• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনার থাবায় ১৩৫৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০ হাজার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৩
করোনার থাবায় ১ হাজার ৩৫৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০ হাজার
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তকে উদ্ধার করা হচ্ছে (ছবি : নিউ ইয়র্ক টাইমস)

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো এ মহামারিতে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। কেবল তাই নয়, ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের সীমানা পেরিয়ে এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে আরও অন্তত ৩০টি দেশে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, সরকারি হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৫ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া চীনে সবমিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজারে পৌঁছেছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৬০ হাজারের অধিক। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আরও তিন লক্ষাধিক মানুষ।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এমনকি সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুইজনই বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ দিকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান তেদরোস আদহানম করোনা ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, নতুন ভাইরাসটি এখন থেকে COVID-19 নামে পরিচিত হবে।

অপরদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : চীনে করোনা আক্রান্ত দেহ পোড়ানো হচ্ছে!

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর