• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘অদ্ভুত নিয়তি’-এর ১৯তম পর্ব

ধারাবাহিক উপন্যাস : অদ্ভুত নিয়তি

  রিফাত হোসেন

২০ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২১
উপন্যাস
ছবি : প্রতীকী

হাসপাতালে বিশ্রাম নিচ্ছে শুভ আর সুমাইয়া। মিস্টার জন ঘুমোচ্ছে। আদিত্য আর জ্যোতি বাইরে এসে বেঞ্চিতে বসল। আদিত্য বলল, ‘ঘুম পেলে এখানেই ঘুমিয়ে পড়ুন।’

- আপনি ঘুমাবেন না?

- আমার আর এখন ঘুম আসবে না। তাছাড়া এত কোলাহলে আমার ঘুম কখনোই আসে না। আর সকাল হতেও বেশি সময় বাকি নেই।

- আমিও তাহলে এখন ঘুমাবো না। চলুন হাসপাতালের বাইরে দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করি।

- ওকে।

আদিত্য আর জ্যোতি বাইরে বের হলো। হাসপাতালের বাইরেটা অসম্ভব রকমের সুন্দর। ভিতরে যাওয়ার সময় দেখেছিল জ্যোতি। হাসপাতালের বাইরেটা এত সুন্দর করে সাজানো, গোছানো যে, সচরাচর এইরকম দেখা যায় না। সবাই হাসপাতালের ভিতরের সৌন্দর্য বাড়ানোয় ব্যস্ত থাকে। তারা এটা বুঝার চেষ্টা করে না যে, ভিতরের থেকে বাইরের জায়গাটুকু সুন্দর করে রাখা প্রয়োজন বেশি। কারণ, ভিতরে এত মানুষ, এত রকমের গন্ধ, এত কোলাহল, এইসব মিলিয়ে সেই সৌন্দর্য প্রকাশ পায় না তেমন। কিন্তু বাইরের খোলামেলা পরিবেশ অসাধারণ দেখতে।

পুরোপুরি উপভোগ করার মতো। জ্যোতি চারিদিক দেখছে, আর উত্তেজনায় আদিত্যর হাত চেপে ধরছে। আদিত্য ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে, আর ভাবছে, এইরকম মানুষও পৃথিবীতে আছে? কিছুক্ষণ আগেও এতবড় একটা বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল। ওর ভাই, ভাবীর জীবন- ও চলে যেতে পারতো। ইনফ্যাক্ট ভাগ্য খারাপ হলে ও নিজেও বড় কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে পারতো। অথচ ওর মনে এখন কোনো ভয় নেই। একদম স্বাভাবিক ও।

জ্যোতির কথায় আদিত্য ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটল। জ্যোতি বলল, ‘এইরকম একটা মুহূর্ত, এইরকম দৃশ্য আমি ফেলে যেতে পারব না। আমি এটা ক্যামেরাবন্দী করে বাড়িতে নিয়ে যাবো। তারপর প্রতিদিন দেখবো এটাকে। যখন আমার মন খারাপ থাকবে, তখনই এই দৃশ্যটা দেখবো। তারপর মন ভালো হয়ে যাবে।’

- হুম ভালো আইডিয়া।

জ্যোতি আদিত্যর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমাদের বিয়ের পর প্রথম হানিমুন আমরা এই হাসপাতালেই করব।’

- আমাদের বিয়ের পর মানে? আর হাসপাতাল কী হানিমুনের জন্য বানানো হয়েছে? তাছাড়া এখানে হানিমুন’ই বা আসলো কোত্থেকে?

- আমার আর আপনার বিয়ের পর হানিমুনে আসবো এখানে, এটাই বলেছি। আর এইরকম একটা জায়গায় হানিমুনে আসার সৌভাগ্য সবার কপালে হবে না, বুঝেছেন।

আদিত্য জ্যোতিকে ধমক দিয়ে বলল, ‘বিয়ের খবর নেই, সে হানিমুনের জায়গা ঠিক করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া আপনাকে বিয়ে করবে কে? যত্তসব পাগলের দল। হাসপাতালে নাকি উনি হানিমুন করবে। মাথায় সমস্যা না হলে কী আর এইসব উদ্ভট কথা বলতে পারে কেউ?’

- বিয়ে হবে কী হবে না, সেটা পরে দেখা যাবে। আর আমি তো বলছি না হানিমুনে হাসপাতালের ভিতরে হবে৷ সারাদিন কোনো রিসোর্টে এ থাকবো, অথবা ঘুরে বেড়াবো। আর রাত হলেই এই হাসপাতালের বাইরে একটা ছোট্ট তাবু টানিয়ে আমরা শুয়ে পড়ব৷ তাবুর সামনের ফাঁকা জায়গাটুকু আটকে দিবো। তাবুর দুইপাশে কিছু অংশ ছেড়া থাকবে৷ সেটাকে জানালা হিসেবে ব্যবহার করব আমরা। মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে উঁকি দিবো বাইরের সৌন্দর্য দেখার জন্য। তারপর এই সৌন্দর্যটা উপভোগ করব বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে। পলকহীন দৃষ্টিতে দেখবো শুধু। যখন রোমান্স করতে ইচ্ছে করবে, তখন জানালাটা আটকে দিয়ে আমরা রোমান্স করব। উফ্, ভাবতেই কেমন শরীরটা শিরশির করছে। ইচ্ছে করছে এক্ষুণি আপনাকে বিয়ে করে ফেলি। তারপর দু'জনের মিলে তাবু টানিয়ে হানিমুনটা সেড়ে ফেলি।

আদিত্য শব্দ করে হাসতে লাগল। জ্যোতি বলল, ‘হাসছেন কেন আপনি?’

- আপনার কথা শুনে।

- পরে হাসবেন। এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে ভাইয়ার ফোনটা নিয়ে আসুন। আমি চারিদিকের সৌন্দর্য’র ছবি তুলবো। তারপর রাতে ঘুমানোর সময় ছবিগুলোকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো।’

আদিত্য চোখ বড় করে জ্যোতির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘জড়িয়ে ধরে ঘুমাবেন?’

- অবশ্যই। তবে আপনাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরি, সেভাবে ছবিগুলোকে জড়িয়ে ধরব না৷ কারণ ছবিগুলোর থেকেও আপনি বেশি সুন্দর আর আমার কাছে মুল্যবান জিনিস।

আদিত্য হাসতে হাসতে ভিতরে চলে গেল। শুভর কাছ থেকে ফোন নিয়ে আবার বাইরে এলো। কিন্তু বাইরে এসে জ্যোতিকে পেলো না। হঠাৎ করেই বুকটা ব্যথা করতে শুরু করল আদিত্যর৷ চারিদিকে খুঁজতে লাগল জ্যোতিকে। ভয়টা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আদিত্যর। হাত দিয়ে বুকটা চেপে ধরে রেখেছে ও। কেন যে বুকটা ব্যথা করছে না বোধগম্য হচ্ছে না ওর।

কিছুটা সামনে গেল আদিত্য। নানানরকম রঙের ছোট ছোট বাতি দিয়ে চারিদিকটা সাজানো। অসংখ্য ফুলের চারাগাছ। আর প্রতিটি চারাগাছের সাথে বাতি লাগানো। এতে করে রাতেরবেলা ফুলগাছগুলোর সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। হাসপাতালের চারিদিকে এইরকম করে সাজানো। আদিত্য হাঁটতে লাগল ফুলের চারাগাছগুলোর শেষটা দেখার জন্য। হঠাৎ জ্যোতিকে দেখে থমকে দাঁড়াল ও। তবে জ্যোতি একা নয়, সাথে একটা মেয়েও আছে। আদিত্যর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে জ্যোতির কাছে গিয়ে অস্থির কণ্ঠে বলল, ‘আপনি এখানে কী করছেন? আর আমাকে না বলে এখানে এসেছেন কেন? আপনাকে ওখানে না দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’

একনাগাড়ে কথাগুলো বলল আদিত্য। জ্যোতি কিছু না বলে শুধু হেসে যাচ্ছে। পাশের মেয়েটার দিকে তাকালো আদিত্য। সেও হাসছে। আদিত্য বলল, ‘হাসছেন কেন আপনারা?’

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি বলল, ‘দু’মিনিটের জন্য আপনার চোখের আড়ালে হয়েছে বলে আপনি তো একেবারে অস্থির হয়ে পড়েছেন। ওর অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে গেলে তো আপনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন দেখছি।’

আদিত্য ইতস্তত বোধ করল। মেয়েটার দিকে ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি কে’

জ্যোতি বলল, ‘ও আমার ফ্রেন্ড অরিন। কলেজে একসাথে পড়েছি আমরা। তারপর ও মেডিকেলে পড়ার জন্য অন্য জায়গায় চলে যায়। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি আমাদের। আজ হঠাৎ করেই ওর সাথে দেখা হয়ে গেল। তাই তো হাঁটতে হাঁটতে এইদিকে চলে এসেছি।’

আদিত্য ছোট করে বলল, ‘ওহ্।’ জ্যোতি আবার বলল, ‘জানেন, এটা ওর স্বামীর হাসপাতাল। ওর স্বামীও একজন বড় ডাক্তার। ওর স্বামী ওর থেকে সিনিয়র ছিল। ফলে তিনি ওর আগে পড়াশোনা শেষ করে ডাক্তার হয়েছেন। তারপর নিজেই এই হাসপাতাল দিয়েছেন। ও তো এই হাসপাতালে প্রাকটিস করার জন্য আসতো। সেখানে থেকেই ছেলেটার সাথে পরিচয়। তারপর প্রেম, তারপর বিয়ে। আর সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনা হলো, এই হাসপাতাল এত সৌন্দর্য করার পিছনে ও আর ওর স্বামী গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ওরা দু’জনেই নিজেদের ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে হাসপাতালকে এত সুন্দর করে তুলেছে। প্রতিদিন সকালে ফুল গাছের চারাগাছগুলো থেকে লাইটগুলো সরিয়ে দেয় ও। তারপর নিজের হাতে সবগুলো গাছে পানি দিয়ে আবার লাইটগুলো নিজ নিজ জায়গায় রেখে দেয়।’

- ওহ্।

জ্যোতি অরিনের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আদিত্যও আমার সিনিয়র। আমার আগেই ইউনিভার্সিটি পড়া শেষ হয়েছে উনার। ইউনিভার্সিটিতেই পরিচয় আমাদের। তারপর প্রেম। বিয়েটা এখনো হয়নি অবশ্য। তবে কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। তোকে দাওয়াত দিবো। আসবি কিন্তু।’

আদিত্য চমকে উঠল। রাগি দৃষ্টিতে জ্যোতির দিকে তাকাল। ওর এখন ইচ্ছে করছে জ্যোতিকে একটা থাপ্পড় দিতে। তারপর বলতে, প্রেমই তো হয়নি আমাদের। বিয়ে তো বহুদূরের কথা। শুধুমাত্র পরিচয় হয়েছে। মিথ্যে কথা বলার কী প্রয়োজন আছে?

কথাটা বলতে চেয়েও বলতে পারল না আদিত্য। থাপ্পড় দেওয়ার চিন্তা তো মাথা থেকে একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দিলো। রাগটাকে নিজের কন্ট্রোলে রেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ভিতরে চলে এলো ওরা। বেঞ্চিতে বসে চোখ বন্ধ করে ফেলল।

ঘুম ভেঙে গেল আদিত্যর। ওর কাধে মাথা রেখে জ্যোতি ঘুমিয়ে আছে। আড়চোখে জ্যোতির দিকে তাকালো আদিত্য। শুভ আর সুমাইয়ার রুমের বাইরের বেঞ্চিতে বসে আছে ওরা। আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিলো আদিত্য। এত সকালে আশেপাশে কেউ থাকার কথা না। তবুও দেখে নিলো ও। যখন দেখলো আশেপাশে কেউ নেই, হঠাৎ করেই মুখে এক অদৃশ্য হাসি ফুটে উঠল ওর। এই হাসির অর্থ জানে না আদিত্য। জ্যোতি ঘুমিয়ে আছে। এলোমেলো চুলগুলোতে অদ্ভুত মায়াবী লাগছিল জ্যোতিকে। হাত দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে আস্তে করে মুখটা জ্যোতির মুখে দিকে নিয়ে গেলও। তারপর জ্যোতির দুই ঠোঁটের কোণে শীতল স্পর্শে চুম্বন এঁকে দিলো। মনে শান্তি পেলো আদিত্য। ভালোলাগার পরম আবেশে মুগ্ধ হয়ে গেল আদিত্য। শীতল হাওয়া ওকে স্পর্শ করে দিয়ে গেল।

জ্যোতির ঘুম ভেঙে গেল। আদিত্যর কাধ থেকে মাথাটা তুলল। নিজের অজান্তেই হাতটা ঠোঁটের কোণে চলে গেল। কৌতূহলী দৃষ্টিতে আদিত্যর দিকে তাকিয়ে রইল জ্যোতি। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বলল, ‘চলুন ফ্রেশ হয়ে আসি।’

- হুম।

জ্যোতি আর আদিত্য ফ্রেশ হতে চলে গেল। ফ্রেশ হয়ে আদিত্য বলল, ‘চলুন দেখি, আশেপাশে কোনো রেস্টুরেন্ট বা ধাবা পাই কিনা?’ আদিত্য আর জ্যোতি হাসপাতাল থেকে বাইরে এলো। বাইরে আসতেই দেখল অরিন কে। জ্যোতি অরিনের কাছে গিয়ে বলল, ‘গুড মর্নিং ডাক্তার অরিন।’

অরিন হাসি দিয়ে বলল, ‘গুড মর্নিং মাই ডেয়ার ফ্রেন্ড। তবে আমি এখনো পুরোপুরি ডাক্তার হয়নি। তাই আমার নামের আগে-পিছে ডাক্তার পদবিটা এখন বেমানান।’

- আজ বা কাল, একসময় তো হবিই।

- তা এত সকালে কোথায় যাচ্ছিস?

- আশেপাশে কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কিনা, তা দেখতে। ভাইয়া, ভাবীর জন্য খাবার কিনতে হবে।

- রেস্টুরেন্টের খাবার কিনতে হবে না। তোরা দু’জন ভিতরে যা। আমি বাড়ি থেকে তোদের সবার জন্য খাবার নিয়ে আসবো।

- আচ্ছা।

আদিত্য আর জ্যোতি আবার হাসপাতালের ভিতরে এলো। শুভর রুমে এসে দেখল , মিস্টার জন আর আরো একটা লোক শুভ আর সুমাইয়ার সাথে গল্প করছে। আদিত্য ভিতরে গিয়ে বুঝতে পারল গল্পটা ওদের নিয়েই হচ্ছে। শুভ মিস্টার জন আর উনার ম্যানেজারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো আদিত্য আর জ্যোতিকে। পরিচয় শেষ হলে মিস্টার জন প্রশ্ন করল, ‘শুভ সাহেব, এবার বলুন তো আপনারা ওই জঙ্গলে কীভাবে গেলেন?’

শুভ নিশ্বাস ছাড়ল। তারপর বলতে শুরু করল, ‘মিস্টার জন, আপনি যখন গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। তখন হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়। ঝড় শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আপনার উপর একটা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। আমি আর সুমাইয়া গাড়ি থেকে বের হয়ে যখন আপনার কাছে যাবো, তখনই আমাদের সামনে পাহাড় থেকে একটা গাছ ভেঙে পড়ে। আমি আর সুমাইয়া পিছিয়ে যাই তখন। ড্রাইভারকে বললাম গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে। আমরা সেখান থেকে আরো কিছুটা দূরে চলে এলাম। আগেই বৃষ্টি হয়েছিল। পাহাড়ের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ড্রাইভার গাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই পুরো পাহাড় ধষে পড়ে গাড়িটার উপরে। অবস্থা খারাপ দেখে জঙ্গলের দিকে দৌড় দিই আমরা। জঙ্গলের ভিতরে কিছুদূর যাওয়ার পরই দেখলাম অনেকগুলো লোক আগুন জ্বালিয়ে একসাথে কথা বলছে। ওরা যে সুবিধার লোক না তা বুঝতে পারলাম আরো কিছুক্ষণ পর। যখন দেখলাম ওরা সবাই অস্ত্রোপচার করছে।’

সবার দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা গভীর হচ্ছে। মিস্টার জন তাগাদা দিয়ে বলল, ‘থেমে গেলেন কেন? বলুন এরপর কী হয়েছে?’

শুভ আবার বলতে শুরু করল, ‘দু’টো দলের লোক ছিল ওখানে। একদল ওদের হাতে অস্ত্রো দিয়ে দিলো। ওরা অস্ত্রো নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমাদের দেখে ফেলল। পালানোর মতো সুযোগ ও পাইনি আমরা। ওরা সবাই চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরল। তারপর আমাদের হাত-পা, মুখ বেধে ভিতর ফেলে রাখল। আমাদের পকেটে মোবাইল থাকা স্বত্তেও তা কাজে লাগাতে পারিনি আমরা। হাত-পা বাধা অবস্থায় থাকার কারণে কাউকে ফোন দিতে পারিনি। ওরা পরে অবশ্য ফোন কেড়ে নিয়েছিল। এরপর একদল অস্ত্রো নিয়ে চলে গেল। আরেকদল থেকে গেল ওখানেই। এরপর অনেকটা সময় পেড়িয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে নিয়ে এলো আদিত্য আর জ্যোতি।’

সবাই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ল। আদিত্য মনে মনে বলল, ‘হারামজাদারা এত ভয়ঙ্কর আগে বুঝতে পারিনি।’

সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। অরিন খাবার নিয়ে এলে সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলো।

(চলবে...) আরো পড়ুন ‘অদ্ভুত নিয়তি’-এর ১৮তম পর্ব - ধারাবাহিক উপন্যাস : অদ্ভুত নিয়তি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড