• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পুলিশি হেফাজতে শিক্ষকের মৃত্যু : উত্তপ্ত কাশ্মীর

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৪
কাশ্মীরে পুলিশি হেফাজতে শিক্ষকের মৃত্যু
কাশ্মীরে পুলিশি হেফাজতে শিক্ষকের মৃত্যুতে চলমান সংঘর্ষ। (ছবিসূত্র : ফাস্ট পোস্ট)

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশি হেফাজতে এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে উপত্যকার বেশীরভাগ অঞ্চল। কাশ্মীর পুলিশের দাবি, রিজওয়ান আসাদ পণ্ডিত নামে ২৯ বছর বয়সী রসায়নের সেই শিক্ষককে সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদের মামলায় তদন্তের অংশ হিসেবে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) কাশ্মীর পুলিশের দেওয়া বিবৃতির বরাতে করা প্রতিবেদনে পুলিশি হেফাজতে এই শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তবে নিহত রিজওয়ানের পরিবারের দাবি, তাকে পুরোপুরি ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে পুলিশ। মূলত এর জেরে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করেছে স্থানীয় হাজারো বিক্ষোভকারী।

যদিও তাদের শান্ত করতে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। আর এতে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া বন্ধ করা হয়েছে শহরের ইন্টারনেট সেবাসহ যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।

কাশ্মীরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকা রিজওয়ানের মৃত্যুর পর ইতোমধ্যে ভারত-শাস্তি কাশ্মীরে অবরোধ ডেকেছে অঞ্চলটির স্বাধীনতা পন্থী সমস্ত নেতারা।

এদিকে রিজওয়ানের ভাই মুবাশ্বির আসাদ বলেন, ‘রবিবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় গভীর রাতে অবন্তিপুর গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ এসে আমার ভাইকে আটক করে নিয়ে যায়। তখন তারা বলেছিল শিগগিরই আমার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমার ভাই কোনো কিছুর সঙ্গেই জড়িত না। এটা একটি ঠাণ্ডা মাথায় খুন।’

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ‘পুলওয়ামা হামলার ঘটনাতেই রিজওয়ানকে আটক করা হয়েছিল। সে বিস্ফোরক বানাতে জানতো বলে আমরা সামান্য কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। আর সাম্প্রতিক হামলাতেও তার ভূমিকা ছিল বলে আগে থেকে আমাদের সন্দেহ ছিল।’

আরও পড়ুন :- সিরীয় বাবা-ছেলেকে দিয়ে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের দাফন শুরু

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) জাওয়ানদের বহনকারী একটি গাড়িতে আত্মঘাতী হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪৪ সদস্য নিহত হয়। যদিও পরবর্তীতে পাক-পন্থী জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। আর এ ঘটনার জেরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানের আকাশ সীমায় ঢুকে বোমাবর্ষণ করলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। যা এখনো অব্যাহত আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড