মীর আব্দুল আলীম
বগুড়ায় ১ জানুয়ারি থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ভেজাল মদপান করে মারা গেছে ১৫ জন। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকায় আলাদা আলাদা ঘটনায় মদ্যপানে বিষক্রিয়ায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মৃত্যু হয়েছে এবং যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন, তাদের অধিকাংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে ‘মিথানল বিষক্রিয়া’র উল্লেখ রয়েছে। বিবিসি বাংলার এ খবরে আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না।
বাংলাদেশে ভেজাল ও বিষাক্ত মদ্যপানে প্রাণহানি বাড়ছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ভেজাল মদের কারখানা। আর এসব মদ পান করে মানুষ মারা যাচ্ছে। গত একমাসে সারাদেশে ভেজাল মদ খেয়ে অন্তত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, চাকরিজীবীরা রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যত্রতত্র গড়ে ওঠা মদের কারখানাতে বেশি লাভের আশায় ভেজাল মদ তৈরি হচ্ছে।
মদ্যপানে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, দেশে বিদেশি মদের সরবরাহ কম থাকায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেজাল মদ তৈরি করছে। সেবনকারী কোথাও বিদেশি মদ না পেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে এসব মদ সংগ্রহ করে সেবন করছে। যত্রতত্র গড়ে ওঠা ভেজাল মদ তৈরি হচ্ছে পানি, চিনি, রঙ আর স্পিরিট দিয়ে। এভাবে সারাদেশেই ভেজাল মদ তৈরি হচ্ছে। আর তা পানে মারা যাচ্ছে মানুষ। বিষাক্ত মদ পানে প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে; সরকারের সংশ্লিষ্টরা কি করছে? প্রশ্ন হলো, এ দায় কার? সরকার এবং সরকার সংশ্লিষ্টরা কিছুতেই এ দায় এড়াতে পারে না।
এদেশে দিনদিন মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বলতেই হয়, চাহিদা অনুযায়ী বৈধ মাদক নেই দেশে। তাই অবৈধ মাদকেই ঝুঁকছে মানুষ। আর বিষাক্ত মাদক সেবনে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা জানি, এদেশে মাদক নির্মূল বলে কোন বিষয় নেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আছে। তার মানে, মাদক নির্মূল নয়, নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকার স্বীকৃত। সরকারিভাবে মাদক সেবনের জন্য এদেশে লাইসেন্সও দেওয়া হয়। মাদক সেবনের বৈধতা থাকলে মাদক তৈরির বৈধতাও থাকা দরকার। জানা মতে, কেরু এন্ড কোং এবং যমুনা গ্রুপ বৈধ মদ বিয়ার তৈরি করে থাকে। দেশে মাদকসেবীদের চাহিদা মেটাতে এর বাইরে বিদেশ থেকে বৈধ-অবৈধ নানা পন্থায় মাদকদ্রব্য এদেশে আসে। দেশীয় বৈধ প্রতিষ্ঠান বাড়ানো গেলে অবৈধ আর ভেজাল মাদক কমে আসবে। বছর বিশেক আগে দেশীয় বেসরকারি পর্যায়ে মদ-বিয়ার তৈরির অনুমোদন নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক হৈচৈ হয়। বন্ধ হয়ে যায় সে আয়োজন। তাতে কি হয়? ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইনে ছেয়ে যায় দেশ। এসব বাজে নেশায় নেশাগ্রস্ত হয় মানুষ। এ কথা সত্য যে যারা নেশা করেন তাদের নেশা কিন্তু থামানো যাবে না। আর তাই সরকার তাদের নেশার লাইসেন্সও দিচ্ছে।
দেশীয় বৈধ মদ-বিয়ার নকল কারখানার মদ-বিয়ারের মতো বিষাক্ত নয়। একটা মান নিয়ন্ত্রণ করেই তা তৈরি করা হয়। তা বৈধভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকে তৈরি করতে দিলে সরকার যেমন রাজস্ব পেত সেসঙ্গে বিদেশ থেকে মদ-বিয়ার ডলার দিয়ে ক্রয় করতে হতো না। আর তাতে দেশের কোটি কোটি টাকা দেশেই থেকে যেতো। তাছাড়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, হিরোইনের মতো বাজে নেশায় ভরে যেতো না দেশ।
আমার এ লেখায় কেউ কেউ বৈধ মাদক তৈরির প্রশ্রয়ের কথা ভাবতে পারেন। কথা হলো, যেহেতু অবৈধ মাদক দেশ থেকে বন্ধ করা যাচ্ছে না, তাছাড়া ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল চোরাপথে আসায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এটা যেহেতু রোধ হচ্ছে না, সরকার পারছে না, তাহলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে মদ-বিয়ার তৈরি করতে দিলে দেশের টাকা দেশেই যেমন থাকে অন্যদিকে বিষাক্ত মাদক তৈরিও অনেকাংশে কমে যাবে। তাতে বিষাক্ত মদপানে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা কমবে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা দরকার।
মাদক আমাদের দেশে মহাসমস্যা বটে! মাদক আর মাদকাসক্ত মানুষ আমাদের সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে। এদের কর্মকাণ্ডে আমরা; আমাদের দেশ প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবুও দেশ থেকে কেন মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হয় না? প্রশ্ন হলো, যারা মাদক নিয়ন্ত্রণ করবেন কী করছেন তারা? দু’/চারজন চুনোপুটিকে ক্রসফায়ারের আওতায় আনলেই মাদক রোধ হবে এমনটা না। মাদকের মূলউৎপাটন করতে হবে। গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক পাচার, ব্যবসা ও ব্যবহারকারীর ক্রমপ্রসার রোধকল্পে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে নানারকম কার্যক্রম দেখা গেলেও তেমন কোনো ইতিবাচক ফল মিলছে না। মাদক শুধু একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পরিবারের জন্যই অভিশাপ বয়ে আনে না, দেশ-জাতির জন্যও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে। নানারকম প্রাণঘাতী রোগব্যাধি বিস্তারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ করে তুলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় দেশের অভ্যন্তরে মাদকের বিকিকিনি এবং বিভিন্ন সীমান্তপথে দেশের অভ্যন্তরে মাদকের অনুপ্রবেশ নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও দীর্ঘদিনের।
দেশের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদকদ্রব্য বিকিকিনির বিষয়টি বলতে গেলে ওপেন সিক্রেট। বিভিন্ন সময়ে পুলিশি অভিযানে মাদকদ্রব্য আটক ও জড়িতদের আটকের কথা শোনা গেলেও মাদক ব্যবসার নেপথ্যে থাকা গডফাদারদের আটক করা হয়েছে কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এমন কথা শোনা যায় না। ফলে মাদকবিরোধী নানা অভিযান থাকলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও নতুন করে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটে।
মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে তরুণসমাজ। দেশের তরুণসমাজ মাদকের ভয়াবহ প্রভাবে বিপথগামী হচ্ছে। মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের আগামী প্রজন্ম। যা একটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার প্রকট রূপের পেছনে মাদক অন্যতম বড় একটি উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে। এর মতো উদ্বেগজনক ঘটনা আর কী হতে পারে?
২০১৭ এর শেষের দিকে, লায়ন্স ক্লাবের বাংলাদেশ দলের সাথে মিয়ানমার সফরের অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ ব্যথিত করেছিল। বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্তে মিয়ানমারে অসংখ্য ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে। সেসব কারখানায় কোটি কোটি পিস ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। অবাক করা কথা, মিয়ানমারের মানুষ, সেখানকার যুবসমাজ খুব একটা ইয়াবা আসক্ত নয়। কোনো কোনো এলাকায় তো ইয়াবা কী- অধিবাসীরা জানেই না। মূলত বাংলাদেশিদের জন্যই সেখানে ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে! যতদুর জানতে পারি, তাতে নাকি এ ব্যাপারে সে দেশের সরকারের মৌন সম্মতিও আছে। মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা কারখানার কথা আমরা জানি, আমাদের সরকারও জানে, কিন্তু ইয়াবা চোরাচালান রোধ হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? মিয়ানমার ইয়াবা তৈরি করে প্রতিদিন আমাদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাতে আমাদের যুবসমাজ ইয়াবা আসক্ত হয়ে ধ্বংসে নিপতিত হচ্ছে। কী করছি আমরা? আমাদের সরকারও কী করতে পারছে? এতে সরকারের সম্মতি আছে এ কথা বলার সুযোগ নেই, তবে সরকারে কর্তাবাবুদের ম্যানেজ হয়ে যাওয়ার কারণে মাদককারবারিরা প্রতিদিন দেশে মাদকে সয়লাব করে দিচ্ছে।
মাদক তথা ইয়াবাব্যবসা নির্বিঘ্নে হচ্ছে- তা বলছি না। মাদক কারবারিরা ধরাও পড়ছে মাঝেমধ্যে। গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি। ১ লাখ পিস ইয়াবা সে কি সহজ কথা? ১ লাখ লোক আসক্ত হতে পারবে এ ইয়াবায়। দামও তো কম নয়। বাজারমূল্যে কম করে হলেও ৫ কোটি টাকা। এত টাকার মাদক ধরা পড়লো আর কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলো না এটা প্রশ্ন সামনে আসে বৈকি! এই তো হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। যারা মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে তারা কেবল চুনোপুঁটি। আবার ওদের গডফাদারদের বদান্যতায় সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়। দেশের প্রতিটি সীমান্তেই এমন হচ্ছে। ভারতের সীমান্তেও অসংখ্য ফেনসিডিলের কারখানা আছে। সেখানেও এই একই অবস্থা। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আমাদেরও দেশে মাদকের বাজার তৈরি করে নিয়েছে। এ জন্যই হয়তো দেশ মাদকে সয়লাব হচ্ছে। মাদক ব্যবসার সাথে দেশের অনেক রাঘববোয়াল জড়িত। তাই ওদের টিকিটিও ছোঁয় না কেউ। যা হওয়ার তাই হচ্ছে দেশে। আমরা দেশবাসী দুর্ভাগা বলেই আমাদের যুবসমাজ সহজে মাদক হাতের নাগালে পাচ্ছে। এ সংক্রান্ত আইনের তেমন শাসন সক্রিয় নয় বলে আমাদের সন্তানরা দিন দিন অধঃপতনে নিপতিত হচ্ছে।
মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে মহাসমারোহে আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। বিভিন্ন এনজিও মাদক সেবন নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। মাদক পাচার, বহন ও ব্যবহারের বিভিন্ন শাস্তি রয়েছে। তবু মাদক ব্যবহার কমেনি। ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, প্যাথেডিনের ব্যবসা রমরমা। নারী, পুরুষ উভয় শ্রেণির মধ্যে মাদকসেবন প্রবণতা বাড়ছে। ডিশ এন্টেনার যুগে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন এ দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীকে সমকামী, নেশাগ্রস্ত ও পশুপাখি সহযোগে বাস করার মানসিকতা তৈরি করছে। ঘুমের ওষুধ, হিরোইন, গাঁজা, এমনকি কুকুর মারার ইনজেকশন সেবন করছে মাদকসেবীরা। বিষ শরীরে ঢুকিয়ে নেশা করার মতো অভ্যাস গড়ে উঠছে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে প্রশাসন নির্বিকার। কাজের কাজ কিছুই করে না। করবেই বা কেন? মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানে এসব। জানে কোথায় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়, কোথা থেকে আসে এসব আর কারাই বা বিক্রি করে তা। এর সবই তাদের নখদর্পণে। যদিও এসব ধরার দায়িত্ব তাদের। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের ধরা তো দূরের কথা, সংশ্লিষ্টরা এর পাড় ঘেঁষেও দাঁড়াতে রাজি নয়। সময়মতো মাসোহারা পেলেই তারা তুষ্ট। নিজেদের উদরপূর্তি হলেই হলো। নগদ পেলে তো সবার মুখেই কুলুপ এঁটে থাকে; তখন চোখ হয় অন্ধ। আর এ সুযোগে নেশার রাজ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে গোটা দেশের যুবসমাজ। এগুলোকে ঘিরে পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে সহিংস ঘটনা। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি।
তবে মাদক বিক্রেতাদের যে পুলিশ একেবারেই ধরছে না- তা নয়। মাঝে মাঝে মাদকসহ ২/৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মাদক বিক্রেতারা আইনের ফাঁকফোকরে আবারও জেল থেকে বেরিয়ে এসে পুণরায় ব্যবসা পরিচালনা করছে।
মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন শুধু নগর-মহানগরেই সীমাবদ্ধ নেই, গ্রামবাংলা পর্যন্ত মাদক এখন সহজলভ্য। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। তবে মাঝেমধ্যে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কেউ কেউ ধরা পড়লেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। দৃশ্যের আড়ালে এই যে অদৃশ্য মহাশক্তিধর চক্রটির জন্যই মাদকের ক্রমবিস্তার রোধ হয়ে উঠেছে অসম্ভব। আমরা মনে করি, মাদক সংশ্লিষ্ট চুনোপুঁটি থেকে রাঘব-বোয়াল পর্যন্ত প্রত্যেকের ব্যাপারেই আইন প্রয়োগে কঠোরতা দেখাতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগই মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধে সহায়ক হতে পারে।
মাদক আমাদের সমাজকে কীভাবে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সমস্যা সমাজ ও রাষ্ট্রের। দেশের উদীয়মান যুবসমাজ যদি সমাজ বৈশিষ্ট্যের বিরূপতার শিকার হয় তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দেশকে রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্টদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিস্থিতি উত্তরণে মাদকাসক্তি, যৌনাচার এবং পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে সুচিন্তিত ও সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ করা দরকার। একটি প্রজন্ম ধ্বংস হওয়ার আগে আমাদের সবার দায়িত্ব হবে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা। আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের কাছে মাদক সিন্ডিকেট মোটেও শক্তিশালী নয়। রাষ্ট্র চাইলে দেশের মাদকপ্রসারতা কমাতে পারে। আর রাষ্ট্র তা সহসাই করবে এ প্রত্যাশা সকলের।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড