হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনেও উত্তাল ভিকারুননিসা

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে শ্রেণি শিক্ষক কারাবন্দি হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভে উত্তাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮ থেকে বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের ১ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন অভিভাবককেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীদের একজন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনাবী বলে, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এই ঘটনার সঙ্গে তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু কোনো নিরাপরাধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক যেন হেনস্থা না হয়।’ অনাবী আরও জানায়, ‘আমরা বিশ্বাস করি হাসনা হেনা আপার এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।"

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরেক ছাত্রী অবন্তীর বলে, ‘আমরা হাসনা হেনা আপার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।’

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী লামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা চাই অরিত্রী অধিকারীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিরা শাস্তির মুখোমুখি হোক। কিন্তু একজন নিরপরাধ শিক্ষক কারাগারে থাকতে পারেন না। তাই তার মুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অরিত্রীর পরিবারের দাবি, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রীর বাবাকে জানানো হয় তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনার পর সে আত্মহত্যা করেছে।

গত ৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানী পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তিন নম্বর আসামি হচ্ছেন হাসনা হেনা। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।