• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাণ্ডুলিপির কবিতা

অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় নীহারিকাপুঞ্জের মতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নিঃসঙ্গতা নামবে

  মীর রবি

১১ জানুয়ারি ২০২০, ১০:২৭
কবিতা
প্রচ্ছদ : কাব্যগ্রন্থ ‘ক্রস মার্কার’

ক্যালকুলেশন

মৃত্যুর পর অদৃশ্য শহর- আগলে রেখো জন্মের ভেতর। জাদুবাক্সে পুতুলের চোখ উপড়িয়ে কশরত করো- নাগরিক বাউল। বাবরি গন্ধে-দ্বন্দ্বে ছন্দে ট্রিগারের ক্ষমতা ফুরিয়ে গেলে ডেকো- ভূতের গলির শেষ মাথায় ভুতুল বসিয়ে দিব-নজর যেন না লাগে।

সমস্ত শহর প্রদক্ষিণের পর সিদ্ধান্ত নিয়ো-তোমার কেবলা কোন দিক। সোবেহ সাদিকের পবিত্র ছায়ায় মাজার রোডের মেয়ে-ধর্ষিত হও আর ধর্ষকের কেবলায় সিজদা দাও-দ্বিখণ্ডের ভয়ে। দ্বিখণ্ডিতই হলে-ছিলাম না বলে।

বরং এ শহর ছেড়ে চলে যাই- ত্রাসের ভিড়ে ভাঙারে জমা থাক বন্দুক ও আয়না। আয়নার ভেতর তোমার মুখ-বাঁদুর ঝোলানো টিপ-চাঁদের বুকে এঁকো করপোরেট বৃষ্টি।

স্টাফ কোয়ার্টার

অস্থির দিন-রাতের কথা ভেবে মন চলে যায় এলেনবাড়ি। বর্ষাকাল-মশা আর ব্যাঙের গানে সময় বাড়ে নিঃসঙ্গ ক্যালেন্ডারে। অভিমান বুড়োর মধ্যরাত, এক মগ বিরক্তি মুখে তেতো খাবার স্বাদ।

বিজয় সরণিতে ফুটবলে জয়ী হওয়ার রেকর্ডে রোদ পোহায় নভোথিয়েটার। ভার্সিটি পড়া মেয়ে-প্রেমিকার আঙুল কামড়ে বাড়ি ফেরে-মধ্যরাত। হাফপ্যান্ট পরা তরুণ কাজিন- হিসেব মেলায় বালিশের ব্যাক কভারে।

কোয়ার্টার ছাড়ার পর বেগুনি ব্রা, ব্ল্যাক জাঙ্গিয়া পাশাপাশি হয়। দেখি না ধুলোপড়া শহর- মুখ ধুয়ে নিই অন্য আয়নায়, সঙ্গম শেষে জল গড়ায় ঝরনায়।

অ্যাডভেঞ্চার

রাসায়নিক প্রস্ফুটন আর প্রোটনের ভেতর ঢুকে আছে কালের মহানায়ক, পদার্থ বিদ্যার পাঠে- চন্দ্রযানের নকশা। জাহাজের পাটাতনে বিছিয়ে সময়- মহাসমুদ্র পার। সমুদ্র না নদী, আমাদের জন্মের আগে- জানা নেই নাবিক-বঙ্গপোসাগরে কে ধরেছে মাছ। সাইপ্রাস বা ফাঙ্গাসের চিত্র এঁকে জীববিজ্ঞানের ছাত্র টেস্ট করে নাই-দৈর্ঘ্য কিংবা প্রস্থে কতটুকু লবণ। আয়োডিনের অভাবে সমুদ্রপার- ভাসছে, ডুবছে জলোচ্ছ্বাসে। সাঁতারের স্কুল পৌঁছায়নি উপকূল, শিপইয়ার্ড ফার্মে লাফিয়েছিল কেউ, গোপন দুরবিনে ভেঙে গেছে থাই স্প্রাই।

সাগরের বুকে চাঁদ জাগলে, ব্যক্তিগত বোটে-অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় নীহারিকাপুঞ্জের মতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নিঃসঙ্গতা নামবে, ভাবা যাবে ফিলোসফির শেষ অধ্যায়। অথবা মুনি-ঋষির ধ্যানে ব্যাঘাত ঘটিয়ে অভিশপ্ত হলে জানব- পতনের পূর্বাভাস, আবহাওয়া অধিদপ্তর ঝড়ের খবর দিবে।

সু-উচ্চ পর্বত চূড়ায় লাল পতাকা উড়িয়ে চিৎকার করলে শুনবে না-আনন্দ না দুঃখ, এ কোন উল্লাস! ডলফিনের চোখে বিঁধে আছে- ডায়মন্ড উজ্জ্বলতা। মহাকাশে অনাবিষ্কৃত কোনো গ্রহে হারিয়ে নভোচারী-নো সিগন্যাল, বা দ্রাঘিমা রেখা থেকে একটু সরে বিধ্বস্ত বিমান-টাইটানিকের মতো চুরমার হলে, বরফের ভেতর আঁকব জলরাশির মানচিত্র। পৃথিবীর ফুসফুসে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হলে- ধ্বংস হবে পরাশক্তি, বিফলে যাবে মৈত্রী চুক্তি। হুইস্কির বোতলে পানি পান করা আইনের ছাত্র-হেগের কোনো আদালতে ওকালতি প্রাকটিসে জানবে সমুদ্র আইন এবং বিষণ্ন আইনের শরীর ক্ষয়ে ফণিমনসার বন দুঃখ করবে এই ভেবে- আমি কোনো দ্বীপ কিনতে পারিনি।

মহাপ্রলয়ের দিন- নদী ও সমুদ্র, অবিরত ঝরনার জল, প্লাবিত নুহের নৌকা। আকাশ ও সমুদ্র এক হলে সি বিচে প্রেয়সীর ঠোঁট চুম্বন, বস্তু সত্য দ্বিত্বতায়-অনির্দিষ্ট সময়ের ঘড়ি ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক- আবিষ্কার করবেন মাকড়সার জাল বুনন, জলবায়ু সম্মেলনে উৎপাদিত হবে বৃষ্টি ও জল।

আরও পড়ুন- পিতলি ঘড়ার বর্শ্যি দেড় টাহা দাম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড