ছাত্রলীগের দায় অন্যরা কেন নেবে, প্রশ্ন রবের

লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি যারা করে, বিচারহীনতার সংস্কৃতির চর্চা যারা করে, তাদের রাজনীতি বন্ধ হতে পারে বলে মন্তব্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, তাই বলে ঢালাওভাবে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হতে পারে না। ছাত্ররাজনীতির কারণে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বৈরশাসককের পতন হয়েছে। একটি ছাত্র সংগঠনের দায় অন্যরা কেন নেবে?

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জেএসডির মানববন্ধন ও সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘ক্যাসিনো অভিযানের মাধ্যমে আইওয়াশ, ভারতের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও জাতীয় সরকারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় দেশে লুটপাটের রাজনীতি চলছে উল্লেখ করে আ স ম রব বলেন, ব্যাংক খাতে লুটপাট, শেয়ারবাজারে লুটপাট চলছে। আমাদের দেশের শিল্পকারখানা গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অথচ সরকার ভারতে আমদানি করা গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করেছে। অবিলম্বে এ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাই। জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সময় থাকতেই পদত্যাগ করুন। নাহলে, আপনাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।

ক্যাসিনোর প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা বলেন, সরকার ক্যাসিনোর মাধ্যমে আইওয়াশের চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে যা-ই করুক, কোনো কিছুতে সরকারের রক্ষা হবে না। অনেক নাটকের শেষে ২৫ দিন পরে ক্যাসিনো সম্রাটকে আটক করা হলো, কিন্তু রিমান্ড হলো না। রিমান্ডে নিলে মন্ত্রী-এমপিরা ধরা পড়বেন। আইনশৃংখলা বাহিনীকে বলব, আপনারা ভালো কাজ করেছেন, এবার সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে তথ্য উদ্ধার করুন, জনগণের সাপোর্ট পাবেন।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবির প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি বলেন, ছাত্ররাজনীতি কেন নিষিদ্ধ করতে হবে? ছাত্ররাজনীতির কারণে দেশ থেকে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। যারা ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করে, বিচারহীনতার সংস্কৃতির চর্চা করে, তাদের নিষিদ্ধ করুন। একজনের দোষ অন্যজন কেন বহন করবে?

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মহাসচিব আব্দুল মালেক রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওডি/এএস