নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান অপরাধ ছাড়া কোনো অপ্রয়োজনীয় গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি জানান, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিএনপির প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করতে এলে তাদের এ আশ্বাস দেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল পুলিশি হয়রানি, তাদের প্রার্থী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি, কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছে। আমরা বলেছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে তাদের কঠোর নির্দেশনা দেব, যেন নির্বাচনের সময় কোনো অপ্রয়োজনীয় হয়রানি ও গ্রেফতার না করে।
তিনি জানান, তার মানে এই নয় যে কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করল বা আদালত কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল তাকে নির্বাচনি দোহাই দিয়ে গ্রেফতার করা যাবে না। কোনটি প্রয়োজনীয় আর কোনটি অপ্রয়োজনীয় এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। এ বিষয়ে কমিশনের সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও কথা বলব। এরই মধ্যে আমার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে, তারা কখনো নির্বাচন নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না বলেও জানান সিইসি।
আরও পড়ুন : ইভিএমে আপত্তি বিএনপির
এর আগে, বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের অভিযান চালানো হয়, তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়, গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইসি কথা দিয়েছে এ রকম অভিযান আর হবে না। দৃশ্যমান কোনো ঘটনা না ঘটলে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সিইসি আমাদের কথা শুনেছেন। কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, তিনি এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেবেন যাতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিক থাকে।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড