ভিন্ন খবর ডেস্ক
প্রচলিত এক প্রথা অনুযায়ী আফগানিস্তানের রক্ষণশীল অনেক পরিবারে মেয়ে শিশুদের বড় করা হয় ছেলে সাজিয়ে। মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দরিদ্র আফগান পরিবারগুলো অভাবের সংসারে আয়-রোজগার বাড়াতেই এমনটা করে থাকে। কেউ কেউ এমন প্রথা বেছে নেয় কুসংস্কার থেকে। তাদের ধারণা এমনটা করলে পরের সন্তানটি হবে ছেলে।
জানা গেছে, মেয়ে শিশুদের ছেলের মতো বড় করা প্রথাকে ‘বাছা পোষ’ বলে। এই প্রথার মাধ্যমে পরবর্তী সন্তান ছেলে আশা করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েকে ছেলে সাজানো হয় কাজে পাঠানোর জন্য, যাতে কিছুটাই হলেও মেটে অভাব। ছেলে হিসেবে জীবনযাপন করা এমনই একটি মেয়ে সানম। সে এখন কৈশোর পেরিয়ে অন্য বোনদের মতো ঘরবন্দি থাকছে। বড় হয়ে ডাক্তার, কমান্ডার অথবা সেনাসদস্য হতে চায় সে।
এই ধরনের মেয়ে শিশুদের কৈশোরে প্রবেশের পরই ছেলে থেকে আবারও মেয়ে হয়ে উঠতে হয়। তবে এই পরিবর্তনটা অনেকেই মেনে নিতে পারে না। তেমনই একজন নাজিয়া। সাত বোনের একজন হওয়ায় শৈশবে তাকে ‘বাছা পোষ’র ভূমিকা পালন করতে হয়। আসাদুল্লাহ নামে বড় হওয়া নাজিয়ার জগতটা হঠাৎই বদলে যায় একদিন। ফিরিয়ে নেয়া হয় অন্দরে।
এনিয়ে নাজিয়া বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতাম। সেটা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। এদেশে ছেলেদের মূল্য বেশি। তাদের কোনো কাজে বাধা নেই। কিন্তু মেয়েদের জন্য সব নিষিদ্ধ। বাছা পোষ রীতিকে কীভাবে দেখবে নতুন তালেবান সরকার, তা স্পষ্ট নয় এখনও। আগেরবারের তুলনায় উদারনীতির কথা বললেও ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীদের কাজের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। অনেক অঞ্চলে হাইস্কুলেও যেতে দেয়া হচ্ছে না মেয়েদের।
ওডি/জেআই
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড