• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্ধাত্ব ডেকে আনে ওভারিয়ান সিস্ট, কী করবেন?

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৬ মে ২০২২, ১৬:৫০
নারীর ওভারিয়ান সিস্ট
নারীর ওভারিয়ান সিস্ট। (ছবি : সংগৃহীত)

আজকাল বেশিরভাগ নারীরা ওভারিয়ান সিস্ট (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ) বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) জটিলতায় ভুগে থাকেন। যে কোনো বয়সী নারী এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আসলে ওভারি বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়।

নারীরা অনেক ধরনের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যেমন– ফাংশনাল সিস্ট, পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট, অ্যান্ডমেট্রিওটিক সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্ট এডোনোমা। তবে একাধিক সিস্টকে একত্রে পলিসিস্ট বলা হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয় ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

মূলত লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে সিস্ট থেকে মুক্তি মেলে। তবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন কিংবা সঠিক চিকিৎসা না নিলে এই সমস্যা নারীর বন্ধ্যাত্বও ডেকে আনতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত নারীর ডিম্বাশয় বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে। যদিও এই হরমোন নারীর শরীরে খুব কম থাকে, কারণ এটি মূলত পুরুষের হরমোন।

ডিম্বানু তৈরি হওয়ার জন্য যে হরমোনের প্রয়োজন সেটি যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি না হলে, ডিম্বাণু তৈরি করতে পারে না শরীর। ফলে ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট সিস্ট দিয়ে একটা আস্তরণ তৈরি হয়। এর ফলে নারীর শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, মন-মেজাজ খারাপ থাকা, শরীরে ইনসুলিন কাজ না করা, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি।

সমস্যাটি সাধারণত কমবয়সীদের মধ্যেই বেশি দেখা দেয়। তবে সন্তান হওয়ার পর কিংবা ৩০ বছর বয়সী নারীর মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিসিওডি মূলত লাইফস্টাইল ডিজিজ।

কেন হয় ও কী করবেন?

শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে দেহে হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পিসিওএস থেকে রেহাই পেতে কার্ডিও ব্যায়াম সবচেয়ে উপযোগী। প্রতিদিন সকালে ২০ মিনিট জোরে হাঁটা বা জগিং করা, সাইক্লিং, সাঁতার ও ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম এই রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। এর পাশাপাশি যোগব্যায়ামও বেশ উপকারী।

সমস্যা এড়াতে সূর্যনমস্কার করতে পারেন। এটি সম্পন্ন করতে মোট ১২টি আসন করতে হয়। যা খুবই উপকারী শরীরের জন্য। এছাড়া ভুজঙ্গাসন, বক্রাসন, পবনমুক্তাসন, জানুশিরাসন, নৌকাসন, নভ্যাসন নিয়মিত করলে মিলবে উপকার।

প্রতিটি আসনই ১-৩ মিনিট সময় ধরে ধরে করুন। প্রথমেই হয়তো বেশি সময় করা সম্ভব নয়। ৩০ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে। একেকটি ব্যায়াম ৩-৪ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ইস্টার্ন মেডিসিনের ঐতিহ্যবাহী আকুপাংচার পেলভিক অস্বাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যথা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। আকুপ্রেসার ম্যাসেজ, শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রশিক্ষণ, ধ্যান, ভেষজ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্ষুদ্র সূঁচ ফোটানোর থেরাপিও পিসিওডির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

এই রোগীদের অবশ্যই বেশি করে শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। এর পাশাপাশি আদা, হলুদ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ব্যবহার বাড়াতে হবে। ক্যামোমাইল চায়ে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব আছে, তাই এটিও অন্তর্ভূক্ত করুন।

অন্যদিকে ফ্ল্যাক্সসিড হরমোন ফাংশন সংশোধন করে ডিম্বাশয়ের সিস্ট দূর করতে সাহায্য করে। এতে প্রদাহবিরোধী উপাদান ছাড়াও ভিটামিন বি৬ আছে, যা হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড