• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ম্যানহাটন প্রজেক্ট

হিরোশিমা-নাগাসাকির ভাগ্য নির্ধারণী একটি চিঠির ইতিহাস

  এস এম সোহাগ

০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৮:১৭
আলবার্ট আইনস্টাইন
বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী পদার্থবিদের স্বাক্ষরকৃত একটি চিঠি বিশ্বের ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

নাৎসি বাহিনী এমন এক পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে যা কেবল একটি নৌকা থেকে নিক্ষেপ করা যায়, এবং এর আঘাতে আমেরিকার একটি সমগ্র বন্দর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া নিশ্চিত। ১৯৩৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের কাছে চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। আর সেই বোমার আঘাতেই সমাপ্তি ঘটেছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধের, প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ২ লাখ জাপানি।

পদার্থ বিজ্ঞানকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল একজন জার্মানের, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জার্মানির এক সাধারণ ইহুদি পরিবারে জন্ম নেয়া মানুষটাই পুরো বিশ্বকে পাল্টে ফেলেছে মেধার জোরে, তাকে একদিক থেকে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় খলনায়ক হিসেবেও দেখা হয়। যার আপেক্ষিকবাদ বা আপেক্ষিক তত্ত্বের ওপর ভর করেই বিশ্বে পারমাণবিক বোমার জন্ম হয়। তিনি আপেক্ষিকবাদের জনক আলবার্ট আইনস্টাইন।

১৯৩৯ সালের দোসরা আগস্ট, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ঠিক একমাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের কাছে স্বাক্ষর করা দুটো চিঠি পাঠান আইনস্টাইন। জার্মান বংশোদ্ভূত এই পদার্থ বিজ্ঞানীর সেই চিঠিই পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় প্রবেশ ঘটিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এবং এই এক পদক্ষেপ পাল্টে দিল বিশ্বের ইতিহাস।

১৯৩২ সালের ডিসেম্বরে ৫৩ বছর বয়সে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞানী জার্মানি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। আইনস্টাইনের দেশ ত্যাগের কিছুদিন পরেই জার্মানির ক্ষমতায় আসে নাৎসিরা। পদার্থ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বৈপ্লবিক আবিষ্কার ছিল তার জীবনেরও সবচেয়ে বড় অর্জন, দুর্ভাগ্য সেই অর্জনকেই আইনস্টাইনের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ভাবতে বাধ্য করেছে, যে যৌক্তিক খণ্ডন করাও অসম্ভব।

ছবি : এপি

তার আবিষ্কৃত বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে ভর ও শক্তিকে অভিন্নরূপে দেখা। ভরের সাথে যেমন শক্তি জড়িত, তেমনি শক্তির সাথে ভর জড়িত। অর্থাৎ আপেক্ষিকতার তত্ত্বে ভর ও শক্তিকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে প্রমাণ করা যায়। আর এই সমীকরণের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্বে পারমাণবিক বোমার আগমন ঘটে।

৮০ বছর আগে যা ঘটেছিল?

যুক্তরাষ্ট্র তখনও বিশ্ব রাজনীতির মোড়ল ছিল না, যেমনটা এখন আছে। বিশ্বে তখন জার্মানির আগ্রাসন, হিটলারের নাৎসি বাহিনীর সামনে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো তখন শিশুর মতো তটস্থ। বিশ্ব জয়ের নেশায় হিটলার শুরু করে দিল বিশ্ব যুদ্ধ, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরিসহ ইউরোপের নানান দেশকে দখল করে ইহুদি নির্মূলের অভিযানে নেমেছিল হিটলার। সেই আতঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রকেও এক ভয়ের সংস্কৃতিতে আবদ্ধ করেছিল, পারতপক্ষে দেশটি আরও ২ বছর পরে ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তার পেছনেও আছে আইনস্টাইনের পরোক্ষ ভূমিকা।

জার্মান বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক বিভাজন আবিষ্কার করেছিলেন- শক্তি প্রকাশের জন্য যা একটি বৃহৎ পারমাণবিক নিউক্লিয়াসকে বিভক্ত করে। রুজভেল্টের কাছে লেখা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে আইনস্টাইন সতর্ক করেছিলেন। চিঠিতে বলা ছিল যে, 'জার্মান বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইনের সমীকরণের ওপর ভিত্তি করে এমন এক ধরনের পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, যা অত্যাধিক শক্তিশালী এবং এই বোমা একটি সমগ্র বন্দর ও তার আশেপাশের এলাকাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে সক্ষম।'

আইনস্টাইন স্বাক্ষরিত রুজভেল্টের কাছে লেখা সেই ঐতিহাসিক চিঠি। ছবি : এটমিক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন

চিঠিতে রুজভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোনিয়াম গবেষণা বৃদ্ধি করতে আহ্বান জানিয়েছিল। 'স্রষ্টার চিঠি' হিসেবে পরিচিত হলেও আইনস্টাইন চিঠিটিকে জীবনের 'একটি মারাত্মক ভুল' হিসেবেই জানায়। আইনস্টাইনের প্রেরিত চিঠিটি রুজভেল্টকে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন আলেক্সান্ডার স্যাখস নামের এক ব্যক্তি, যিনি প্রেসিডেন্টকে তেমন এক বোমার সম্পর্কে সচেতন ও করেছিলেন।

'নাৎসিরা তোমাদের উড়িয়ে দেয় কিনা তার পেছনেই তোমরা আছ?' চিঠির উত্তরে রুজভেল্ট তখন আলেক্সান্ডারকে পাল্টা প্রশ্ন করে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। আলেক্সান্ডার মাত্র একটি শব্দেই উত্তর দিয়েছিলেন, 'যথাযথভাবে'। রুজভেল্ট তখন তার সহকারীকে ডেকে 'প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ' নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেদিন সবটুকু নিজে থেকেই করেছিলেন কী আইনস্টাইন?

সেই চিঠিটি আইনস্টাইনের লেখা ছিল না, তিনি শুধু সেখানে স্বাক্ষর করেছিলেন। তাকে জার্মানির আধুনিক প্রযুক্তির পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের প্রজেক্ট সম্পর্কে সচেতন ও রুজভেল্টকে পারমাণবিক বোমা বানানোর অনুরোধ জানাতে উৎসাহিত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ হাঙ্গেরিয়ান পদার্থবিদ লিও জিল্যার্ড।

এডওয়ার্ড টেলার ও ইউজিন উইঙ্গার নামের দুই হাঙ্গেরিয়ান পদার্থবিদকে সঙ্গে নিয়ে জিল্যার্ড জার্মানির সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিলেন। চিঠিটি লিখেছিলেন জিল্যার্ড, কিন্তু তিনি জানতেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সবচেয়ে বেশি কর্তৃত্ব রয়েছে আইনস্টাইনের, তাই তার স্বাক্ষর নিয়েছিলেন জিল্যার্ড।

আইনস্টাইন ও লিও জিল্যার্ড (ওপরে) এবং এডওয়ার্ড টেলার ও ইউজিন উইঙ্গার (নিচে)। ছবি : সংগৃহীত

ভর, শক্তি এবং বিভিন্ন ধরনের শক্তির মাধ্যমে আইনস্টাইনের আবিষ্কৃত সমীকরণ দিয়ে যে এমন মারণাস্ত্র সৃষ্টি সম্ভব, তা তিনি চিন্তা করেন নাই। ২০১৭ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন এটমিক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সিন্থিয়া কেলি জানান, 'তিনি (আইনস্টাইন) নিশ্চিতভাবে তার সূত্রকে একটি অস্ত্র হিসেবে কল্পনা করেছিলেন না'।

ম্যানহাটন প্রজেক্ট

মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজ ও আরও উন্নত করতে আর দশটা বিজ্ঞানীর মতো আইনস্টাইন ও যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছিলেন, কিন্তু তা যে বিশ্বের মানব সভ্যতাকে নির্মূল করার মতো সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে, তা কখনোই কল্পনা করেন নাই বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এই বিজ্ঞানী।

যদিও শক্তি কীভাবে জড়ো করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কোন ধরনের বিস্তারিত তথ্য আইনস্টাইন নিজে থেকে কখনোই প্রদান করেননি। তিনি একবার বলেছিলেন, 'আমি নিজেকে কখনই পারমাণবিক শক্তি মুক্তির জনক হিসেবে বিবেচনা করি না। এখানে আমার অংশটা অনেক আলাদা ছিল।'

তবে, তাতে কী- ই-বা যায় এসে, স্বয়ং আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক স্বাক্ষরকৃত চিঠির প্রভাব তো বিশ্বের ইতিহাসে অমর। ১৯৩৯ সালের অক্টোবরে রুজভেল্ট একটি ইউরোনিয়াম উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে, যে মাসেই তার হাতে চিঠিটি এসে পৌঁছেছিল। এরকিছুদিন পর ২য় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পরে। এই কমিটি পরবর্তীতে ম্যানহাটন প্রজেক্টে রূপান্তরিত হয়।

ওপেনহেইমার ও ম্যানহাটন প্রজেক্টের বিজ্ঞানী ও কলাকুশলীরা। ছবি : সংগৃহীত

১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তা তৈরি হয়েছিল এই ম্যানহাটন প্রজেক্টে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ম্যানহাটনে গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করল। যার আঘাতে নিহত হয়েছিল প্রায় ২ লাখ জাপানি এবং এই ঘটনার আট দিনের মাথায় জাপান মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং কার্যকরভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটায়।

জার্মানির পারমাণবিক বোমা তৈরির গুজব

নাৎসিদের জার্মানি কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে সফল হয়নি, যার অর্থ হচ্ছে তারা কখনোই সেই চেষ্টাই করেনি। বিশ্বে মার্ক্স, আইনস্টাইনের জন্ম দিল যে জাতি, তারা যদি চেষ্টা করতো তাহলে নিশ্চই পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত করতে পারত। ইতিহাস, বাস্তব সেই কথা ই বলবে, যুক্তরাষ্ট্র সেই ভয়েই আইনস্টাইনের চিঠিকে অমন গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয়েছিল।

আইনস্টাইনকে সেদিন ম্যানহাটন প্রজেক্টেও রাখা হয়েছিল না, একে তো আইনস্টাইন ছিলেন একজন জার্মান, তারোপর একজন বামপন্থি রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্টের সক্রিয় ইতিহাস ও ছিল তার। আমেরিকা তাই আইনস্টাইনকে বিশ্বাস করতে পারেনি, তাকে এক ভয়ঙ্কর নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবেই বিবেচনা করেছিল রুজভেল্ট সরকার। ওপেনহেইমার, টেলার এবং ফেরমির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ম্যানহাটন প্রজেক্ট।

আইনস্টাইনের অপরাধবোধ

১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপানে মার্কিন পারমাণবিক হামলা বিশ্বকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা আইনস্টাইনকে আহত করেছিল, সেদিন তিনি বলেছিলেন, 'দুর্ভাগা আমি'।

উইন্সটন চার্চিল ও ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। ছবি : গেটি ইমেজ

মার্কিন রসায়নবিদ ও অ্যাক্টিভিস্ট লিনাস পলিং-এর কাছে আইনস্টাইন পরবর্তীতে বলেছিলেন, 'আমি যদি জানতাম যে জার্মানরা পারমাণবিক বোমা বিকাশে সফল হবে না, তাহলে বোমার জন্য আমি কিছুই করতাম না'। হিরোশিমা ও নাগাসাকির অবস্থা দেখে আইনস্টাইন একদল বিজ্ঞানীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক এক সংস্থাকে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।

২০০৫ সালে উন্মুক্ত হওয়া জাপানি বন্ধুর কাছে লেখা এক চিঠিতে আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'আমি সর্বদাই জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলার বিরোধিতা করেছি। তবে, এই দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তে এবং এসব প্রতিরোধে আমার কিছুই করার ছিল না।'

২য় বিশ্বযুদ্ধের অবসানেই শুরু হয়েছিল পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রতিযোগিতা। আইনস্টাইন জীবিতাবস্থায় সেই ভয়ঙ্কর লড়াই দেখেছিলেন এবং বিশ্বকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে করেছিলেন সতর্কও। ১৯৫২ সালে জাপানের একটি ম্যাগাজিনে পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা নিয়ে তিনি লিখেন, 'এই পরীক্ষা সফল হলে মানবসভ্যতা যে ভয়ঙ্কর ভয়াবহতায় পরবে তা আমি খুব ভালোভাবেই জানতাম। আমি এর থেকে মুক্তির কোনো পথ পেয়েছিলাম না।'

আইনস্টাইনের চিঠিটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, বিনিয়োগ কিংবদন্তি ওয়ারেন বাফেট ২০১৭ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, 'আপনি যদি এই বিষয়ে চিন্তা করেন তবে, প্রথমেই ভাবুন আমরা যেখানে এখন বসে আছি, তা কেবল দুজন মার্কিন অভিবাসীর জন্যেই সম্ভব হয়েছে। ১৯৩৯ সালের আগস্টে দুই ইহুদির স্বাক্ষর করা সেই চিঠিই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নিশ্চিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি।' সেই দুই ইহুদির একজন এবং চিঠিটির মূল্য নির্ধারণী একজন ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। যার জন্ম ১৮৭৯ সালে জার্মানির উল্মের এক সাধারণ পরিবারে। জীবিতাবস্থায় আইনস্টাইন দেখে গিয়েছিলেন স্নায়ু যুদ্ধকালীন সোভিয়েত-মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা ও একটি বাটনের ওপরে নির্ভর করা মানব সভ্যতার অস্তিত্ব।

১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট হিরোশিমায় প্রথম আঘাত হেনেছিল পারমাণবিক বোমা, যাতে প্রাণ হারায় অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। ছবি : এপি

১৯৩২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করে জীবদ্দশায় আইনস্টাইন আর কখনো নিজ দেশে ফিরে যাননি। অনেকে তাকে বলছে পদার্থবিদ্যার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে, কেউ বা তাকে দুষছে মানবিক বিশ্বকে পারমাণবিক বিশ্বে রূপান্তরের খলনায়ক হিসেবে। একজন বিজ্ঞানীর ধর্ম আবিষ্কার, তিনি শুধু সেটাই করেছিলেন, মানব কল্যাণের আবিস্কার যে মানুষের জন্যই ধ্বংসের ভিত্তি হতে পারে, আলফ্রেড নোবেল তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আইনস্টাইনকেও সেই কাতারে ফেলা হয়েছে, তবুও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমানদের একজন হিসেবে অমর থাকবেন। ১৯৫৫ সালের ১৮ই এপ্রিল নিউ জার্সির প্রিন্সটন মেডিকেল সেন্টারে এই অমর বিজ্ঞানীর জাগতিক প্রয়াণ ঘটেছিল।

'বিজনেস ইনসাইডার, জার্মানি ট্রেন্ডোলজার, আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টরি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড