• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সেহেরিতে কী খেলে ঠিক থাকবে স্বাস্থ্য?

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৮ মে ২০১৯, ১৯:২০
খাবার
ছবি : প্রতীকী

বছর ঘুরে আবারও এসেছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ বছর রোজা রাখতে হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। গরমের মধ্যে এত দীর্ঘ সময় রোজা থাকা অনেকের জন্যই বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। গরমের ফলে শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায় ঘামের মাধ্যমে। অনেকেই সেহেরিতে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন দীর্ঘ সময় রোজা থাকার জন্য। একই সাথে সেহেরির সময়ে পানিও পান করে থাকেন অনেক বেশি। কিন্তু এটি কতটা স্বাস্থ্য সম্মত এবং রোজা রাখতে কতটাই বা সাহায্য করে থাকে তা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেহেরির সময়ে কি ধরনের খাবার খেলে দীর্ঘ সময় রোজা থাকলেও শরীরে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

আঁশ জাতীয় খাবার :

সেহেরিতে যতটা সম্ভব আঁশ জাতীয় খাবার রাখতে চেষ্টা করুন। এমনিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খাবার পুরোপুরি হজম হতে আট ঘণ্টা সময় লাগে। তবে আঁশ জাতীয় খাবার হজম হতে একটু বেশিই সময় লাগে। এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং শরীরেও শক্তি জোগায় পরিমাণ মতো। আঁশ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কলমি শাক, কচুশাক, বেগুন, গাজর, বরবটি, মটরশুটি, টমেটো, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, লাউ, সজনে, ডাঁটা এইসব সবজি। আর আঁশ যুক্ত ফলের মধ্যে রয়েছে বেল, পাকা আম, পেয়ারা, নারিকেল, কাঁঠাল, এবং আপেল। এছাড়াও আটা, কাঁচা মরিচ এবং সরিষাতেও বেশ পরিমাণে আঁশ রয়েছে। সেহেরিতে এইসব শাক সবজি এবং ফলমূল খেলে রোজায় অনেক বেশি সুস্থ থাকা যায়।

চা, কফি থেকে দূরে :

অনেকেই আছেন যাদের চা এবং কফি না হলে চলেই না। দিনে কয়েক কাপ চা কফি তাদের চাই-ই। কিন্তু এই দুটো পানীয় শরীরের ভালো করার পাশাপাশি ক্ষতিও করে বেশ। চা কফি পান করলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেহেরির পর অনেকেই চা-কফি পান করেন সারা দিনের তেষ্টা একেবারে মিটিয়ে নিতে। এই কাজটি কখনোই করবেন না। এগুলো করলে রোজায় পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ঘুমের সমস্যার মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

তৈলাক্ত খাবার পরিহার :

সারা দিন রোজা রাখলে ভাজাপোড়া এবং চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই সাথে হৃদযন্ত্রেও বাঁধতে পারে ঝামেলা। তাই এইসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। সেহেরিতে কম তেলে রান্না করা ঝোলের তরকারি খেতে পারেন। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।

পরিমিত খাবার গ্রহণ :

সারা দিন রোজা রাখার জন্য অনেকে সেহেরিতে বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন। এর ফলে শরীর তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই কারণে পেটের নানা সমস্যা থেকে শুরু করে কিডনি এবং হৃদপিণ্ডেও এর প্রভাব পড়তে পারে। সেহেরির সময় পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। খাবার ভালো মতো চিবিয়ে খাবার অভ্যাস করুন। কেননা এর ফলে শরীর খাবারে থাকা সম্পূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এতে দীর্ঘ সময় শরীরে বল পাবেন।

পানি পান করুন নিয়ম মেনে :

ইফতারের পরপরই অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করে ফেলেন অনেকে। একই রকমভাবে সেহেরির শেষেও পানি পানের হিড়িক লেগে যায় অনেকের মধ্যে। রোজায় এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করুন। ইফতার এবং সেহেরির মধ্যবর্তী সময়ে ৮- ১০ গ্লাস পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাস করুন।

একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে চললেই রমজান শেষে নিজের স্বাস্থ্যকে আরও সুন্দর রূপে আবিষ্কার করতে পারবেন।

ওডি/এসএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড