সীমান্তে সংঘাত বন্ধে নতুন পথে চীন-ভারত

এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্তে নতুন করে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে এবার তা প্রশমনে রাজি হয়েছে প্রতিবেশী ভারত। আর এতে সম্মতি জানিয়েছে চীনও। দুই এশীয় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশীর মধ্যে জুন থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে বহুবার। সর্বশেষ দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পর নয়াদিল্লি এমন কথা জানাল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার মস্কোয় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষে পরদিন শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সেখানে বলা আছে, সীমান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বা সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনো কিছু না করতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।

গত জুনের প্রাণঘাতী ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশে তাদের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে। ওইদিন হাতাহাতি সংঘর্ষে ভারতীয় ২০ জওয়ান নিহত হয়। যদিও চীনের পক্ষ থেকে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে কেনো হতাহতের তথ্য জানানো না হলেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চীনা সেনা হতাহতের দাবি করা হয়।

আরও পড়ুন : শত্রুদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরির হুঁশিয়ারি দিল ইরান

প্রায় চার দশকের মধ্যে প্রথমবার লাদাখ সীমান্তের রক্তক্ষয়ী ওই সহিংসতার পর বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা আর নাটকীয়তার পর চলতি সপ্তাহে আবারও বিরোধ বাধে দুই দেশের মধ্যে। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলে। ফলে জুনের পর ফের উত্তপ্ত হয় সীমান্ত এলাকা।

আরও পড়ুন : শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতির বিমান বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গত মে মাসে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে সামরিক উত্তেজনা শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্তেজনা নিরসন নিয়ে বৈঠক হলো। মস্কোতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংগে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট বার্তায় জানান, ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে তাদের ওই বৈঠক চলে। এ দিকে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পর লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সেখানে যান ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ। এক মাসের ব্যবধানে এটি ছিল তার দ্বিতীয়বার লাদাখ সফর।