• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ

  বাকৃবি প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:২৮
ভর্তি পরীক্ষা
সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

এ বছর প্রথমবারের মত সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। সার্কুলারে আবেদনের জন্য কম জিপিএ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রাথমিক বাছাইয়ে প্রায় ৩৯ হাজার আবেদনকারীকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আবেদনকারী ও তাদের অভিভাবকগণ। আবেদনের টাকা ফেরত নয় বরং সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান বাদ পড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৭ থাকলে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এবং মোট আসনের ১০ গুণ অর্থাৎ ৩৫ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে। এছাড়া অনলাইনে আবেদনের জন্য সকল প্রার্থীকে ১০০০ টাকা ফি দিতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৭৪ হাজার ৪৫৬ টি আবেদন জমা পড়ে।

গতকাল সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রাথমিক বাছাইয়ের ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণ প্রার্থীকে বাছাই করার কারণে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ন্যূনতম যাদের জিপিএ পয়েন্ট ৯.১৫ (চতুর্থ বিষয় বাদে) রয়েছে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

যারা পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়নি তাদের আবেদন ফি বাবদ নেয়া এক হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে না। প্রাথমিক বাছাইয়ে ৭৪ হাজার ৪৫৬ প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এতে বাদ পড়েছে ৩৮ হাজার ৯৫৬জন। এত বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীদের বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৬.৫-৭.০০ জিপিএ নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারলেও এবার আর দিতে পারবেন না। অন্যদিকে বাদ পড়া ৩৮ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়া না হলেও তাদের আবেদনের প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা আর ফেরত দেয়া হবে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জিহাদুল ইসলাম নামের এক প্রার্থী বলেন, ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ অবশ্যই ভালো কিন্তু চতুর্থ বিষয় ছাড়া ৯.১৫ মানায় না। এমন হলে সমন্বিত না থাকাই ভালো ছিলো। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তত পরীক্ষা দিতে পারতাম।’

এ নিয়ে গতকাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনির্বাচিত প্রার্থীদের থেকে টাকা রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাকৃবি শাখা ছাত্রফ্রন্ট। সকল পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া অথবা তাদের ১০০০ টাকা ফেরত দেওয়া না হলে এর বিরুদ্ধে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় সবাইকে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। তবে যদি সকলকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে যারা অংশ নিতে পারছে না তাদেরকে আবেদনের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত।’

ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, ‘এবারের পরীক্ষার বিষয়টি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতার ওপর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। নির্বাচিত আবেদনকারীদের ফি ফেরতের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে উদ্বৃত্ত থাকা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড