তানিয়া হাসান
ঠাণ্ডা অভিনয় বালিশের নিচে দেশলাই রেখে কাঠি খুঁজি ভাবিসাহেবার বারান্দায়, গোসলঘরে গরম জল ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অভিনয়! প্রাতপ্রার্থনায় চন্দ্রমুখীর লাল শাল চাইলে খুব বেশি পাপ হবে না- তবু আপেল চাইতে পেয়ারার ডালে পা দুলিয়ে কাঠবিড়ালের নখ কাটি, হুলো বিড়ালের সাথে বন্ধুত্বটা না জমার ব্যথায়। ডগিটা বলেছিলো সে মরিচের কাঙ্গাল ডগি এখন ঝাল পছন্দ করে না শিয়ালটা কিন্তু রাগ ভাঙ্গাতে অদক্ষ তারপরও সব অভিমান চশমার ফ্রেমে, আকাশকে এড়িয়ে একটু নীল দিয়েছিলো টুনটুনি বাগান নিয়েছিলো নিজ পায়ের উপরেই দাঁড়িয়ে। আতুরে শিশুর ঘুমের ঘোরে কান্নাহাসি খেলার পবিত্র ঘ্রাণ কাকের নাকে পৌঁছায় না তবু ঘোর বাসা বাঁধে ঝাঁকড়া চুলে সোয়েটার হীন মাঘের সকালে, গেস্ট বার্ডের বাস সমুদ্রের ওপারে সে কথা মোটেও ভুলে যাওয়া যাবে না।
অজুহাত
কথাছিলো তিনি সূর্য দেখবেন না, টর্চলাইটের ব্যাটারি কেনার অজুহাতে হলেও রোদের জানালায় উঁকি দিতেই হবে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ, বেসিনে কুলকুচি করার অভিজ্ঞতা খুব বেশি মন্দ না ছলাৎ ছলাৎ উত্তেজনা গোলকিপার হুশিয়ার, মাঠের মিডলেই বলের তা ধিন নৃত্য তেমন দৃষ্টিকটু নয় তবে সেলফিস্টিক হারানোর দণ্ডে লাল কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়ের ঘাড়ে হাত রাখা যেতেই পারে তিনি আপনায় ঝিলের ছায়া’ই ভেবেছিলো যেন হামেশায় কাজল লেপটিয়ে যায় সমুদ্রের ঢেউ দেখে তাই ঈর্ষা ঈর্ষা ভাব।
অমূলক সমাচার হেমন্তের সকালে হাসি হাসি সমাচার রঙতত্বের চাট দেখে ভীষণ ক্ষেপেছে রসুনের বেপারী জোসনায় তার এলার্জি আকাশের মালিক মৌমাছির পাশের ঘরটি’ই ভাড়া নিয়েছে জোনাকির সাথে এক্কাদোক্কা খেলবে বলে! পোনা মাছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘোড়ার লেজে চড়েই সে সমুদ্র ভ্রমণে যাবে কালো মুরগিটির সাথে দাদীজানও ডিমে তা দিয়েছিলেন কিন্তু ডিম থেকে যখন আস্ত গাধার বাচ্চা বেরোলো সে কি কান্না দাদাজান! তেহাত্তর ভুলে তেইশের নামতার ঘরে দাঁড়িয়ে দাদীজানের চোখে কিন্তু আনন্দ আনন্দের লজ্জা!
শুদ্ধ অহংবোধ
দরিদ্র আকাশে মেঘবিহীন বৃষ্টি না হলেও ভুল বেভুলের সংঘর্ষে মৃদু ভূকম্প হতেই পারে হতে পারে নিভৃতে অগ্নিগিরি! চোরাবালুতে সাঁতারের প্রতিযোগিতা। সরলতাও এক তীব্র অহংবোধ রিজার্ভ করে মধ্যরাতে আদর আদর উত্তেজনায় জাবর কাটে টিকটিকি মকশো বন্দি ঘুম ঘুম নেশা আঁধারের দুয়ারে বিশ্বাস বন্ধক দিয়ে শুদ্ধ ভোরের রোদ গায়ে মাখার মতো নির্বোধ ঘাসফুল নয় তাই বকুলের মালা গাথা ভুলেয়েই গিয়েছে লোনলি বেলা।
অজ্ঞাত উচ্ছ্বাস
মুগ্ধতার ছলে বেতাল কাক ছল হাওরে উড়ে ঠোঁটের নিচে তিলক রশ্মির গল্প তার অজানা, উচ্ছ্বাসে অজ্ঞান হলেও জ্ঞানের কপাটে কিছুটা ভাজ আছে বলেই কোকিলের কাছে সে ফেলারী। কাক হয়তো জানেই না খুব বেশি ভালোবাসলেই অভিশাপ করা যায়; চোখপুকুরে বারোমাস বর্ষায় ভাসলেও বৃষ্টি দেখেনি কেউ। ঝাঁকড়া চুলের সাথে দাঁড়ির সমঝোতা হলো না বলেই সাইজীর দুয়ারে মুঠো ঝর্ণা বইলো না চাঁদেশ্বরী পুড়লো তবে পুকুরঘাট অক্ষত! ছিলো, আছে, থাকবে।
আরও পড়ুন : প্রয়োজনে মায়ের গহনায় দিবে হাত
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড