সালমান হাবীব
স্মৃতির পালক
উড়ে যাওয়া পাখি ঝরে যাওয়া পালকের নাম করে স্মৃতি রেখে যায়।
ঝরে পড়া পালকের প্রতি পাখির কোন টান থাকে না। অথচ পালকের নাম করে যার কাছে স্মৃতি রেখে যায় তার দুঃখের কোনো অন্ত নাই!
জ্বর কিংবা ঝড়
নীলা ফোন দিয়ে বললো; জ্বর কমেছে? আমি বললাম; জ্বর কমেছে, তবে ঝড় বেড়েছে।
নীলা অবাক হয়ে বলে; জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া এমন চাঁদোয়া রাতে ঝড় পেলেন কোথায়? আমি ছোট্ট করে বলি; বুকের ভেতর।
অভিযোগ
তারচেয়ে বরং সময়ের দোষ দিই আমরা। সময়-ই দিনকে রাতের হতে দেয়নি আর রাতকে দেয়নি হতে দিনের। তুমি আর আমি যেন রাত্রি-দিন; একে অন্যকে ছুঁতে গেলেই সন্ধ্যার নাম করে মায়া আলো গড়ে দেয় ব্যবধান প্রাচীন!
মন খারাপের দুপুর
মন খারাপের দুপুর গুলো যত্ন করে পুড়তে জানে। শান্ত দিঘীর জলের মতোন শেষ বিকেলের ছায়ার মতোন; নীরব যে জন তারও কিছু দুঃখ থাকে অতি গোপন।
কেউ জানে না কেউ বুঝে না পুষে রাখা একান্ত সেই ব্যক্তিগত দুঃখের মানে, মন খারাপের দুঃখ গুলো যত্ন করে পুড়তে জানে।
অদৃশ্য অসুখ
নীলা বললো; এখনো শ্বাসকষ্ট হয় রাতে? আমি কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইলাম; শূন্যে, লোকে যাকে আকাশ বলে। তারপর বললাম; হয়, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হয়। তবে শ্বাসকষ্ট ছাড়াও এখন নতুন আরো কষ্ট হয়।
নীলা উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়; কী? কী কষ্ট হয় তোমার? আমি ফোনের মাউথপিসের কাছে মুখ নামিয়ে এনে ফিসফিস করে বলি; ‘তোমাকে ছেড়ে থাকার কষ্ট।’
আরও পড়ুন- তামাম শহরে বসে মানুষের হাট
ছবি : কবি সালমান হাবীব
লেখক পরিচিতি:
কবি সালমান হাবীব। সহজ সরল শব্দের মাধ্যমে যিনি বুনন করেন পঙ্কক্তিমালা। তার কবিতার প্রতিটি লাইনে থাকে যেমন ঝঙ্কার তেমনি দান্দনিক অলঙ্করণ ও উপমায়। তিনি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
এই পর্যন্ত সালমান হাবীবের প্রকাশিত হয়েছে তিনটি গ্রন্থ। একটি গল্পগ্রন্থ ‘দিগন্তের ওপারে’ এবং বাকি দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘অতটা দূরে নয় আকাশ’, ‘ভালোবাসি একটি কবিতার নাম’।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড