• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাড়তি চাপেও ইন্টারনেট সেবা থাকবে স্বাভাবিক

  প্রযুক্তি ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২০, ১৪:৪৮
ইন্টারনেট
ইন্টারনেট (ছবি : সংগৃহীত)

করোনার জন্য দেশের বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। আর অবসর এই সময় কাটানোর জন্য সবাই ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছে। এতে ইন্টারনেটের বাড়তি ব্যবহারে কিছুটা চাপেরও সৃষ্টি হয়েছে।

গত কয়েকদিন হতেই ইন্টারনেটের বাড়তি ব্যবহার দেখছেন দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। একই কথা ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারাও বলছেন। বেশিরভাগ মানুষ ই-কমার্সসহ অনলাইনে বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন। কিন্তু এই ব্যবহারের কারণে ব্যান্ডউইথের ঘাটতি বা ধীর গতি বা সেবায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সেবাদাতারা।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের(বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন জানান, সব পর্যায়ের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে তারা প্রস্তুত। বাড়তি ব্যবহারের জন্য কোনো ঘাটতি হবে না।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানান, তারা ফোরজি ইন্টারনেটের জন্য ১০ জিপিপিএস সংযোগ ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার যদি আরও বেড়ে যায়, তাতেও রবি নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা দিতে সক্ষম।

গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান জানান, দেশের এমন অবস্থায় ইন্টারনেটের বাড়তি ব্যবহার হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও বাড়লেও সেবা দিতে কোনো সমস্যা হবে না।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, হোম ইউজেসে চাহিদা বাড়লেও সাধারণত ব্যান্ডউইথের কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া করপোরেট অফিসগুলো বন্ধ রয়েছে। অফিসগুলো যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করত সেটি এখন হোমে চলে আসবে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো জানিয়েছে, ১৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে ৭০০ এর মতো (ক্যাবলটির ক্ষমতা ১৫০০ জিবিপিএস), ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল কোম্পানিগুলো ৩০০ এর মতো আমদানি করছে। আর প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৪০০ জিবিপিএস আসছে।

আরও পড়ুন : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেবে ফেসবুক

এ দিকে আইএসপিএবি নেতারা বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ৯০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ তাদের মাধ্যমে ব্যবহার হচ্ছে।

ওডি/এওয়াইআর