লাইফস্টাইল ডেস্ক
বর্ষা শুরু হবার সাথে সাথেই ভাইরাসজনিত বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। চিকুনগুনিয়া রোগ ডেঙ্গু রোগের মতই মশা বাহিত। স্ত্রী জাতীয় এডিশ ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড় থেকে চিকুনগুনিয়া রোগ হতে পারে। চিকুনগুনিয়া রোগ হলে বেশ ভুগতে হয়। এটি শুধু জ্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। শরীরের হাড়ের জোড়াগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথা সৃষ্টি হয়ে অনেকদিন অবধি থাকতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণগুলো কী কী।
তাপমাত্রা বেশি :
ডেঙ্গু রোগের সাথে চিকুনগুনিয়া রোগের বেশ মিল রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ডেঙ্গু রোগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চিকুনগুনিয়া রোগে শরীরের তাপমাত্রা ডেঙ্গু জ্বরের থেকে একটু বেশিই থাকে। স্বাভাবিক পর্যায়ে এটি ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে এই তাপমাত্রা টানা ৫ দিন নাগাদ থাকতে পারে। তবে একসময় এমনিতেই সেরে যায় জ্বর।
শরীর ব্যথা :
চিকুনগুনিয়া রোগের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো জ্বরের পাশাপাশি শরীরের হাড়ের জোড়াগুলোতে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে হাত পায়ের আঙুল, গোড়ালি মেরুডণ্ড, কবজি, ঘাড় এবং বাহুর মধ্যে ব্যথার পরিমাণ অনেক বেশি হয়। এই ব্যথা জ্বর সেরে যাবার পর অনেকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। ব্যথার তীব্রতা এতটাই যে মনে হয় হাড়ের মধ্যে কেউ হাতুড়ি পেটা করছে। জ্বরের সাথে শরীরের এমন তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
মাথা ব্যথা :
হাড়ের জোড়ার ব্যথার পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া হলে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা দীর্ঘ সময় জুড়ে থাকায় মাথা তুলে বসা যায় না। মাথা ব্যথা ছাড়াও চিকুনগুনিয়া হলে মাংস্পেশিতেও ব্যথা হতে পারে কারও কারও। মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরে কোন বল পাওয়া যায় না।
এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর থেকে চিকুনগুনিয়া রোগকে আলাদা করা যায় প্লাটিলেট এর সংখ্যা দ্বারা। ডেঙ্গু জ্বর হলে রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। এর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু চিকুনগুনিয়া হলে এসবের কোন সম্ভাবনা নেই।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড