• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সন্তানের এই আচরণগুলো কি স্বাভাবিক?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:১৬
সন্তান
কোনো একটা মতের বিরুদ্ধে যাওয়া এই বয়সের স্বভাব (ছবি- ইন্টারনেট)

কিশোর কিশোরীদের মানসিক অবস্থা খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়। এছাড়া তাদের হুট করে রেগে যাওয়া, একটু বেশিই বিরক্ত হওয়া- এই সবগুলো ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত থাকেন বাবা-মা। নানারকম কারণ খুঁজে বের করেন তারা এগুলোর পেছনে। কিন্তু, কখনো কি ভেবেছেন যে, আপনার সন্তান যেমন আচরণ করছে সেটা খুব স্বাভাবিক কিছুও হতে পারে?

যদিও সন্তানের আচরণের স্বাভাবিকতা এবং অস্বাভাবিকতা নির্দিষ্ট করে বুঝতে পারা অভিভাবকের জন্য কঠিন হতে পারে, তবে রেগে যাওয়া বা অদ্ভুত আচরণ করা ছাড়াও এমন কিছু ব্যাপার আছে যেগুলোর দিকে তারা সঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারেন না।

চলুন, আজ এমন কিছু দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলো আপনার সন্তানের জন্য অস্বাভাবিক মোড় নিতে পারে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের এই দিকগুলোকে কখন অস্বাভাবিক এবং কখন স্বাভাবিক বলা যায়? দেখে নিন এক নজরে।

ঘুম

স্বাভাবিক- কিশোর কিশোরীদের ঘুমানোর প্যাটার্নটা শিশু এবং বয়স্কদের চাইতে অনেকটা আলাদা। তারা সাধারণত রাত একটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুমাতে চায়। আর এটাই স্বাভাবিক। তাই তাদের একটু দেরি করে ঘুমানো বা দেরি করে জাগাকে অস্বাভাবিক বলার কোনো কারণ নেই।

অস্বাভাবিক- যদি আপনার সন্তান দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকে, সারা রাত না ঘুমাতে পারে- সেক্ষেত্রে এ ব্যাপারে খানিকটা মনোযোগী হোন এবং তার সমস্যার ব্যাপারে খোঁজ নিন।

হতাশাজনক ও অস্থির আচরণ

স্বাভাবিক- আপনার শিশু কি খুব বেশি অস্থির থাকছে, মুডি হয়ে উঠছে বা রেগে যাচ্ছে? এটা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমন সমস্যা হতেই পারে।

অস্বাভাবিক- তবে এই হতাশা বা অস্থিরতা যদি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে কথা বলুন। অনেকসময় রাগারাগি থেকে মারামারি বা অন্যান্য ক্ষতিকর ফলাফল দেখা দিতে পারে। এমনটা হলে ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিন।

পড়াশোনায় অমনোযোগিতা

স্বাভাবিক- আপনার শিশু কি পড়তে চাইছে না? তার পড়াশোনার ফলাফল কি খুব একটা ভালো হচ্ছে না? আপনি নিজেও হয়তো এমন একটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। তাই এই সময়ে পড়তে না চাওয়া বা পরীক্ষার ফলাফল খুব একটা ভালো না নিয়ে আসা চিন্তার কারণ হওয়ার কথা নয়।

অস্বাভাবিক- সমস্যা তখন দেখা দেয় যখন আপনার শিশুটি পড়াশোনা একেবারেই না করে বা পরীক্ষার খারাপ ফলাফল নিয়ে এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে যে, তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হয়। অনেকসময় দেখা যেতে পারে যে, আপনার সন্তান পড়াশোনা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকার কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে বা অন্যান্য কাজ করতে পারছে না। এসব ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকুন।

বিদ্রোহ করা

স্বাভাবিক- কোনো একটা মতের বিরুদ্ধে যাওয়া এই বয়সের স্বভাব। হয়তো আপনি তাকে খেলতে যেতে মানা করছেন, আপনার সন্তান তা মানতে চাইছে না একেবারেই। এমন বিদ্রোহ খারাপ তো নয়ই, বরং বেশ ভালো। এতে করে নিজের জন্য কথা বলতে একটু একটু করে শিখতে শুরু করবে আপনার সন্তান।

অস্বাভাবিক- আপনার সন্তান কি কোনো আইন মানতে চাইছে না? ঘরোয়া আইন না মানা একরকম। আবার দেশের কোনো আইন না মানতে চাওয়া অন্যরকম। তাই, এই ব্যাপারগুলো আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান ঠিক কী চাইছে তা পর্যবেক্ষণ করুন।

এমন কোনো ব্যাপারে আপনার সন্তানের মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে সে ক্ষেত্রে তার সঙ্গে কথা বলুন। তার বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলুন। এছাড়াও, সন্তানের সঙ্গে সবসময় কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে রাখা প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্যই দরকারি। এতে করে যে কোনো ব্যাপারে শিশু তার বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারে। বিশ্বাস করতে পারে। শারীরিক বা মানসিক কোনো পরিবর্তন হলেও সেটা নিয়ে লুকানোর মানসিকতা রাখে না।

আপনি আপনার শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ক তৈরি করেছেন তো?

সূত্র- হেলথলাইন

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড