• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাংবাদিককে হেনস্তা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে জবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

  জবি প্রতিনিধি

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:২৬
জবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সাংবাদিককে হেনস্তা, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর শিক্ষকদের যাচ্ছেতাই নিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা) এর ভর্তি পরীক্ষা।

পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকির দ্বারা সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১ম শিফটে জোড় সংখ্যার রোল এবং বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২য় শিফটে বিজোড় সংখ্যার রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সকালের শিফটের পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও বিকালের শিফটে শিক্ষকদের যাচ্ছেতাই নিয়মের মাধ্যমে শেষ হয়। বিকালের শিফটে পরীক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার জ্যামের কারণে দেরিতে উপস্থিত হলে প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও তোয়াক্কা করেনি আইন বিভাগের শিক্ষকরা।

আইন বিভাগের ৯১০ ও ৯১৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পর দুই পরীক্ষার্থী সাদমান ইসলাম ও নাইমুল ইসলামকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তারা প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে বললেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অন্য দিকে পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট পর্যন্ত অন্যান্য কক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে। এ সময় ওই দুই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ‘দ্য এশিয়ান এইজ’ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিনার আল হাসানের মোবাইল কেড়ে নেয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি। এ সময় তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় এবং ‘সাংবাদিকরা সবাই বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর প্রক্টর অফিসে সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেন।

এছাড়াও সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে তিন জন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়েছে। এমনকি তাদের প্রত্যেকের প্রশ্নের সেট একই। তাছাড়া কলা ভবনের কিছু সংখ্যক শিক্ষক পরীক্ষা চালাকালীন হল থেকে বের হয় একসঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। যার ফলে তারা একে অপরের খাতা দেখার সুযোগ পাচ্ছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, রাস্তায় যানজট থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো হলে ঢুকতে দেবে আবার কোনো হলে ঢুকতে দেবে না এরকম হওয়াটা দুঃখজনক। সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, জ্যামের বিষয়ে জানার পর মানবিক দিক বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। তারপরও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে এখন আর কিছু করার নেই।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড