• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের অনেক এলাকা, প্রাণ বাঁচাতে ভারত যাচ্ছে সেনা সদস্যরা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২৮
‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স

মিয়ানমারের ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর হামলায় দিশেহারা দেশটির জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীর হাত থেকে একের পর এক এলাকা নিজেদের দখলে নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গ্রাম ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছে দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা। প্রাণ বাঁচাতে তাদের সাথে ভারতে ঢুকে পড়ছে সেনা সদস্যরাও।

ভারতের মিজোরাম পুলিশের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মিজোরাম সীমান্ত দিয়েই ঢুকে পড়েছে অন্তত ৫,০০০ মায়ানমারের নাগরিক। এর মধ্যে ৩৯ জন সেনা সদস্যও রয়েছে বলে তাদের দাবি।

মিজোরাম পুলিশের আইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংটে মঙ্গলবার বলেন, "মিজোরামের চাম্পেই জেলা লাগোয়া সীমান্তের অদূরে মায়ানমার সেনার রিখাওদর এবং খাওমাওয়ি ছাউনি দু’টি সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বাহিনী দখল করে। প্রাণভয়ে ৩৯ জন মায়ানমার সেনা জোকাওথান সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা এ দেশে আশ্রয় চেয়েছে।"

লালবিয়াকথাঙ্গা আরও জানায়, সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামেরও দখল নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী। তাই মায়ানমারের প্রায় ৫,০০০ গ্রামবাসী আতঙ্কে ভারতে চলে এসেছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গুলিতে আহত কয়েক জন গ্রামবাসীকে চাম্পেই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে।

এদিকে গত ৭ নভেম্বর বিধানসভার ভোটপর্ব মিটলেও এখনও ভোটগণনা হয়নি মিজোরামে এই পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আগমনে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ এবং উত্তপ্ত মণিপুরের সঙ্গেও মায়ানমারের স্থলসীমান্ত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, অক্টোবরে মধ্যপর্বে মায়ানমারের তিনটি বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করেছে। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে গিয়েছে। মায়ানমার-চিন সংযোগরক্ষাকারী প্রধান সড়কও বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে। এ বার লড়াই বেধেছে পশ্চিমের চিন প্রদেশে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড