আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার গত ছয় সপ্তাহের প্রচণ্ড যুদ্ধের অবসান হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া এরই মধ্যে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যাতে ইয়েরেভান অধিকৃত অঞ্চল থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ইয়েরেভানের এই পদক্ষেপে আর্মেনীয় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা একে পরাজয় বলে বিবেচনা করছেন।
সোমবার (৯ নভেম্বর) আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান যুদ্ধ সমাপ্তি ঘোষণা দেওয়ার পর বেশকিছু সংখ্যক বিক্ষুব্ধ লোকজন রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ করেন। এমনকি তারা বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে ভাঙচুর করে। যুদ্ধ অবসানের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী পাশনিয়ান বলেন, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তিকে পরাজয় হিসেবে গণ্য করা ঠিক হবে না।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিজেভ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান।
আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষে চুক্তি স্বাক্ষরকে বেদনাদায়ক বলছেন আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তারা বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে এবং মস্কো সময় রাত ১২টা থেকে সব ধরনের শত্রুতাপূর্ণ তৎপরতার অবসান হবে।
আরও পড়ুন : বেকায়দায় পড়ে আর্মেনিয়ার চুক্তি, সংসদ ভাঙচুর করল বিক্ষুব্ধরা
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন যে, তার দেশ আজারবাইজানের কাছে আগামী ১৫ নভেম্বরের ভেতরে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দেবে। এছাড়া ১ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ও কিছু অঞ্চল ছাড়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়া ফেডারেশন ১৯৬০ জনের একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করবে এবং তাদের কাছে ক্ষুদ্রান্ত্র ও ৯০টি আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার, ৩৮০টি অটোমোবাইল এবং বিশেষ সরঞ্জাম থাকবে।