• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সিরীয় বাবা-ছেলেকে দিয়ে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের দাফন শুরু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ মার্চ ২০১৯, ১২:০৮
সিরীয় বাবা-ছেলে
সিরীয় বাবা-ছেলেকে দাফনের জন্য কবরস্থানের দিকে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। (ছবিসূত্র : আল-জাজিরা)

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের পৃথক মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত অর্ধশতাধিক মুসল্লির মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনকে দাফন করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) সিরীয় শরণার্থী খালেদ মুস্তাফা এবং তার ছেলে হামজাকে দাফনের মাধ্যমে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও ভয়াবহ এ হামলার পর নিহতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হতে পাঁচদিন সময় লেগে গেল। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মসজিদে হামলায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। যেখানে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

ক্রাইস্টচার্চ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মসজিদে হামলায় নিহতদের বেশিরভাগের পরিচয় শনাক্তের কাজ এখন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মোট ২১ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। যেখানে চিহ্নিত বারোটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর বাকিগুলোকেও অতি অল্প সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

od

ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদ। (ছবিসূত্র : দ্য ওয়েস্ট)

বুধবার দাফন প্রক্রিয়ার শুরুতে নিহতদের পরিবারকে যাবতীয় সহায়তা প্রদানে ইতোমধ্যে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা। তবে এই দাফন প্রক্রিয়ার সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকে কঠোর নির্দেশিকাও প্রদান করেছে ক্রাইস্টচার্চ কর্তৃপক্ষ।

তারা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের একেবারে নিজেদের মতো থাকতে দিতে এবং তাদের যেন বার বার এ বিষয়ে প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলা না হয় সে জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য ইতোমধ্যে কবরস্থানে নিয়ে গেছেন।

এ দিন হামলার শিকার স্থানীয় আল নূর মসজিদের কাছেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শত শত মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। জানাজার নামাজে নিহত খালেদ মুস্তাফা এবং তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে হামজার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এর আগে গত বছর সিরিয়া থেকে পালিয়ে শরণার্থী হিসেবে পরিবার সহকারে নিউজিল্যান্ডে আশ্রয় নেন মুস্তাফা। গত শুক্রবার তিনি এবং তার ছেলে মসজিদ আল নুরে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। আর সেখানেই এক খ্রিস্টান সন্ত্রাসীর করা হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তারা।

od

ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত বাবার জানাজায় হুইলচেয়ারে করে অংশ নেয়া গুলিবিদ্ধ সন্তান। (ছবিসূত্র : দ্য ওয়েস্ট)

অপরদিকে মুস্তাফার ১৩ বছর বয়সী ছোট ছেলে জাইদ এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও সে বর্তমানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এ দিন হুইলচেয়ারে বসে সে তার বাবা ও ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেন।

আরও পড়ুন :- ক্রাইস্টচার্চের পর এবার নরওয়ের স্কুলে হামলা

উগ্র-ডানপন্থী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে। গত শুক্রবারের সেই হামলায় বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, কুয়েত, সোমালিয়া এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন কমপক্ষে ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড