• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চোখের পাতায় ঘুম নামুক সহজ কিছু উপায়ে

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫০
ঘুম
ছবি : প্রতীকী

আজকে রাতে খেলা আছে কিংবা আছে পড়াশোনার কাজ। কারও হয়তো রাত জাগতে হলো অফিসের কাজ শেষ করার জন্য, কারও আবার এমনিতেই। কিন্তু শরীর তো আর এতোকিছু বোঝে না। নির্দিষ্ট সময়ে না ঘুমিয়ে পড়লে শরীরে নানারকম প্রভাব পড়বেই। অনেকসময় দীর্ঘসময় ধরে উল্টোপাল্টাভাবে ঘুমালে শরীর নেতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। ঘুমানোর সময় হলেও তাই আর ঘুম আসতে চায় না।

কী করবেন এমনটা হলে? কয়েকদিনের রাত জাগার জন্য তো আর সবসময় ঘুমের সময় বদলানোর মানে হয় না, তাই না? চলুন, জেনে নেওয়া যাক দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার কিছু কার্যকরী ও সহজ কৌশল-

বাজে অভ্যাস ত্যাগ করুন-

ঘুমোতে যাওয়ার সময় আপনার প্রয়োজন ঘুমের দিকে মনোনিবেশ করা। ঘুম সাথে সাথে না আসলে ধূমপান করা বা অন্যকোনো বাজে অভ্যাসের দারস্থ হওয়া আপনার ঘুম এনে তো দেবেই না, বরং আরও দূরে তাড়িয়ে দেবে। তাই, ঠিক সময়ে ঘুমোতে চাইলে বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন। এমনকি অতিরিক্ত কফি বা চা পান করা থেকেও বিরত থাকুন।

প্রযুক্তিকে বলুন ‘বিদায়’-

না, সবসময়ের জন্য নয়। তবে ঘুমানোর সময় অন্তত নিজের মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপকে দূরে রাখুন। ঘুম আসছে না বলে একটা মুভি দেখতে বসে গেলেন কিংবা ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও সাথে কথা বলা শুরু করলেন- এমনটা করলে আপনার ঘুম আদৌ আসবে না।

আরও পড়ুন : ৬ ঘণ্টার কম ঘুমাচ্ছেন, বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি!

ঘুমানোর সময় সম্ভব হলে ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখুন। হ্যাঁ, অনেক দরকারি কাজের কথা ঘুমানোর সময়েও আসতে পারে আপনার ফোনে। তবে ঘুমটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ফোন নয়, ঘুমকে প্রাধান্য দিন।

গোসল করুন-

শুনে অবাক লাগছে? আরে, গোসল করলে তো ঘুম আরো চলে যাবে। এইটাই ভাবছেন তো? মূলত, অনেকসময় আমাদের ঘুম না আসার কারণ হয় আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কর্মক্ষমতা ও উত্তাপ। হালকা কুসুম পানিতে গোসল সেরে নিন। দেখবেন ক্লান্ত লাগছে। এতে করে শরীরের হজম করার ক্ষমতা কমে যায় এবং ঘুম আসাটা সহজ হয়।

ঘরের উষ্ণতা কমিয়ে আনুন-

গোসল করতে ইচ্ছে করছে না? তাহলে ঘরের উষ্ণতা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনুন। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ঘরের উষ্ণতা এই পরিমাণ থাকলে মানুষের হৃদপিণ্ডের গতি এবং হজমের ক্ষমতা খানিকটা ধীর হয়ে যায়। ফলে ঘুমিয়ে পড়তে সহজ হয়।

মোজা পরিধান করুন-

বিশ্বাস করুন, মোজা পরার পেছনেও ভালো ঘুম হওয়ার মতো কারণ রয়েছে। মোজা পরিধান করলে পা গরম হয়। আর পা গরম হলে রক্তকণাগুলো ত্বকের নিচে আকৃতিতে বিস্তৃত হয়। একটা সময় গিয়ে এর ফলে শরীরের বাকি অংশ তুলনামুলকভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যায় আর ঘুম চলে আসে।

পছন্দের স্থানটিকে কল্পনায় আনুন-

অনেকেই ঘুম না আসলে ভেড়া গুনতে থাকেন। কিন্তু গবেষকদের মতে, মানুষ যদি তার পছন্দের কোন স্থানের ব্যাপারে কল্পনা করে, তাহলে অন্যান্য পদ্ধতির চাইতে ২০ গুন বেশি দ্রুতগতিতে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে সেই স্থানটি অবশ্যই তার মনকে প্রশান্তি দেয় এমন কোন স্থান হতে হবে।

গান ছেড়ে দিন-

প্রতি মিনিটে ৬০-৮০ বিটের কোনো সুর বা গান ছেড়ে দিন। ঘুমের ঠিক ৪৫ মিনিট আগে এই কাজটি করলে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন। অন্তত গবেষকদের গবেষণা তাই বলে।

পছন্দের গন্ধ ব্যবহার করুন-

আপনাকে কোন গন্ধটি সবচাইতে বেশি প্রশান্তি এনে দেয়? খুঁজে বের করুন সেই গন্ধটিকে আর ঘরে ব্যবহার করুন ঘুম না আসলে। এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার সবচাইতে ভালো কাজ করে বলে জানা যায়। তবে আপনার ক্ষেত্রে পছন্দে ভিন্নতা থাকতেই পারে।

কোনভাবেই ঘুম আসছে না? তাহলে উঠে পড়ুন বিছানা থেকে। না, টেলিভিশন, ফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে বসবেন না। অন্যকোনো কাজ নিয়ে দশ মিনিট ব্যস্ত থাকুন। দেখবেন আপনার চোখ আর মন ক্লান্ত হয়ে হয়ে গিয়েছে। আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন।

মূল লেখক- ডক্টর হ্যান হং জুয়ান, মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটাল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড