• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মানুষের ভিড়ে ভয়?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১৮
ভয়
ছবি : প্রতীকী

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি বা ‘লোকে কী বলবে’ ভাবার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সবসময় যে এই মানসিক সমস্যাটি ছিল না তা নয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এই ভীতি আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। তাছাড়া, চিরাচরিতভাবেই যেকোনো কাজ করতে গেলে, কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বা সামাজিক কোনো আবহে প্রবেশ করলে নিজের চাইতে অন্যদের কথা বেশি ভাবা, ইচ্ছে থেকে নয়, ভীতি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া- এটা তো আমাদের মধ্যে আছেই।

এমন এক আবহে, এমন এক পরিস্থিতিতে কী করে এই সামাজিক উদ্বিগ্নতা বা সোশ্যাল অ্যাংজাইটি থেকে বেরোবেন? চলুন না, কিছু উপায় দেখে নেওয়া যাক-

নেতিবাচক সব কাজ থেকে দূরে থাকুন-

আমরা না চাইতেও এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয় যেগুলো সোশ্যাল অ্যাংজাইটিকে বাড়তে সাহায্য করে। এই যেমন- চাইলেও হয়তো অফিসের এমন কোনো কাজ বা পরিস্থিতিকে আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অনেকেই অ্যালকোহল পান করেন, অতিরিক্ত খাবার খান।

একটি নেতিবাচক ব্যাপারের মুখোমুখি হন অন্য একটি নেতিবাচক ব্যাপার দিয়ে। কিন্তু এমনটা আপনার জন্য দ্বিগুণ ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এমন সব নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকুন। অন্যথায়, আপনার এই উদ্বিগ্নতা আরও বড় কোনো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ভয়ের মুখোমুখি হোন-

আমাদের মধ্যে থাকা সোশ্যাল অ্যাংজাইটির আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এটি আমাদের সবসময় কাবু করে রাখে, ভয় পেতে বাধ্য করে। আপনি কিন্তু চাইলেই এই ভয় থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। আবার ভয়ের মুখোমুখিও হতে পারেন।

মনে করুন, একগাদা মানুষের ভিড়ে আপনি যেতে পছন্দ করেন না। স্মার্টফোনে একটা কনফারেন্স কল নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন। আপনি এক্ষেত্রে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে পারেন। যেটা আপনার ভেতরের ভয়কে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

আবার এক্ষেত্রে আপনি সামনে এগিয়ে ভয় পাচ্ছেন বা উদ্বিগ্ন হচ্ছে এমন কাজগুলো করে দেখতে পারেন। একবার মুখোমুখি হলে আপনার ভেতরে থাকা এই ভয় কেটে যাবে। হয়তো একবারে নয়, আরও কয়েকবার এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে। তবে পিছিয়ে না থেকে ভয়ের মুখোমুখি হওয়াটাই এক্ষেত্রে বেশি সাহায্য করবে আপনাকে। ভয় না পেয়ে তাই ভয়ের মুখোমুখি হন।

চিন্তাকে আটকে রাখুন-

সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে ভোগেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণে চিন্তা করাটা বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। যেক্ষেত্রে হয়তো কোনো সমস্যাই তৈরি হবে না, সেখানে অনেক ভেবে ভেবে খুব সামান্য ব্যাপারকে বড় কোনো সমস্যায় পরিণত করেন তারা। আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানে যান তাহলে হয়তো কিছুই হবে না। আপনি খুব সহজেই সবার সাথে কথা বলে, সৌজন্য বিনিময় করে সময়টা কাটিয়ে দিতে পারবেন।

তবে, সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন এমন মানুষগুলো আরও অনেক নেতিবাচক সম্ভাবনাকে এক্ষেত্রে মাথায় ঢুকিয়ে নেন এবং পুরো ব্যাপারটিকে অনেক ভীতিকর বানিয়ে ফেলেন। তাই আপনি এমন একজন মানুষ হলে, প্রথমেই আপনার এই অতিরিক্ত চিন্তাকে আটকে রাখুন। একবার আপনার ভয়ের মুখোমুখি হয়েই দেখুন না কোনো চিন্তা ছাড়া। দেখবেন, আপনার চিন্তার জগতটাই পাল্টে গিয়েছে।

মানুষকে নিয়ে ভাবুন-

সামাজিক উদ্বিগ্নতা থেকে দূরে থাকার একটি বড় উপায় হচ্ছে অন্যদের জন্য, অন্যদের নিয়ে ভাবা। অন্য কারো জন্য ভালো কিছু করা। এতে করে আপনি ভালো বোধ করবেন। ফলে নেতিবাচক যে চিন্তাগুলো, সেগুলো থেকে খুব সহজেই দূরে থাকা সম্ভব হবে আপনার পক্ষে।

কী ভাবছেন তাহলে? সামাজিক উদ্বিগ্নতা আমাদের সবার মধ্যেই কাজ করে। এক্ষেত্রে এই সমস্যাটির মুখোমুখি হওয়াটা অনেক বেশি দরকার হয়ে পড়ে। তাই, অনেক বেশি চিন্তা করা বা অমূলক ভয় পাওয়া বন্ধ করুন। দেখবেন, আপনার মধ্যকার ভীতিকে খুব সহজেই হারিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারছেন আপনিও!

সূত্র- মেডিকেল নিউজ টুডে।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড