৯ আয়ুর্বেদ উপায়ে দ্রুত ওজন কমান

ওজন কমানোর রেসে বর্তমানে সবাই দৌড়াচ্ছেন। নিয়মিত শরীচর্চা ও সঠিক ডায়েট অনুসরণের মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখলে ওজন কমানো সহজ হয়।

যেমন খাওয়ার সময় ধীরে সুস্থে মনোযোগ সহকারে খাওয়া উচিত। তাতে খাবার দ্রুত হজম হয়। শুধু ব্যায়াম ও খাদ্য আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে না, কিছু লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরও খুব কার্যকর হতে পারে।

ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. দিক্ষা ভাবসার তার ইনস্টাগ্রামে এমন কিছু বিকল্প দিয়েছেন, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করতে পারে। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে-

১. ওজন কমাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে চিনি বাদ দিতে হবে। কারণ সাদা চিনি শরীরের জ্য ক্ষতিকর। তার বিকল্প হিসেবে গুড় খেতে পারেন। তবে স্বল্প পরিমাণে।

২. যদি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে ঠান্ডা পানি খাবেন না। তার পরিবর্তের হালকা গরম পানি পান করুন। গরম পানি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। একইসঙ্গে বিপাকক্রিয়াও উন্নত হয়, ফলে হজমশক্তি বাড়ে।

৩. দুপুরের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। কারণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা হলো মাঝারি থেকে ভারী খাবার খাওয়ার সেরা সময়। এ সময় মেটাবলিজম খুব ভালো থাকে। তাই ওজন কমাতে হলে দুপুরের খাবার বাদ না দিয়ে ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই ভালো।

৪. রাতের খাবার সন্ধ্যার পরপরই অর্থাৎ ৮টার মধ্যে খেয়ে নিন। রাতে দেরি করে খেলে কোনোদিন ওজন কমবে না। রাতের খাবারে পাতে রাখুন ২টি রুটি অথবা সামান্য ভাত।

৫. পাউরুটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। রাতে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। বেশি ক্ষুধা লাগলে মুড়ি বা চিড়া খেতে পারেন। তবে ভারী কিছু খাবেন না।

৬. খাবার খাওয়ার সময় ​ভালো করে চিবিয়ে খান। এতে বদহজমের সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। তাছাড়া ধীরে সুস্থে খেলে খাবারে উপস্থিত প্রতিটি উপকারী উপাদান শরীর ঠিক মতো শোষণ করতে পারে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেবে না।

৭. ফলের রসের পরিবর্তে আস্ত ফল খান। কারণ আপনি যখন ফলের রস পান করবেন তখন এতে উপস্থিত ফাইবার প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। তবে যখন ফলগুলো চিবিয়ে খাবেন তখন হজম ঠিক আপনার মুখ থেকে শুরু হবে ও ফাইবারও বজায় থাকে। তাই আয়ুর্বেদ অনুসারে, ফলের রস পান করার চেয়ে ওজন কমাতে তাজা ফল খাওয়া ভালো।

আরও পড়ুন : আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে সহজেই ওজন কমান

৮. প্রতিদিন একটু হলেও হাঁটুন। আর্য়ুবেদ মতে, হাঁটা অবশ্যই ভালো এ ছাড়া সারাদিন সক্রিয় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে নড়াচড়া করলে কার্যকলাপ, নমনীয়তা বজায় থাকে ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়।

৯. পাশাপাশি দৈনিক শরীরচর্চা করুন। ভালো ঘুম, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে শরীরচর্চা করাও ওজন কমানোর একটি ভালো উপায়। তাই নিজেকে সক্রিয় রাখুন। এজন্য দৈনিক যোগব্যায়াম, হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতারের মতো পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

ওডি/জেআই