• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাসায়নিকের ব্যাপক উপস্থিতি

চীনে করোনা আক্রান্ত দেহ পোড়ানোর আলামত!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০৯
রাসায়নিকের ব্যাপক উপস্থিতি, করোনা আক্রান্ত দেহ পোড়ানোর আলামত!
করোনা ভাইরাস (ছবি : সংগৃহীত)

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৪২ হাজারের অধিক।

গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই প্রাণঘাতী করোনা বিস্তারের কেন্দ্রভূমি চীনের উহান শহরে উচ্চমাত্রার সালফার ডাই-অক্সাইডের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এটি সেখানকার ভাইরাস আক্রান্তদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার আভাস দিচ্ছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নরওয়ে সংবাদমাধ্যম সিসিএন জানিয়েছে, সম্প্রতি উপগ্রহ থেকে পাঠানো মানচিত্রের ছবিতে দেখা গেছে, উহানের আশপাশের এলাকায় এসও২ এর উপস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া কোয়ারেন্টিনের অধীনে থাকা চোংকিং শহরেও উচ্চমাত্রার সালফার ডাই-অক্সাইডের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সময় এই সালফার ডাই-অক্সাইড উৎপাদিত হয়। তাছাড়া মেডিকেল বর্জ্য ভস্মীভূত করলেও এমনটা ঘটে।

যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা মানচিত্র পর্যালোচনা করে দাবি করছেন, উহান শহরের প্রান্তেই মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। মূলত বড় জমায়েত এড়ানোর জন্য অল্পসংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে এসব দেহাবশেষ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং সরকার।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দাবি, যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মরদেহগুলো ভস্মীভূত করতে হবে। নয়তো এখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

এতকিছুর পরও বারংবার দাবি করা হচ্ছে, ব্যাপক গণভস্মীভূত করণের মাধ্যমে মৃতের সংখ্যা লুকিয়েছে চীন সরকার। যদিও এসব দাবির এখনো কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মন্ত্র জপলেই পালাবে করোনা ভাইরাস !

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর