• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১১৪, আক্রান্ত ৪৪ হাজার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:১৫
করোনার থাবায় ১১১৪ জনের মৃত্যু, নিরুপায় বিজ্ঞানীরা
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মরদেহ গাড়িতে তোলা হচ্ছে (ছবি : সিনহুয়া)

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো এ ভাইরাসে চীনে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জনের প্রাণহানি ঘটছে। ভাইরাসটির শনাক্তস্থলে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে বাসিন্দারা। কেবল তাই নয়, চীনের সীমানা পেরিয়ে ভাইরাসটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আরও অন্তত ২৮টি দেশে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’ জানায়, সরকারি হিসাব অনুযায়ী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার একশ ১৪ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া ভাইরাসটির সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেওয়া চীনের আলোচিত চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং এরই মধ্যে মারা গেছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে তার মৃত্যু হয়।

চীনে সবমিলিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজারে পৌঁছেছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৩৮ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক মানুষকে।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এমনকি সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুইজনই বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ দিকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান তেদরোস আদহানম করোনা ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, নতুন ভাইরাসটি এখন থেকে COVID-19 নামে পরিচিত হবে।

নামের ব্যাখ্যায় তেদরোস আদহানম বলেন, ভাইরাসটির নামের CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ (রোগ) বোঝানো হয়েছে। আর 19 দিয়ে ২০১৯ সালকে নির্দেশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় মাত্র ১০ দিনে নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চীন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনবিসি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : চীনে করোনা আক্রান্ত দেহ পোড়ানোর আলামত!

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর