• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘ডায়েরি’-এর ১০ম পর্ব

ধারাবাহিক উপন্যাস : ডায়েরি

  তাবাস্সুম মুন

০১ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৩৩
উপন্যাস
উপন্যাসছবি : আপসারা ওরিন (নিশা)

চাঁদকে বসার ঘরে বসালে সে আরিফের দিকে তাকায়। দেখে সে খুব অবাক হয় এই লোকটা তাকে পছন্দ করে। যার সাথে চাঁদের আগেও একবার দেখা হয়েছিলো। এই সেই চেহারা যা ভুলার মতো না। সেদিনের জন্য কতো চেয়েছিলো এই লোকটাকে ধন্যবাদ জানাতে কিন্তু সে আজ নিজেই এসেছে।

চাঁদের মনে পড়ে সেই দিনের কথা। প্রায়ই গলির মাথার ছেলেগুলো চাঁদকে কিভাবে দেখতো আর বাজে মন্তব্য করতো। তাদের তো একটাই কাজ, গলির মাথায় এইজন্যই দাঁড়িয়ে থাকে। একদিন রাস্তার ছেলেগুলো চাঁদকে অনেক বাজে বাজে কথা শুনাচ্ছিলো তাই কান্না করতে করতে হেঁটে যাচ্ছিলো। ছেলেগুলো তার কান্না দেখে আরও মজা নিচ্ছিলো তখন আরিফ বাসায় ফিরছিলো। গাড়ি থেকে চাঁদকে দেখেই লক্ষ্য করে। সামনে এগিয়ে চাঁদ এর অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে যখন বুঝতে পারে তখন তার খুব রাগ উঠে। দ্রুত পায়ে হেঁটে গিয়ে একটা ছেলের কলার ধরে খুব মারে। চাঁদ খুব অবাক হয় যখন দেখে আরিফ ছেলেগুলোকে আধমরা করে ফেলছে। তখন সে না পেরে গিয়ে থামায়। ছেলেগুলো আর কোনোদিন চাঁদকে ডিস্টার্ব করতে পারেনি আরিফের ভয়ে। তখন থেকে আরিফ অপেক্ষা করতো সকালে কখন সেই অপরিচিতা আসবে এই রাস্তা দিয়ে। প্রতিদিন সকালে দেখতো। তবে রাতে দেখতে পেতো না বা সারাদিনও না। তাই না পেরে সে চাঁদের সম্পর্কে খোঁজ নেয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

আরিফ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদের দিকে। দাদি বলে, এই পাগল এখন এত দেখলে বিয়ের সময় দেখবি কি ভাবে। বাছা এখন কম কম দেখো কারণ পুরো জীবন পড়ে আছে দেখার জন্য।

আরিফ লজ্জায় নিচে তাকিয়ে বলে, দাদি এমন পরীকে না দেখে থাকা যায় বলো। যাও দেখবো না।

জ্যোৎস্না আর দাদি হেসে মুখের সব দাঁত দেখাচ্ছে। দাদি চাঁদের গলায় এক ভরির স্বর্ণের হার পড়িয়ে দেয়। কিন্তু চাঁদের কোনো ধ্যান নেই। তার এসব একদম ভালো লাগছে না। এসব গহনা তার মোটেও পছন্দ না। শুধু বাবার দেওয়া, গহনাটা তার পছন্দের ছিলো। জ্যোৎস্না বেগম মেয়েকে ভিতরে যেতে বলেন। চাঁদ সোজা তার বাবার রুমে চলে যায়। বাবাকে জড়িয়ে ধরে বুকের সব জমানো কান্না ছেড়ে দেয়।

বলে, ‘বাবা ও বাবা উঠো না। আমার যে আর ভালো লাগছে না। তুমি কি জানো বাবা আমি কাউকে পছন্দ করি। আর তা কেউ জানেনা, আমি ভেবেছিলাম আমার পছন্দ-অপছন্দের সব কথা তোমাকেই বলবো কিন্তু বাবা কেনো তুমি এমন হয়ে গেলে। তোমাকে ছাড়া আমি বড্ড একা হয়ে গেছি। আমি ভালোবেসে ফেলেছি বাবা অনেক। তোমার পর আমি এই প্রথম কাউকে ভালো বেসেছি। তুমি তাকে দেখেছো? সে আর কেউ নয় বাবা আকাশ। উনাকে যে কখন ভালোবেসে ফেলেছি জানিনা উঠো না বাবা। আজ আমি তাকে ছাড়া কিভাবে অন্য কারো ঘরে যাবো বলো না বাবা। আমি যে সব কিছু হারাচ্ছি। আমি প্রথমে তোমার কথা হারিয়েছি আজ কতোগুলো দিন তুমি আমাকে চাঁদ মামনি ডাকো না। এখন আমি আকাশকেও হারাবো। আমাকে বলো না বাবা আমি কি করবো। উঠোনা বাবা। ও বাবা, আমি হেরে যাচ্ছি। নিজেকে অনেক বুঝিয়েছি আমি গরিব আরা সে বড়লোক কিন্তু আমি পারছি বাবা। ভালোবেসে ফেলেছি। একটু উঠো না তুমি। তোমাকে আমার আজ বড়ো প্রয়োজন। চাঁদের চোখের পানি আজ কোনো বাঁধা মানছে না। আসফাক সাহেব শুধু দেখেই যাচ্ছেন তার মেয়ের আকুতি মিনতিগুলো কিচ্ছু করতে পারছেন না। কারণ সে ফুল প্যারালাইজড হয়ে গেছেন। কথাও বলতে পারেন না। তার ও যে খুব কষ্ট হচ্ছে মেয়েটার চোখ পানি দেখে। একটু মেয়েটার মাথায় হাত বুলাতে ইচ্ছা থাকলেও তা পারছেন না।

চাঁদ কান্না থামিয়ে বলে, না বাবা আমি বাসি না কাউকে ভালো। আকাশ তো কখনো বলেনি সে আমায় ভালোবাসে। আমার তো তোমাদের ভালো রাখতে হবে। আমার ভালোবাসার একটা অধ্যায় তো শুধু তোমরা। আরিফ বলেছে তোমাদের দায়িত্ব নিবেন আর পিচ্চিদেরও। এর চেয়ে বেশি তো আমার ভালোবাসা না তাই না বাবা। তুমি চিন্তা করো না। তোমার মেয়ের সহ্য ক্ষমতা আছে। আমাকে পারতেই হবে। তুমি চিন্তা করোনা। চাঁদকে দেখে আসফাক সাহেবের চোখে পানি আসছে। তখনি চাঁদ এতো খুশি হয় যা বলার বাহিরে কারণ, তার বাবা এই প্রথম রেসপন্স করেছে। বাবা তুমি কাঁদছো। মা মা, আমার বাবা কাঁদছে আমার বাবা ঠিক হয়ে যাবে।

জ্যোৎস্না বেগম আরিফদের দুপুরের খাবার খাওয়াচ্ছিলেন তখনি চাঁদের চিৎকার শুনে এসে দেখেন সত্যিই তো আসফাকের চোখে পানি। আরিফ আর তার দাদিও এসে পড়ে। আরিফ আসফাক সাহেবের পাশে বসে বলেন, বাবা আমার বিশ্বাস আপনি ভালো হয়ে যাবেন। আমি আপনার ভালোর জন্য সব করবো। চিন্তা করবেন না। চাঁদ আরিফকে আসতে দেখে তার রুমে চলে যায়। এইদিকে দু’জনের মোটেও আরিফকে সহ্য হচ্ছেনা। তারা হলো তিয়ান আর অরুণিমা। তারা আরিফের আহ্লাদ করা কথা মোটেও সহ্য, করতে পারছে না। কারণ, সে নিজে আপুকে পছন্দ করেছে কিন্তু আপু না। আর তিয়ান আর অরুণিমা চাঁদের সব কথা শুনে বারান্দার জানালা দিয়ে এখন কি করবে তারা। তারা তাদের বোনের কষ্ট দেখতে মোটও পারছে না।

আরিফ আর দাদি যাওয়ার সময় অনেক বাজার করে দিয়ে যায় এমনকি চাঁদ এর বাবার জন্য অনেক ঔষধ ও কিনে দেয়। দু’দিন পর বিয়ে। একবারে বিয়ে করে নিতে চায়, আরিফের দাদি তাই এলকারা লোকদের খাওয়ানোর জন্য যতটুকু দরকার সব কিনে দিয়ে যাবে। এক কথায় মেয়ের জামাই হিসেবে সে পারফেক্ট।

চাঁদ যে সেই ঘরে ঢুকেছে আর বের হয়নি পলকহীনভাবে আকাশ দেখছে। কি অদ্ভুত না তার নামটার সাথে আকাশের নামটা অনেক যায়। আকাশের মাঝে চাঁদ। কিন্তু এটা তো বাস্তবে না, না চাঁদ আকাশের মাঝে আছে আর না থাকবে কয়েকদিন পর অন্য কারোর হয়ে যাবে। এই আলো অন্য কারো বুকে কি আলো দিতে পারবে? কিভাবে দিবে, এই চাঁদ এর আলোয় আলোকিত একজনের জন্য হতে ইচ্ছুক। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি কিছু করা যায়। আজ নিশিটাও এলোনা। ওর নাকি কোচিং এ পরীক্ষা চলছে তাই আসতে পারেনি। কাল আসবে। আর আকাশ সে কি একটুও মিস করছেনা তার চাঁদ এর আলোকে, করবেই বা কেনো তার দুনিয়া তো আলাদা। আসলে কি তাই। নিজের মনকে প্রশ্নের তীর দিয়ে নিজেই ক্ষতবিক্ষত করছে। পাগলের মতো লাগছে তার। মাথা ব্যথাটাও বাড়ছে। চাঁদ একসময়, ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ে।

আকাশ বারান্দায় বসে সেই চিরচেনা লেকের বেঞ্চটার দিকে তাকিয়ে আছে। এইখানেই তো তার নীলপরিকে দেখতো। আজ ছুটি নিয়েছে মেয়েটা তা জেনো আকাশের মানতেই ইচ্ছে করছেনা। তার কেবল মনে হচ্ছে চাঁদ এখানেই আছে কোথাও যায়নি। কেবল মনে হচ্ছে কিছু একটা হতে যাচ্ছে। তার যে তার কেশবতিকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে ।তখনি আকাশের ফোন একটা ফোন আসে।

- হ্যালো, কে বলছেন।

- হ্যালো ভাইয়া আমি তিয়ান। (তিয়ান চাঁদ ঘুমানোর আগে তার কাছ থেকে মোবাইল খেলার বাহানা করে ফোন নিয়ে সাথে সাথে আকাশের নাম্বার লিখে নেয়। এখন বাহিরে দারওয়ান এর ফোন থেকে ফোন দিয়েছে।)

আকাশ চেয়ারে হেলান দেওয়া ছিলো সাথে সাথে উঠে বসে। আর বলে, তিয়ান ভাইয়াটা আমার কি হয়েছে আমার ভাইটার, এইটা কার নাম্বার। তুমি কোথায়।

তিয়ান বলে, ‘ভাইয়া এইসব পরে জানা যাবে এখন শুনো। আমরা কোথাও যাইনি ভাইয়া। আপু মিথ্যে বলেছিলো তোমার কাছে। যাতে তুমি সন্দেহ করে বাসায় না আসো। ভাইয়া আমার আপুটা তোমাকে অনেক ভালোবাসে, ভাইয়া ও ভাইয়া শুন না, আমরা গরীব বলে কি আমার আপুকে ভালোবাসা যায়না? আপু আজ অনেক কেঁদেছে। এই বলে তিয়ান হু হু করে কেঁদে উঠে।’

আকাশ এর গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা সে কি শুনছে এইসব। তার চাঁদ, তার নীলপরি তাকে ভালোবাসে। এখন তার কি রিয়েক্ট করার দরকার। আর তিয়ান এভাবে কাঁদছে কেনো। আকাশ বলে, ‘তিয়ান ভাইয়াটা আমার কাঁদছো কেনো আমি তো আছি কি হয়েছে ভাইয়াকে বলো।’

তিয়ান বলল, ‘ভাইয়া আমার আপুটা যে অনেক কষ্টে আছে। ভাইয়া তুমি কি জানো আজ আপু কেনো আসেনি।’

- নাতো।

- ভাইয়া আজকে আপুকে দেখতে এসেছে। পরশু আপুর বিয়ে ভাইয়া। ও ভাইয়া কথা বলোনা কেনো আপু একটুও রাজি না বিয়েতে। কিন্তু ওই ভাইয়াটা বলেছে আমাদের দায়িত্ব নিবে তাই আপু রাজি হয়েছে। ভাইয়া আমাদের দায়িত্ব নেওয়া লাগবেনা আপু অনেক কষ্টে আছে আপুকে আটকাও ভাইয়া। আপুকে তারা আজ চেইন পড়িয়ে গেছে। আপু আজ সারাদিন কেঁদেছে। আমি জানি তুমি আপুকে পছন্দ করো, বলো করো। কথা বলো ভাইয়া কথা বলো।

আকাশের গলা ধরে আসছে। বুকে বা পাশটায় কেউ মনে হয় ছুড়ি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করছে এমন লাগছে তার। শরীর অবশ হয়ে আসছে, এখন কেউ মেরে গেলেও তার খবর থাকবেনা। তিয়ান কি বললো এটা। তার নীলপরির বিয়ে। এতগুলো সংবাদ একসাথে শুনলে কি করা উচিত সে ভেবে পাচ্ছেনা। খুশির সাথে এতো কষ্টের একটা কথা কিভাবে হজম করা যায়। চাঁদ একবারও চিন্তাও করলোনা তার কথা। একবারও বুঝলোনা এই আকাশের চাহনি, যে চাহনি ছিলো রিক্ততা-তিক্ততা মধুর ছোঁয়া, যেখানে ছিলো একজনেরই রাজত্ব আর সেই তাকে একবারও নলার প্রয়োজন বোধ করলো না এমনকি আজ মিথ্যেও বলেছে। কি করা উচিত তার এখন। নিজেকে খুব শক্ত করে ফোনের অপর পাশে তিয়ানের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে তাই আকাশ বলে,ভাইয়া কান্না করছো কেনো আমি আছিতো। আর কোনোদিনও নিজেদেরকে গরীব বলবেনা। ঠিক আছে। এখন লক্ষ্মী ছেলের মতো কান্না থামিয়ে আপুকে দেখে রাখো আমি আছিতো তোমার আপুর কোনো কষ্ট হবেনা আর তোমাদেরও। তিয়ানকে অনেকটা শান্ত করে আকাশ ফোন রেখে দেয়। তিয়ান দারওয়ান আন্কেলকে বলে, আঙ্কেল ভাইয়া বলছে সব ঠিক হয়ে যাবে।

দাড়ওয়ান বলে, আমাকে ক্ষমা করিস বাবা। আমি তো জানতাম না চাঁদের এই অবস্থার কথা। না হলে কখনো বিয়ের প্রস্তাব দিতাম না। আমি চাই আকাশ আশুক। ছেলেটাকে যে আমারও পছন্দ। মেয়েটার খেয়াল তো আকাশই রাখতে পারবে।

বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। আজ চাঁদ এর উপর ভীষন অভিমান, ক্ষোভ, রাগ সব হচ্ছে। একটা বার কি আমাকে বলা যেতো না? কি পায়েছে মেয়েটা নিজেকে গরীব ভেবে। নিজের পরিবারের জন্য নিজের জীবনটা শেষ করে দিবে। এমন কি আমাকে ভালোবাসে একটাবারও বলেও দেখলো না। নিজেকে কি মনে করে মহান হয়ে গেছে? এর শাস্তি তো হবেই। আকাশ কোট পরে সোজা বেরিয়ে যায় যাওয়ার আগে রোকসানা বেগমকে বলে তৈরি হয়ে থাকতে কি জন্য তৈরি হতে বলে তা জানায়নি। ছেলেটা সবসময় এমন আধমরা কথা বলে কখনো সম্পূর্ণ কথা বলেনা তাই রোকসানা বেগম খুব রাগ করেন।

আকাশ বেরিয়ে সোজা চাঁদের বাসায় যায়। সাথে একজনকে নিয়ে যায়। চাঁদ ঘুমিয়ে ছিলো। আকাশ চাঁদদের গেটের সামনে এসে অনেক জোরে দরজা নক করে। জোৎস্না বেগম এমন আওয়াজ শুনে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দেখেন আকাশ সাথে দারওয়ান আর একজন হুজুর দাড়িয়ে আছে। জোৎস্না বেগম আকাশকে দেখে যেমন ভয় পেয়ে যান তেমনি খুশিও হন। আকাশদের বসার রুমে বসতে বলে বলেন, ‘বাবা তুমি এই সন্ধ্যায়। এখানে কি কোনো কাজে এসেছো? আর ভাইজান আপনার কি হইছে একটু বলবেন।’

দারওয়ান মুচকি হেসে বলে, কিছু হয়নাই ভাবি তবে হইবো। তিয়ান আর অরুনিমা খুব খুশি হয়ে আকাশকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘ভাইয়া আমরা জানতাম তুমি আসবে।’ আকাশ বলে, ‘ভাইয়া আমার যে আসতেই হতো।’

জোৎস্না বলে, ‘আসলে কি হয়েছে আমাকে একটু বলোতো বাবা?’

আকাশ বলে, ‘সব শুনবেন আন্টি আর সব গুছিয়ে নিন। আপনার গুনধর মেয়ে কোথায়। একটু ডাকেন তো। অনেক হিসাব-নিকাশ বাকি আছে তার সাথে।’

জোৎস্না বেগম আকাশের কথায় কিছুটা হলেও আসল খবরের আঁচ পাচ্ছেন। তাই তিনি বলেন, বাবা ও তো ঘুমাচ্ছে মেয়েটা আজ শরীরটা ভালো না।

আকাশ বলে, ‘আর নাটক করতে মানা করুন আপনার মেয়েকে। ওকে আমি দেখে নিবো। আমাকে না বলে তাও মিথ্যে বলে বিয়ে করা হচ্ছে। বিয়ের সাধ আমি মিটাবোই আপনার মেয়েকে ডাকুন।

জোৎস্না বলেন, বাবা বিয়েটা তো ও করতে চায়নি আমার জন্য করছে।

তাহলে সংসারটা আপনি করুন। আমাকে কেউ এইটুকু পরিমান বুঝার চেষ্টাও করলেন না। আরে আপনারা তো আমার সাথে ছিলেন না তবে আপনার মেয়ে তো ছিলো। সে কেনো বুঝলোনা আমাকে তার উত্তর তাকে দিতে হবে। জোৎস্না বেগম বলেন আচ্ছা বাবা তুমি ওয়েটিং রুমে গিয়ে দেখো চাঁদ ওঠে কিনা। মেয়েটার শরীরটা ভালোনা তো।

জোৎস্না বেগমের কথা শুনতে শুনতে রুমে চলে যায় আকাশ। গিয়ে দেখে চাঁদ গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে। চোখের কোনে পানি হয়তো সারাদিন কেঁদেছে। একবার দুঃখগুলো মেয়েটা ভাগ করতে চায়না প্রতিবার আমারই যা করার করতে হয়, তবে কাল থেকে এখানে আর ঘুমাবেনা। তুমি কঠিন শাস্তি তো তোমাকে পেতে হবে। তোমার ঘুম হবে অন্য এক রাজ্যে তখন দেখাবো আকাশ কি জিনিস। আকাশ চাঁদ এর চোখে পানি ঢেলে দেয় যখন দেখে চাঁদ চোখ মেলে তাকিয়েছে সাথে সাথে কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করে।

(চলবে...) ‘ডায়েরি’-এর ৯ম পর্ব- ধারাবাহিক উপন্যাস : ডায়েরি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড