• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার ‘সুষ্ঠু বিচারের’ উদ্যোগ নেব : ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৭
মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ছবি : সংগৃহীত)

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে আমরা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেব।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ওই হত্যাকাণ্ডের একাদশ বার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছেন, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। ঘটনা নিয়ে সেনাবাহিনী থেকে ওই সময় যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। আমরাও মনে করি, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেব।

ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দিতেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দরা স্মৃতিসৌধে ফুল দেন। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সেখানে কল্যাণ পার্টির প্রধান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রুহুল আলম চৌধুরী, ফজলে এলাহী আকবর, শাহজাহান, মিজানুর রহমান, সারোয়ার হোসেন ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং কোহিনুর হোসেন নূর, শামীমুর রহমান শামীমুর ও শায়রুল কবির খান ছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদর দপ্তরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

বিদ্রোহের বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ৬ হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়। বিদ্রোহের বিচারের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে।

ঢাকা জজ আদালত ২০১৩ সালে দেওয়া রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ২৫৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। ২০১৭ সালে দেওয়া রায়ে ১৩৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাই কোর্ট। ১৮৫ জনকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন, তিন থেকে ১০ বছরের সাজা দেন ২২৮ জনকে।

ওডি/এসএইচএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড