• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ধারাবাহিক উপন্যাস : মেঘ বর্ষণ (২য় পর্ব)

  রিফাত হোসেন

১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৫
উপন্যাস
ছবি : প্রতীকী

রাত ৮:০১ বাজে।

বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ ফাহাদ বাড়িতে ফিরছে না এখনো। ড্রয়িংরুমে পায়চারি করছে ফাহাদের মা মিসেস সাহানা। পাশে বসে হাতে মেহেদী দিচ্ছে ফাহাদের ছোট বোন রাফা। মিসেস সাহানা অধৈর্য্য হয়ে মেয়ের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘সব দোষ তোর। দুপুরে ছেলেটাকে কী যেন বললি, তারপর থেকেই ছেলেটা লাপাত্তা। কোনো খোঁজ-খবর নেই। ফোন বন্ধ। বাইরে এত বৃষ্টি হচ্ছে, কে জানে কোথায় গেছে ছেলেটা।’

রাফা মেহেদী দিতে দিতেই বলল, ‘শুধু শুধু আমাকে দোষ দিচ্ছ কেন তুমি? আমি ভাইয়াকে এমন কিছু বলিনি, যার কারণে ভাইয়া বাড়িতে ফিরবে না। তাছাড়া মাত্র আটটা বাজে। হয়তো বৃষ্টিতে কোথাও আটকে গেছে। ফোনে চার্জ নেই বা অন্য কোনো কারণে অফ হয়ে আছে। শুধু শুধু চিন্তা করছ তুমি।’

- একদম চুপ কর। তুই জানিস না, ফাহাদ বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে থাকে না। যেখানেই থাক না কেন, সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে ফিরে আসে ও। কারণ ওর একটা দায়িত্ব আছে। ও ছাড়া বাড়িতে শুধুমাত্র আমরা দু’জন মেয়ে মানুষ থাকি।

- ভাইয়া চলে আসবে মা। হয়তো সায়েমের সাথে দেখা করতে গেছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে আসতে পারছে না।

মিসেস সাহানা মেয়ের দিকে হাত উঁচু করে বলল, ‘একটা থাপ্পড় মারব বেয়াদব মেয়ে। তোকে কতবার করে বলেছি সায়েমকে এভাবে নাম ধরে ডাকবি না। ও তোর বড় ভাইয়ের মতো। সম্মান দিয়ে কথা বলবি তাকে।’

মায়ের কথা শুনে রাগে ফুসতে শুরু করল রাফা। সবগুলো দাঁত একত্র করে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মায়ের দিকে। কিন্তু হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠায় চোখ নামিয়ে বসে রইল। মিসেস সাহানা দরজাটা খুলে দিয়ে বলল, ‘এতক্ষণ কোথায় ছিলি তুই? আমরা তো টেনশন করছিলাম তোর জন্য। ফোনটাও বন্ধ করে রেখেছিস।’

ফাহাদ ভিতরে এসে মাথার ভেজা চুলগুলো নাড়াতে নাড়াতে বলল, ‘একটু কাজ ছিল মা। সেজন্য দেরি হয়ে গিয়েছে।’ রাফার পাশে বসতে বসতে কথাটা বলল ফাহাদ। এরপর আবার রাফার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কি রে, এভাবে গাল ফুলিয়ে বসে আছিস কেন?’

রাফা নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তোমার মা আমাকে মেরেছে।’

মিসেস সাহানা ‘হা’ হয়ে গেলেন মেয়ের কথা শুনে। ফাহাদ অবাক কণ্ঠে বলল, ‘আমার মা মানে কী রাফা? তোরও তো মা হয়।’

- যে মা সন্তানকে কোনো অপরাধ ছাড়াই মারতে পারে, তাকে আমি নিজের মা বলে ভাবি না।

ফাহাদ মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি ওকে মেরেছ মা?’

মিসেস সাহানা অবাক হয়ে বললেন, ‘আমি আবার ওকে মারলাম কখন?’

রাফা কিছুটা চেঁচিয়ে বলল, ‘মারোনি, তবে মারতে চেয়েছিলে। ভাইয়া না এলে হয়তো মারতে।’

- ও সায়েমের নাম ধরে কথা বলছিল, তাই আমি বলেছি সায়েম তোর বড় ভাইয়ের মতো। ওকে সম্মান দিয়ে কথা বল। আর আমি তো ওকে মারতে যাইনি। শুধুমাত্র শাসন করার জন্য বলেছি একবার।

ফাহাদ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে রাফার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘মা ঠিক কথাই বলেছে রাফা। সায়েম তোর অনেক বড়। তুই মাত্র স্কুল শেষ করে কলেজে উঠেছিস। আর সায়েম পড়াশোনা শেষ করে এখন চাকরি করছে। ওর বোনের জন্যই এখনো বিয়ে করেনি সায়েম। তাছাড়া সায়েম অন্য একটা মেয়েকে পছন্দ করে। তোকে ছোট বোন ছাড়া অন্যকিছু ভাবে না ও। উল্টো তোর কথা বিশ্বাস করে ওর সাথে ঝামেলা করেছি আমি। পরে আমি বিষয়টি ভেবে দেখলাম, সায়ের আসলেই তোকে বোনের নজরে দেখে।’

- তুমিও এই কথা বলছ ভাইয়া। তাহলে এটাও শুনে রাখ, সায়েম শুধু আমার। যেভাবেই হোক সায়েমকে আমি নিজের করেই ছাড়বো। প্রয়োজন হলে ওকে বাধ্য করব আমি।

- দেখেছিস ফাহাদ, মেয়েটা দিনদিন কতটা উশৃংখল হয়ে যাচ্ছ। মিসেস সাহানা চোখ মুছতে মুছতে কথাটা বললেন। ফাহাদ কিছু বলার আগেই তিনি নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন। সায়েম আবারও রাফার দিকে তাকালো। কিন্তু রাফাও রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেল নিজের ঘরে। সায়ের কিছুক্ষণ চুপ থেকে সোফার দুই পাশে হাত দু’টো মেলে দিলো।

এরপর উপরের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘মাই ডেয়ার ফাদার, এইরকম একটা ঝামেলায় আমাকে একা ফেলে চলে গেলেন আপনি। এবার আপনার এই বদমেজাজি মেয়েটাকে সামলাবো কীভাবে আমি? কীভাবে বুঝাবো, ও যা চাইছে তা সম্ভব নয়। এটাই বাস্তবতা যে, জোর করে কাউকে পাওয়া যায় না।’

ওপাশ থেকে কোনো উত্তর এলো না। উত্তর আসার কোনো সম্ভাবনাও যে নেই, ফাহাদ সেটা জানে। তাই উত্তরের আশা না করে নিজের ঘরে চলে গেল।

মুখের উপর উষ্ণ কিছুর স্পর্শ পেয়ে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠল সায়েম। কৌতূহলী হয়ে মুখে হাত দিতেই পানির ছোঁয়া পেলো। চোখ দু’টো ড্যাবড্যাব করে দরজার দিকে তাকালো। এরপর বলল, ‘আশ্চর্য! দরজা তো বন্ধ করাই আছে, তাহলে পানি ছিটালো কে? তাহলে কী ছাদ ফুটো হয়ে উপরের তলা থেকে পানি পড়ল? যাক, এই সুযোগে সারা’র সাথে একটু কথা বলতে পারব। সাথে একটু ঝাড়িও মারব। কতবড় সাহস! আমার ঘরের ছাঁদ ফুটো করে আমার শরীরেই পানি ফেলে দেয়। তাও আবার গরম পানি।’

সায়েম বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলে দৌড় দিলো সারা’দের ঘরের দিকে। ঘরের জানালার পাশে কফির কাপ হাতে দাঁড়িয়ে অট্টহাসিতে মেতে উঠল ইতি। হাসতে হাসতে বলল, ‘আজকেও ফ্রিতে ঝগড়া দেখতে পারব। উফ্, সকালটা এত ভালো ভাবে শুরু হবে ভাবতেও পারিনি।’

ইতি কফির কাপ হাতে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এলো। ড্রয়িংরুমে থাকা ছোট্ট টেবিলটার উপর কফির কাপটা রেখে উপরের তলায় যেতে লাগল। সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠে দেখে সায়েম দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কলিংবেল বাজাচ্ছে। আর সামনে না এগিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল ইতি। কিছুক্ষণ পর সায়েমের সামনের দরজা খুলে গেল। সামনে সারাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিজয়ের হাসি দিলো সায়েম। যেন মহান কিছু করে ফেলছে। ওদিকে সায়েমকে দেখে সারা রাগী মুড নিয়ে বলল, ‘কী ব্যপার, আপনি এত সকালে আমাদের এখানে কী করছেন? কোনো জরুরি প্রয়োজনে এসেছেন?’

- জ্বি না।

সারা ধমকের স্বরে বলল, ‘তাহলে কি দাঁত কেলানি দেখাতে এসেছেন?’

মুখটা বন্ধ করে ফেলল সায়েম। লাজুকলতার স্বরে বলল, ‘না মানে, আমি দু’টো প্রয়োজনে এসেছিলাম বটে। তবে দু’টোর মধ্যেকার বড় প্রয়োজন যেটা ছিল, সেটা মিটে গেছে আপাতত।’

- অন্য প্রয়োজনটা বলে বিদায় হন তাড়াতাড়ি। আমাকে অফিসে যেতে হবে।

- সে তো আমিও যাবো। আপনি চাইলে আমার সাথেই যেতে পারেন। বাসে করে যাবো। দু’জন পাশাপাশি বসব। বাসের ঝাঁকুনিতে হেলেদুলে একে অপরের সংস্পর্শে আসবো।

সারা রাগী দৃষ্টিতে তাকালো সায়েমের দিকে। আমতা আমতা করে সায়েম বলল, ‘না মানে, আমরা নয়, আমাদের ব্যাগগুলো হেলেদুলে একে অপরের সংস্পর্শে আসবে। সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।’

সারা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, ‘প্রয়োজন দু’টো নিশ্চয়ই শেষ। এবার যেতে পারেন।’

- আসল প্রয়োজনটাই তো এখনো বলা হয়নি।

- তাড়াতাড়ি বলুন। আপনার সাথে হেলেদুলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। আমাকে খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে অফিসে। আমি তো আর আপনার মতো দুই মুখি মানুষ নই, তাই বসকে একের নামাতা বুঝিয়ে সাধু হয়ে থাকতে পারি না। ফলে আমাকে ঝাড়ি খেতে হয় সবসময়।

- আমি দুই মুখি মানুষ? নিজের দিকে হাত দিয়েই কথাটা বলল সায়েম। প্রতিউত্তরে সারা বলল, ‘অবশ্যই। আপনার মতো দুই মুখি মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি। সারাক্ষণ সবার সাথে ঝগড়া করেন। আর বস সামনে এলেই কাজে মন দেন। একদম ইনোসেন্ট হয়ে যান তখন। ফলস্বরূপ বস আপনার মিথ্যে দায়িত্ববোধ আর আপনার নড়বড়ে ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করে। এভাবেই তো বসকে হাত করে নিয়েছেন আপনি। অফিসে এক ঘন্টা পরে গেলেও কেউ কিচ্ছু বলে না।’

সায়েম শব্দ করে হেসে উঠলো। সারা বলল, ‘প্লিজ ভাই, আপনি এবার যান তো।’

স্বর একটু নামিয়ে সায়েম বলল, ‘ভাই বলে সম্মোধন করলেই সম্পর্ক পরিবর্তন করা যায় না। তাই ওইসব বলে এই সায়েমকে কাবু করতে পারবেন না।’

- আপনি যাবেন, নাকি আমি মা’কে ডাকবো। আপনার এই উদ্ভট চেহারা দেখে ক্রমে-ক্রমে আমার রাগ বেড়ে যাচ্ছে।

সায়েম নিজের মুখে হাত দিয়ে বলল, ‘কেন? আমার চেহারা আবার কী দোষ করল?’

- আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারাটা ভালো করে দেখুন। তারপর নিজেই বুঝতে পারবেন।

সায়েম সারাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেল। ড্রয়িংরুমের একপাশের দেয়ালে থাকা আয়নার সামনে দাঁড়াল ও। সাথে সাথে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠল। চুলগুলো ভয়ঙ্কর ভাবে এলোমেলো হয়ে আছে। এছাড়াও ফরসা মুখে ফোটা ফোটা কী যেন লেগে আছে। সায়েম প্রথমে হাত দিয়ে চুলগুলো ঠিক করতে লাগল। পিছন থেকে সারা বলল, ‘চিরুনীটা দেখতে পাচ্ছেন না, নাকি দেখতে চাচ্ছেন না?’

সায়েম হেসে দিয়ে বলল, ‘আপনি নিজের হাত দিয়ে আমার চুলগুলো ঠিক করে দিবেন বলে চিরুনীটা হাতে নিচ্ছি না।’

- হুহ্, আমার তো আর কাজ নেই। আপনার মতো একটা অসভ্য লোকের চুল ঠিক করে দিবো।

- খুব শীঘ্রই সেই দিনটা আসছে ম্যাডাম, যেদিন শুধু চুল নয়, আরো অনেক কিছু আপনাকে ঠিক করতে হবে। অপেক্ষা করুন শুধু।

হাত দিয়ে মুখটা আড়াল করে ঠোঁট বাঁকিয়ে মুচকি হাসি দিলো সারা। সায়েম মাথার এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করে সারা’র দিকে তাকালো। এরপর বলল, ‘কিন্তু আমার মুখে এগুলো কীসের ফোটার দাঁগ?’

- ওটা আমার কুকর্ম। দরজার কাছে এসে হাসতে হাসতে কথাটা বলল ইতি। সায়েম ইতির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল, ‘মানে?’

- তুমি ঘুম থেকে উঠছিলে না বলে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছি আমি। আসলে এগুলো কফির দাঁগ। আমি যখন কফি হাতে নিয়ে তোমার ঘরের সামনে গেলাম, তখন দেখি তুমি বেঘোরে ঘুমোচ্ছ। এরপর কয়েকবার দরজা ধাক্কালাম। কিন্তু তোমার দিক থেকে নো রেসপন্স। দরজা বন্ধ ছিল বিধায় ভিতরে যেতেও পারছিলাম না। তারপর জানালার কাছে গিয়ে দেখি জানালা খোলা। অতঃপর আমার শয়তানি বুদ্ধি জাগ্রত হয়ে গেল। কাপ থেকে কিছুটা কফি হাতে নিয়ে জানালা দিয়ে তোমার মুখে মারলাম। আর তখনই লাফ দিয়ে তুমি ওঠে গেলে।

সায়েম হেসে দিলো। সারা বলল, ‘কাজটা মোটেও ঠিক করোনি ইতি। গরম কফি থেকে তোমার ভাইয়ার মুখ ঝলসে যেতে পারতো। এছাড়াও চোখে লাগলে সমস্যা হতো।’

- কফি তেমন গরম ছিল না আপু। কফি বানিয়ে আমি ঘরে গিয়েছিলাম রেডি হতে। ভেবেছিলাম ভাইয়া এসে টেবিলে কফিটা দেখে খাবে। কিন্তু রেডি হয়ে এসে দেখি কফি আগের জায়গায়তেই আছে। তখন আমি কফি নিয়ে ভাইয়ার ঘরে গেলাম। এরপরও কিছুটা সময় পেরিয়ে গেছিল। সো বুঝতেই পারছ ততক্ষণে কফির অবস্থা কী হয়েছিল।

সায়েম আবারও হেসে উঠলো। সারা বলল, ‘সত্যি বলছি সায়েম, আপনার বোন দিনদিন খুব পাজি হয়ে যাছে। ওর মাথায় সারাক্ষণ কু-বুদ্ধি ঘুরাঘুরি করে।’

সারার কথা শুনে ইতি হেসে দিলো। সায়েম বলল, ‘আমি তো ভেবেছিলাম আপনি ছাঁদ ফুটো করে গরম পানি ঢেলে দিয়েছেন আমার মুখে।’

সারা অবাক হয়ে বলল, ‘হোয়াট? আর ইউ ক্রেজি?’

- না মানে, ভেবেছিলাম। আপনি তো জানেন আমি আগাম অনেককিছুই ভেবে থাকি। উদাহরণ হিসেবে আপনার আর আমার বিয়ের কথাটাই বলা যায়।

সারা মুখটা ‘হা’ করে সায়েমের দিকে তাকালো। সায়েম হাসতে হাসতে ইতিকে নিয়ে চলে গেল নিজেদের ঘরে।

(চলবে...) আরো পড়ুন প্রথম পর্ব- ধারাবাহিক উপন্যাস : মেঘ বর্ষণ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড