নিজস্ব প্রতিবেদক
ডুবে যাওয়া ‘এমভি তামিম’ লাইটারেজ জাহাজে থাকা প্রায় এক হাজার ৬০০ টন গম পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন জাহাজটির স্থানীয় এবং আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতির তিল্লার চর এলাকায় মেঘনা নদীর মোহনায় যেখানে জাহাজটি ডুবেছিল, বর্তমানে সেটি সেখানেই আছে। কিন্তু জাহাজের ব্রিজের অংশ ছাড়া এখন পুরোটাই ডুবে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে জাহাজে গম আমদানিকারকের প্রতিনিধি সমতা শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জামাল হোসেন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে মোট ছয় কোটি ৬৪ লাখ টাকার গম ছিল। এগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। কাল জাহাজের একটি হেজ কিছুটা ভেসে থাকতে দেখা যায়। আজ সেটিও ডুবে গেছে। এখন শুধু জাহাজটির ব্রিজটি দেখা যাচ্ছে। জাহাজটি যে স্থানে ডুবে গিয়েছিল এখনো সেই স্থানেই আছে। জাহাজটিতে নাবিল অটোফ্লাওয়ার মিলের গম ছিল।
তিনি আরও বলেন, যেখানে জাহাজটি ডুবে গেছে সেখানে আমাদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি হযরত শাহ আমানত শিপিংয়ের অপারেশন ম্যানেজার রাজু সাহা বলেছেন, জাহাজের হেজ পুরোটাই পানির নিচে রয়েছে। যেখানে জাহাজটি ডুবেছিল এখনো সেখানেই আছে। এখন জাহাজটিকে কোথাও নেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন : পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে বসেছিল আদালত
তার দাবি, জাহাজটিতে যেহেতু খাদ্যপণ্য আছে, এগুলো এসে বিভিন্ন সংস্থা দেখবে। তারপর আমরা জাহাজটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেব। জাহাজটি সহজে এখান থেকে সরানো যাবেও না।
তিনি বলেছিলেন, জোয়ারের কারণে জাহাজের তিনটি হেজ-ই পানির নিচে চলে গেছে। শুধু মাস্টার ব্রিজটা এখনো কিছু দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে জাহাজে থাকা গম পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
এর আগে গেল বুধবার (১৮ মে) বিকালের দিকে লাইটার জাহাজটি মেঘনার লক্ষ্মীপুরের রামগতির তিল্লার চর এলাকায় ডুবে যায়।
সমতা শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জামাল হোসেন জানান বলেন, ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজটিতে ১২ জন আরোহী ছিলেন। বর্তমানে সবাই নিরাপদে আছেন।
আরও পড়ুন : প্রবহমান খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত একটি বড় জাহাজ থেকে প্রায় এক হাজার ৬০০ টন গম বোঝাই করে জাহাজটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। যদিও নৌযানটি বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগতির তিল্লার চর এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে যায়। এ সময় হেজে পানি ঢুকে যায়। পরবর্তীকালে মাঝের ও সামনের হেজেও পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যায়।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড