• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বেকায়দায় পড়ে আর্মেনিয়ার চুক্তি, সংসদ ভাঙচুর করল বিক্ষুব্ধরা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫২
বেকায়দায় পড়ে আর্মেনিয়ার চুক্তি, সংসদ ভাঙচুর করল বিক্ষুব্ধরা
আর্মেনিয়ার সংসদে ভাঙচুর চালাচ্ছে বিক্ষুব্ধ জনতা (ছবি : বুরি টাইমস)

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার গত ছয় সপ্তাহের প্রচণ্ড যুদ্ধের অবসান হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া এরই মধ্যে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যাতে ইয়েরেভান অধিকৃত অঞ্চল থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) থেকেই বলবৎ হয়েছে চুক্তির শর্ত। যদিও বিতর্কিত অঞ্চলের জমি খুইয়ে এই চুক্তিকে অত্যন্ত ‘বেদনাদায়ক ও প্রবল ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।

এ দিকে শান্তিচুক্তিতে আজারবাইজানের শর্ত মেনে কার্যত আত্মসমর্পণ করার অভিযোগে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের বিরুদ্ধে। দেশটির রাজধানী ইয়েরভানের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় হাজার হাজার মানুষ। সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আর্মেনিয়ার সংসদ ভবনে ঢুকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, জনরোষে প্রবল মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আর্মেনীয় পার্লামেন্টের স্পিকার আরারাত মিরজওয়ান। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সৈনিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

তাদের অভিযোগ, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের শর্ত মেনে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নিকোল পাশিনিয়ান।

আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষে চুক্তি স্বাক্ষরকে বেদনাদায়ক বলছেন আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী

রবিবার কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা তারা দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করে আজেরি সেনারা। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিজেভ এই কথা ঘোষণা করার পরপরেই বাকু শহরের সড়কে নেমে উচ্ছ্বাস দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ।

এ সময় তুরস্কের রাজনৈতিক নেতারাও অভিনন্দন জানান। গুরুত্বপূর্ণ এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন নাগোরনো-কারাবাখের স্বঘোষিত স্বাধীন অঞ্চলটির সামরিক বাহিনী ‘আর্টসাক ডিফেন্স আর্মি’র শীর্ষ কর্তারা। ফলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েই যে আর্মেনিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তা স্পষ্ট।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ থেকে আর্মেনীয় অধ্যুষিত বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে জোর লড়াই শুরু করছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। রুশ পৌরহিত্যে দু’বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলে তা ক্ষণস্থায়ী হয়।

আরও পড়ুন : যুদ্ধ বন্ধে আজারবাইজানের শর্ত মেনে চুক্তিতে গেল আর্মেনিয়া

তাই ককেশাসে শান্তি ফেরাতে কয়েকদিন আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও। তবে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। যুদ্ধে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।