মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নিল ইথিওপিয় সেনারা, অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা

বিতর্কিত টাইগ্রে অঞ্চলে ইথিওপিয়ার সামরিক অভিযান সম্পন্ন হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সেনারা এর আঞ্চলিক রাজধানী মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিবৃতির মাধ্যমে ঘোষণাটি দেন তিনি। যদিও টাইগ্রে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট জানিয়েছে, তারা এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছে না।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেকেল্লেতে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক বাহিনীর সদর দফতরে হামলার অভিযোগ এনে গত ৪ নভেম্বর টিপিএলএফ’র বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন আবি। গত তিন সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) মধ্যে লড়াই চলছে। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চলটি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ সুদানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার হাজার মানুষ।

শনিবার টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, এটা জানাতে পেরে আমি খুশি যে আমরা টাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক অভিযান সমাপ্ত ও বন্ধ করে দিয়েছি।

এর মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময় আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে আবি বলেছিলেন, মেকেলে শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এখন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

আরও পড়ুন : ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত ৪

যদিও এখনই হাল ছাড়তে নারাজ টিপিএলএফ। বাহিনীটির নেতা ডেবরেটসিয়ন গেব্রেমিচায়েল রয়টার্সকে বলেন, সরকারি বাহিনীর নৃশংসতা আমাদেরকে আরও বেশি করে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।

এ ব্যাপারে পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া সরকারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী আবি তার বিবৃতিতে বলেছেন, টিপিএলএফের ‘অপরাধীদের’ খুঁজে বের করে আটক করা হবে। আদালেতের মুখোমুখি করা হবে তাদের।

এখন পর্যন্ত টিপিএলএফের কেউ আত্মসমর্পণ করেছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে ডেবরেটসিয়ান বলেছেন, মেকেল্লে থেকে টিপিএলএফ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডকে ‘মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ বলছে ইইউ

উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ার নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত নাম। যদিও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে টাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।