বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ৭২ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে দলকে বিপদে ঠেলে ফিরেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর উইকেটে এসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস খেলেন নিজের মতোই, দেখতে দেখতে তুলে ফেলেন ত্রিশঊর্ধ্ব রান। ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। মুশফিক ধীর গতিতে আগালেও একপাশ আগলে রাখেন।

শুরুর সেশনেই এলোমেলো বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় পেসারদের দাপটে ধুঁকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম চার ব্যাটসম্যান ফিরে যান দলের রান যখন ৪৪! দলীয় ১০ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইমরুলের ফেরাটা যেন মেনে নিতে পারলেন না আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাঁর পরপরই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান এই ওপেনারও।

এরপর অধিনায়ক মমিনুল হককে ৭ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশ শিবিরে আবারো আঘাত হানেন শামি। মোহাম্মদ মিঠুনকে ১৮ রানে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের তালুবন্দি করান এই পেসার। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ রান তোলে ৪ উইকেটে ৬০।

৪৪ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশের

বড় ভাইরা দায়িত্ব নেয়নি; তো আমি নিয়ে কি হবে! হ্যাঁ; এমনটি হয়তো ভেবে উইকেট তুলে দিয়ে ফিরে যান মোহাম্মাদ মিঠুন। মোহাম্মাদ শামির দুই ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান মুমিনুল-মিঠুন!

ইনিংসের ১৪তম ওভারে শামির হাফবলির বলটি মিডঅনে দাঁড়িয়ে থাকা মায়াঙ্কের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মিঠুন। ২৬ বলে ১৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন কুষ্টিয়ার ছেলে মিঠুন।

৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইমরুলের ফেরাটা যেন মেনে নিতে পারলেন না সাদমান ইসলাম। তাঁর পরপরই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান এই ওপেনার।

দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলের হার ধরার আগেই ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে যান ৭ রানে! দলীয় ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

যদিও মুমিনুল বেঁচে যাওয়ার একটা সুযোগ ছিল। মোহাম্মাদ শামির বলটি ডিফেন্ড করে গেলে প্যাডে লেগে যায় মুমিনুলের। জড়াল আবেদন জানান ভারতীয়রা; তবে আম্পায়ারের সিধান্ত ছিল নট আউট! এতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বোলার; রিভিউ নিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাতেই বাঁচা হলো না মুমিনুলের।

আবারও ব্যর্থ ইমরুল-সাদমান

আবারও দলকে বিপদে ফেলে আউট হলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস। দুজনের মধ্যে মিলটাও একটু বেশিই। প্রথম ইনিংসে ইমরুল-সাদমান মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন। আর নিজেদের দ্বিতীয় তথা তৃতীয় দিনেও একই রানে প্যাভিলিয়নের গেলেন এই দুই বাংলাদেশের টেস্ট ওপেনার।ইমরুল বোল্ড হন উমেশ যাদবের বলে আর সাদমানকে আউট করেন ইশান্ত শর্মা।

ভারতের ইনিংস ঘোষণা

তৃতীয় দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

ইন্দোর টেস্টে, চালকের আসনে ভারত

শেষ এক ঘন্টায় যেন বুলবুল ফিরে এলো ইন্দোরে, বাংলাদেশের বোলাররা বুঝতেই পারলেন না কী থেকে কী হচ্ছে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল একের পর এক বল আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে। কিছুটা সময় নিয়ে জাদেজাও যোগ দিলেন তার সঙ্গে। আগারওয়াল ফিরে গেলেন ২৪৩ রান করে, তবে উমেশ যাদব এসে এর মধ্যেই মেরেছেন তিনটি ছয়। জাদেজা অপরাজিত আছেন ৬০ রানে, যাদব ৩০ রানে। ৪৯৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত, লিড নিয়েছে ৩৪৩ রানের।

আন্তর্জাতিক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো টেস্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা রাঙিয়ে রাখার মতো হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৮.৩ ওভার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড