তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে চার হাজার ৩৬৫ মরদেহ উদ্ধার

ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র তুরস্কে সংগঠিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তুরস্ক ও এর প্রতিবেশী রাষ্ট্র সিরিয়ায় এ পর্যন্ত চার হাজার ৩৬৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন দুই হাজার ৯২১ জন। আর সিরিয়ায় এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুই দেশে আহত হয়েছেন ১৭ হাজারের অধিক মানুষ।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য গার্ডিয়ান খবরটি প্রকাশ করেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই হাজার ৩৭৯ থেকে বেড়ে দুই হাজার ৯২১ জনে পৌঁছেছে।

তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই বলেছেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ১৪ হাজার ৪৮২ জন আহত হয়েছেন এবং সাত হাজার ৮৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরি ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

সিরিয়ায় সর্বশেষ এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে।

এ দিকে ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে বহু মানুষকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে অনেক মানুষকে জটলা হয়ে বসে থাকার ছবিও তুলে এনেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।

উল্লেখ্য, এবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত পাঁচ হাজার ৬০৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরও অন্তত ৭৭টি আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।

এ দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), এশিয়ার পরাশক্তি চীনসহ বিশ্বের বহু ক্ষমতাধর দেশ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।