রাবি প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাবিসাসের সভাপতি সুজন আলী এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ দিন রাবিসাসের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরির নামে আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে উপাচার্যে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি যে হামলাকারীরা উপাচার্যের নির্দেশে এহেন হামলা চালিয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত হামলায় সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের ওপর এ বর্বর হামলার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রাবিসাস মনে করে বশেমুরপ্রবির উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। তিনি তার উপাচার্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। দ্রুত উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সে সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা ও আহতদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ডেইলি সানের বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ জিনিয়া তার ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কি হওয়া উচিত?’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। এর প্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিক জিনিয়াকে বহিষ্কার করেন। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা সোচ্চার হয়ে জিনিয়ার বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রশাসন চাপের মুখে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। ওই দিন রাত থেকেই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড